শপিং এ কিছুটা সময়
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
দেখতে দেখতে স্কুল হলিডের প্রায় তিন সপ্তাহ কেটে গেল।আরও তিন সপ্তাহ বাকী রয়েছে।আমাদের হলিডে কেটে যাচ্ছে শপিং আর ঘুরে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে।শপিংয়ে গিয়ে একবার শপিং শুরু হলে আর শেষ হতে চায় না। আর বেশিরভাগ কেনাকাটা হচ্ছে স্কুলকে কেন্দ্র করে, কারণ নতুন ক্লাস।আর বড় মেয়ে যাচ্ছে নতুন স্কুলে। এতদিন দুই মেয়ে একই স্কুলে যেত, কিন্তু বড় মেয়ে এখন হাই স্কুলে চলে যাচ্ছে।তাই দু’জনকে দুই স্কুলে যেতে হবে এখন থেকে।তাই আমাদের যত কেনাকাটা শুধু স্কুলকেই কেন্দ্র করে।তবে শপিং এ গেলে শুধুমাত্র একই টপিকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনা।বাড়তি অনেক কিছুই কেনা হয়ে যায়, যেমন আজকে তাই হয়েছে। শুধুমাত্র গিয়েছিলাম স্কুল ড্রেস, স্কুল ব্যাগ,লাঞ্চ বক্সসহ আরও কিছু যা তাদের স্কুলের জন্য দরকার। কিন্তু তার সাথে অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতে কিনতে অবস্থা খারাপ, বাজেট ফেল হয়ে গিয়েছিল।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
আমাদের আজকের শপিংটি হয়েছে Tesco শপিং সেন্টারে।বিশাল একটি শপিং সেন্টার যেখানে কাপড়চোপড় থেকে শুরু করে ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র সেখানে রয়েছে।তাই যেটার দিকে চোখ যায় সেটাই শুধু কিনতে ইচ্ছে করে। তবে শপিংয়ে যেতে একদম ভালো লাগে না, কিন্তু গেলে কেনা বন্ধ হয় না।কাপড় চোপড় থেকে শুরু করে ফল, সবজি, তেল, মসলা, বাচ্চাদের খাবার, খেলনা আরও নানান আইটেম কিনে ফেলি। চলুন এক নজরের তাহলে দেখা যাক শপিং সেন্টার এর ভেতরের পরিবেশ এবং আমার কেনাকাটা।
ফার্স্ট ফ্লোরে রয়েছে কাপড়-চোপড় সহ ঘরে যাবতীয় জিনিসপত্র এবং নিচে রয়েছে গ্রোসারি সংক্রান্ত যাবতীয় দ্রব্যাদি।
প্রথমেই কাপড়চোপড় কিনে ফেলি।সেখানে দেখলাম বাচ্চাদের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর শীতের পোশাক।দুটি কার্ডিগান কিনে ফেললাম। এরপর আমিও একটি লম্বা কার্ডিগান কিনে ফেললাম কারণ সামনে শীত আসছে।
এরপর কিচেন সংক্রান্ত কিছু দরকারি জিনিসপত্র কিনে নিলাম।এরপর একটি ওভেন প্রুফ ডিস কিনে ফেললাম। এরপর বাচ্চার স্কুলের জন্য ক্যালকুলেটর, পেন্সিল বক্সসহ আরো যাবতীয় দরকারি জিনিসপত্র কিনে নিলাম।এরপর তাদের খেলনা কিনে ফেললাম। শপিংয়ে আসলে খেলনা তো অবশ্যই লাগবে। তারা শপিং এর জন্য বেশি এক্সাইটেড থাকে কারণ খেলনা কিনতে পারবে।
এরপর নিচে গিয়ে গ্রোসারি থেকে কিনতে কিনতে ট্রলি ভরে ফেললাম।
এরপর অ্যামাউন্ট চেক করা হচ্ছে।
বাজেট ছিল ২০০ পাউন্ডের মধ্যে খরচ করব, কিন্তু আরও ৬৯ পাউন্ড এ্যাড হয়।টোটাল ২৬৯ পাউন্ড যা বাংলাদেশী টাকার প্রায় ৩৭,৫০০ টাকার মতো।এ দেশের সবকিছুরই মূল্য খুব বেশি। তবে আগে একটু কম ছিল, ইদানিং খুব বেশি বেড়েছে। যাইহোক অবশেষে মনের মত কেনাকাটা করে বাসায় ফিরলাম। এরই মধ্য দিয়ে আমাদের হলিডের শপিং করা শেষ হল।এরপরও আরও কিছু টুকটাক রয়েছে যা অনলাইনে করে ফেলব।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
Location |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপু দেখতে দেখতে তো বাচ্চাদের হলিডে শেষ হয়ে আসলো। খুব তাড়াতাড়িই তারা আবার স্কুলের চাপে পড়ে যাবে। আর স্কুলের জন্যই তো আপনার এত কেনাকাটা করতে হচ্ছে।আবার দেখা যাচেছ যে এবার দুই বাচ্চা দুই স্কুলে। এটাও কিন্তু একটু কষ্টের বিষয়। যদিও ড্রেস, স্কুল ব্যাগ, লাঞ্চবক্স সহ স্কলের প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস কিনতে ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে যাওয়া হয়েছে, কিন্তু শুধুমাত্র এগুলো তো আর কেনা হয় না। তখন যে মাথা থেকে কত রকমের জিনিস কেনার চিন্তা ভাবনা বের হয়। তবে সুবিধা হলো যে একই জায়গায় সব কিছুই কেনা হয়ে গেল। তানা হলে কি অবস্থা হতো? বিশাল কেনাকাটা করা হলো আপু।
