ইংল্যান্ডে টাইম চেঞ্জ নিয়ে কিছু কথা
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন ইংল্যান্ডে প্রতি ৬ মাস পর পর টাইম চেঞ্জ হয়, অর্থাৎ ছয় মাস পর এক ঘন্টা সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয় আবার ছয় মাস পর এক ঘন্টা সময় কমিয়ে দেওয়া হয়। গত শনিবার রাত একটার সময় টাইম চেঞ্জ হয়েছে অর্থাৎ একটার সময় রাত দুটা হয়ে গেল। এখন বাংলাদেশের সাথে আমাদের সময় পার্থক্য হচ্ছে পাঁচ ঘন্টা, আগে ছিল ৬ ঘন্টা। এর কারণ হচ্ছে দিন যখন বড় হয়ে যায় তখন দিনকে ছোট করার জন্য এক ঘন্টা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ চারটা বাজলে তখন পাঁচটা হয়ে যাবে।আবার যখন দিন ছোট হয়ে যায় তখন দিনকে বাড়ানোর জন্য এক ঘন্টা পিছিয়ে দেওয়া হয় অর্থাৎ পাঁচটা হলে তখন চারটা বাজবে। এই সময় চেঞ্জ নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
এবার টাইম চেঞ্জটা পড়ে গিয়েছে রোজার মধ্যে তাই একটু ঝামেলা হয়েছে। যদিও দুই তিন দিন পর এটি স্বাভাবিক হয়ে যায়। বেশি প্রবলেম হয় বাচ্চাদেরকে নিয়ে, কারণ তারা প্রতিদিন যে টাইমে ঘুমায় ঠিক সেই টাইমের মধ্যেই ঘুমাবে। অবশ্য স্কুল খোলা না থাকলে কোন প্রবলেম হত না, কিন্তু প্রবলেমটা হচ্ছে স্কুল। কারণ তারা প্রতিদিন দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে যায় কিন্তু টাইম চেঞ্জ হওয়ার কারণে দশটার সময় হয়ে গিয়েছে রাত ১১ টা। ওই দিকে ভোর সকালে উঠতে হয়েছে আগের টাইমের সাতটা অর্থাৎ ছয়টার সময়। বিছানা থেকে আজকে ওঠাতেই পারছিলাম না,শুধু বলছিল ভালো ঘুম হয়নি আরো ঘুমাতে চাই। এদিকে রোজার মধ্যে আমারও খুব কষ্ট হয় কারণ সেহেরী খেয়ে একটু চোখ বন্ধ করলেই আবার উঠে যেতে হয় বাচ্চাদেরকে রেডি করে দেওয়ার জন্য। কি আর করা অনেক কষ্ট করে উঠতে হয়।
সাধারণত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে একবার টাইম চেঞ্জ হয়, তখন বাংলাদেশে সাথে পার্থক্য থাকে ৬ ঘন্টা, আবার মার্চের শেষের দিকে এই টাইম চেঞ্জ হয়ে থাকে, বাংলাদেশের সাথে এখন হয়েছে যেমন ৫ ঘন্টা। এই নিয়ে কয়েকবার ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল। একবার রোজার সময় অ্যালার্ম দিয়ে রেখেছিলাম ঐ দিন রাতে টাইম চেঞ্জ হয়েছিল কিন্তু আমার খেয়াল ছিল না। যখন অ্যালার্ম বেজে ওঠে তখন দেখি এক ঘন্টা সময় পার হয়ে গিয়েছে। তখন কি আর করা না খেয়েই রোজা রেখে ফেলেছিলাম। আসলে মোবাইলের টাইম সেটিং টা ইউকে এর টাইম সেটিং অনুযায়ী করা ছিল না তাই এমনটি হয়েছিল। এখন যেমন ইউকের টাইম সেটিং থাকলে অটোমেটিকলি মোবাইলে টাইম চেঞ্জ হয়ে যায়। এরপর আরেকদিন বাচ্চাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি করেছি হঠাৎ করে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি আরো এক ঘন্টা বাকি আছে। এ ধরনের ছোটখাটো অনেক ঘটনা ঘটেছে।
যাইহোক টাইম চেঞ্জ করা আসলেই অনেক দরকার কারণ এদেশে কোন কোন সময় দিন একেবারেই ছোট হয়ে যায় আবার রাত খুব বেশি বড় হয়ে যায়।যখন দিন সবচেয়ে বড় হয় তখন রাত ৯ঃ২০ এ সন্ধ্যা হয় অর্থাৎ ৯ঃ২০ এর সময় কোন কোন সময় আমরা ইফতারি করেছি। আবার সবচেয়ে ছোট দিন যখন হয় তখন চারটা ৪ঃ৪৫ এ মাগরিবের টাইম হয়। লন্ডনে আসার পর এখনো আমি এই টাইমটা পাইনি এত অল্প সময়ে রোজা রাখা। আরো চার-পাঁচ বছর পরে এই সময়টা পাব। যাইহোক এটিই ছিল আমার কিছু অনুভূতি টাইম চেঞ্জ নিয়ে। আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার মাধ্যমে নতুন একটি তথ্য জানতে পারলাম যে ইংল্যান্ডে এরকমটা হয়। আসলে হুট করে এভাবে যদি টাইম চেঞ্জ হয়ে যায় তাহলে তো মাঝে মাঝে একটু প্রবলেম করতে হয়। ৯ঃ২০ এ যদি মাগরিবের টাইম হয় তাহলে তো রোজার টাইম অনেক বেড়ে যায়। আর মাগরিবের টাইম যদি ৪:৪৫ হয় তাহলে তো রোজার টাইম অনেক কমে যায়। যাইহোক দোয়া রইল আপনি যেন এই শর্ট টাইমে রোজা রাখতে পারেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
এই টাইমিংটা আমার আসলে জানা ছিল না। তবে যেকোন নতুন কিছুকে মেনে নিতে গেলে একটু সমস্যা ই হয় বটে।আবার কিছুদিন গেলে সব ঠিক হয়ে যায়। খুব ভাল একটা বিষয় জানা হলো।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
এটা তো বেশ অবাক করা বিষয়। এবং আগে এই টাইম চেঞ্জ সম্পর্কে জানতাম। দিন এবং রাতের দৈর্ঘ্যের এটা মানুষ টাইম চেঞ্জ করে দেয়। তবে হ্যা এইরকম টাইম চেঞ্জ করলে অসুবিধা হওয়াটা একেবারে স্বাভাবিক। একঘন্টা বেশ বড় একটা সময়। দারুণ একটা বিষয় জানতে পারলাম আপু।।
খুবই অদ্ভুত এবং আশ্চর্যজনক একটি বিষয় জানতে পারলাম আপনার পোস্টটি পড়ে। ছয় মাস পর পর সময় এক ঘন্টা বাড়ানো আবার এক ঘন্টা সময় কমানো সত্যি দারুন একটি আশ্চর্যজনক বিষয়। তবে আপনাদের দেশের সাথে বাংলাদেশের সময়ের তফাৎটা 6 ঘন্টা এটা আমি অনেক আগে থেকে জানি।
নতুন একটি তথ্য জানলাম আপু। যা বুঝলাম দিন বড় হলে অনেক বড় হয় রাত ছোট হলে অনেক ছোট হয়। আবার সেম উল্টোটা। বুঝতে পারছি প্রথম প্রথম যখন টাইম চেঞ্জ করা হয় তখন অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে৷ আর না খেয়েও রোজা রাখতে হয়েছে। আর আমি আপনার ৪-৫ বছর পরের ৪ঃ৪৫ এ মাগরিবের আজানের দিনটির অপেক্ষায় আছি। এতো ছোট দিনে রোজা রাখার সৌভাগ্য যেন আপনার হয়। ইনশাআল্লাহ।
টাইম চেঞ্জ সত্যি খুবই ভোগান্তির বিষয়। আসলে যখন হঠাৎ করে নিয়ম পরিবর্তন হয়ে যায় তখন সবকিছুতেই সমস্যা দেখা দেয়। ঘুমানোর ক্ষেত্রে কিংবা ঘুম থেকে ওঠার ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়। এর আগে টাইম চেঞ্জ হওয়ার কারণে আপনার না খেয়ে রোজা থাকতে হয়েছিল। এবার বিষয়টি খেয়াল ছিল তাই তো রোজা রাখতে কিংবা সেহরি খেতে সমস্যা হয়নি। তবে কয়েকদিন সময় লাগবে সব কিছু মানিয়ে নিতে। আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ইংল্যান্ডে টাইম চেঞ্জ এর ব্যাপারটা জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। কারণ এই ব্যাপারটা আমার অজানা ছিল। আপনার মোবাইলে ইউকে টাইম সেটিং করা ছিল না বিধায়, মোটামুটি ঝামেলাতে পরে গিয়েছিলেন দেখছি। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি বলতে আজ একটা নতুন কিছু জানতে পারলাম ৷ আমি এটা জানি যে বাংলাদেশের সাথে ৬ ঘণ্টা তভাৎ ৷ তবে তারপরেও এক ঘন্টা চেন্স বিষয়টা নতুন জানতে পারলাম ৷
সময়ের তাল মিলিয়ে চলা সত্যি কষ্ট ৷ যেহেতু আপনি আবার রোজা রাখবেন৷ যা হোক হয়তো বা একটা সময় ঠিক হয়ে যাবে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপু একটা নতুন জিনিস শেয়ার করার জন্য ৷
ইংল্যান্ডে ৬ মাস পরপর টাইম চেঞ্জ হয় এই বিষয়টা আমার জানা ছিল না। আপনার আজকের পোস্ট পড়েই জানতে পারলাম আপু। তবে এমনিতে ঠিক বলেছেন বাচ্চারা যে টাইমে ঘুমায় ওই টাইমটা প্রতিনিয়ত অভ্যাস হয়ে যায়। এখন টাইম চেঞ্জ এর জন্য দেখছি এক ঘন্টা সময়টা আপনাদের অনেক অসুবিধা হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে রোজার সময় সেহরি খেয়ে আবার ছয়টার সময় ওঠা ভীষণ কঠিন। কিন্তু রাত ৯ঃ২০ এ সন্ধ্যা হয় এই বিষয়টা অবাক লাগলো। যাইহোক আপনার পোস্ট পড়ে কিন্তু আজকে অনেক কিছুই জানতে পারলাম।
অদ্ভুত সময় তো আপনাদের আপু।6 মাস পর পর 1 ঘন্টা করে টাইম বাড়িয়ে আবার কমিয়ে দেওয়া হয়।আপনাদের দেশের টাইম চেঞ্জ সম্পর্কে জেনে নতুন ধারণা পেলাম।আমার মনে হয় এতে প্রবাসীদের একটু সমস্যায় পড়তে হয়, ধন্যবাদ আপু।