বাচ্চাদের জন্য অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন। শপিং মলে গেলে কেনাকাটার যেন শেষ হয় না কোনটা রেখে কোনটা নিব সেটাই শুধু ভাবনা। বাংলাদেশি টাকায় অনেকগুলো টাকা শপিং করেছেন একসঙ্গে। শপিং মলের ফটোগ্রাফি করেছেন অনেক সুন্দর। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু শপিং করার অনুভূতি ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। আপনার পরিবারের জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করছি শুভকামনা রইল আপু।
Tesco খুবই ভালো ব্রান্ড আপু। আমার সুযোগ হয়েছিলো Tesco ব্রান্ডের সাথে কাজ করার। আমি অবশ্য ওদের পোশাক নিয়ে কাজ করেছি। ওরা ওদের পণ্যের গুণগত মান নিয়ে খুবই সচেতন এবং আপোষহীন। পোশাক ছাড়াও ফুড নিয়ে বিজনেস আছে সেটা জানতাম। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে ওদের যে আরোও অনেক পণ্য আছে যেমন কিচেনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, তা জানতে পারলাম। আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
বড়জন হাইস্কুলে উঠে গিয়েছে জেনে ভালো লাগলো। এখন তো একটু ঝামেলা হয়ে যাবে দুজন দুই স্কুলে। যাই হোক শপিং করতে গেলে কখনোই বাজেট করে কিছু কেনা যায় না। বাজেট সবসময় ফেলই হয়ে যায়। কারন বাজারে গেলে এত চমৎকার জিনিস দেখা যায় যে কিনতে ইচ্ছা করে। শুধু আপনাদের ওখানে না সব জায়গায় জিনিসপত্রের দামই এখন ডাবল হয়ে গেছে। এজন্য বাজেটে আরো বেশি কুলায় না। যাই হোক বেশ ভালোই শপিং করেছেন দেখা যাচ্ছে।
আসলে এই ধরনের মার্কেটে গেলে অনেক কিছুই কিনতে ইচ্ছে করে। কারণ সবকিছু একেবারে হাতের নাগালে থাকে। কিনতে কিনতে তো একেবারে ট্রলি ভরে ফেলেছেন আপু। ওভেন প্রুফ ডিস আমারও একটা কিনতে হবে। আপনারটা দেখে মনে পড়ে গেল। তার মানে জিনিসপত্রের দাম তাহলে সব জায়গায় বাড়ছে, শুধু বাংলাদেশে না। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বাচ্চাদের হলি ডে শেষ হতে চলল। এখনো তিন সপ্তাহের মতো আছে।তাই আপনি স্কুল সংক্রান্ত কিছু কেনাকাটা করতে Tesco শপিং সেন্টারে গেলেন।এটা ঠিক আপু শপিং এ যেতে ইচ্ছে করেনা।আবার গেলে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসই কেনা হয়ে যায়। আপনি মেয়েদের স্কুলের নানান জিনিসপত্র কিনলেন।এরপর রান্নাঘরের ও কিছু জিনিসপত্র, গ্রোসারি কিনে ফেললেন।সামনে শীত আসছে মেয়েদের জন্য কার্টিগান আর আপনার জন্য ও লঙ কার্টিগান নিলেন।ভালোই করেছেন।প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো একসাথে নিয়ে নিলেন।আর বাচ্চাদের কেনাকাটার মূল আকর্ষন হচ্ছে খেলনা।খেলনা কেনা হলে এরা ভীষণ খুশী হয়।সবকিছুর দাম খুব বাড়তি।তাইতো বাজেট ফেল হয়েই যায়। খুব ভালো লাগলো আপু আপনার কেনাকাটার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার আর আপনার পরিবারের জন্য।
এতো অনেক টাকা। যেহেতু অনেক টাকার কেনাকাটা করেছিলেন তাই বাজেট ফেল করা স্বাভাবিক। বাচ্চাদের নতুন স্কুলের জন্য আসলে অনেক কিছুই তো কেনার থাকে। শপিংমলের ছবি গুলো দেখতে চমৎকার লাগছে।
নতুন স্কুলে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। বন্ধু থেকে শুরু করে সব কিছু নতুন হবে। আর তার জন্য কেনাকাটাও ধুমছে চলছে আপু। শপিং মল টা রীতিমত তাক লাগিয়ে দিল। আর সত্যি বলতে এমন জায়গায় গেলে ইচ্ছে করে যেন সব কিছুই তুলে নিয়ে আসি। তবে কেনাকাটা করতে নিলে বাজেট যে ক্রস করবেই এটা চোখ বুজে বলে দেওয়া যায়। চমৎকার লাগলো আজকের ব্লগটি আপু।
হলিডেতে ঘোরাঘুরি ও শপিং করে বেশ ভালো সময় পার করলেন । শপিং মলটা বেশ সুন্দর দেখে মনে হচ্ছে ।বাচ্চাদের কেনাকাটা করতে গেলে আসলে কেনাকাটা শেষই হতে চায় না। তার পরেও আপনি প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্র কিনলেন ।একসঙ্গে এত শপিং করলে মাথা খারাপ হওয়ার মত অবস্থা আমার মনে হয় ।তবে বেশ ভালো ছিল।ধন্যবাদ।
শীতের বস্থূ কিনে অনেক ভালো করেছেন কারণ সামনে শীতের সময়। আর মনের মত মার্কেট করতে গেলে বাজেটের থেকে বেশি হয়ে যায়। আমার তো শপিংমলে শপিং করতে গেলে মাথা খারাপ হয়ে যায় কারণ যেটা দেখি সেটাই ভালো লাগে। শপিংমলে ভালোই সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ দিদি শপিং মলে কেনাকাটার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।