মজার মিষ্টি দই তৈরির রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি মজাদার মিষ্টি দই এর রেসিপি নিয়ে।দই আমার খুবই পছন্দের, শুধু আমার নয় আমার পরিবারের সকলেরই অনেক পছন্দের। এই দইটি আমি ঈদে তৈরি করেছিলাম। এর আগেও একবার দই এর রেসিপি দিয়েছিলাম প্রায় দু বছর আগে।তখন গরুর দুধ দিয়ে বানিয়েছিলাম। এবার গুঁড়োদুধ দিয়ে বানিয়ে দেখালাম। খেতে কিন্তু খুবই মজার হয়েছিল।আশা করছি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।ভালো লাগলে অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
গুঁড়োদুধ | দেড় কাপ |
টক দই | পৌনে এক কাপ |
পানি | তিন কাপ |
চিনি | পৌনে এক কাপ |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমেই টক দই থেকে অতিরিক্ত পানি ঝরে যাওয়ার জন্য একটি ছাকনিতে রেখে দিয়েছি ৩০ মিনিটের জন্য।
এরপর হাঁড়িতে পানি নিয়ে সামান্য গরম করে তাতে দুধ ও হাফ কাপ চিনি দিয়ে একটা বলক দিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিয়েছি।
এরপর ক্যারামেল তৈরির পালা। প্রথমে একটি ফ্রাই প্যানে বাকি চিনি টুকু দিয়ে দুই তিন টেবিল চামচ পানি দিয়ে কয়েক মিনিট ভালো ভাবে নেড়েচেড়ে এভাবে ব্রাউন কালার হলে ক্যারামেল বানানো শেষ করেছি।
এরপর ক্যারামেল দুধের মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে নিয়েছি।
এরপর ওভেন ১০ মিনিটের জন্য প্রি হিট করে নিয়েছি। এক্ষেত্রে তাপমাত্রা ১৮০ ডিগ্রিতে রেখেছি।
এরপর টক দই দুধের সাথে ভালোভাবে মিশে নিতে হবে মনে রাখতে হবে দুধ যেন বেশি গরম না হয় আবার যেন খুব বেশি ঠান্ডা না হয়।মোটামুটি হালকা একটু গরম থাকতে হবে, তা না হলে দুধ একেবারে ছানা হয়ে যাবে।
এরপর দই বসানোর জন্য ছোট ছোট কয়েকটি কাপ এবং একটি মাটির হাঁড়ি নিয়েছি।
এরপর ফয়েল পেপার দিয়ে ঢেকে ওভেনে রেখে দিয়েছি প্রায় চার ঘন্টার জন্য। এসময় ওভেনের তাপমাত্রা সবচেয়ে লো হিট এ রেখেছি।
ওভেন থেকে বের করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম কয়েক ঘন্টার জন্য।
হয়ে গেল আমার মজাদার মিষ্টি দই।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপু আপনি খুবই চমৎকার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মজার মিষ্টি দই তৈরি করেছেন। আপনার এই মজার মিষ্টি দই তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রথমে টক দই থেকে পানি ঝরিয়ে নেওয়াটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এভাবে নিজের বাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মিষ্টি দই তৈরি করে খেতে পারলে আমাদের শরীরের জন্য ভালো হয়। খুবই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দই তৈরি করার পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম আপনি তুলে ধরেছেন আজকের এই পোষ্টের মধ্যে। যেখানে ওভেনের সহযোগিতায় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। পাউডার দুধ আর টক দইয়ের সমন্বয়ে। আপনার এই সুন্দর কার্যক্রম থেকে নতুন কিছু ধারণা লাভ করলাম।
সকাল সকাল এমন দই দেখলে লোভ সামলানো মুশকিল। আর আমার মনে হয় দই শুধু আপনার নয় অনেকের প্রিয়।আর যদি এভাবে হাতে বানানো দই হয় তাহলে তো কথায় নেই। আপনার দইয়ের কালারটা দারুণ এসেছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দই আমার খুবই ফেভারিট মাঝে মাঝে খাওয়া হয়।
আবার আমাদের বাড়িতে মাঝে মাঝে দই প্রস্তুত করা হয়। আমার বড় চাচার গরুর খামার থাকায় তিনি নিজেই মাঝে মাঝে বাড়িতে এটি প্রস্তুত করেন।
আপনার প্রস্তুত প্রণালী এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।
আসলে মিষ্টি জাতীয় খাবার বলে কথা একটু বেশিই লোভনীয় হয়।
দই আমার পরিবারের সবার ভীষণ পছন্দের। অধিকাংশ সময় বাজার থেকে কিনে আনা হয়, তবে মাঝে মধ্যে বাসায় তৈরি হয়। আপনার দই তৈরির প্রক্রিয়া এতো চমৎকার দেখিয়েছেন, যে কেউ চাইলে তৈরি করতে পারবে। বেশ গোছানো বর্ননা আমাদের পুরো প্রক্রিয়াটি বুঝতে সহযোগিতা করেছে। সবমিলিয়ে দারুন একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন আপু।
দই আমারও খুব প্রিয়।আমিতো রমজান মাসে ইফতার শুরু করি দই চিড়া দিয়েই।আপনার দই খুব সুন্দর বসে গেছে।আমিও এই প্রসেসে দই করি।খেতে ভীষণ মজার হয়।আপনার রেসিপির প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। সবাই উপকৃত হবেন আপনার পোস্ট দেখে,যারা দই পছন্দ করেন। অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই আপনাকে।
আপু দুই বছর আগে গরুর দুধ দিয়ে বানানো আপনার দই এর রেসিপি দেখার সুযোগ আমার না হলেও আজ কিন্তু আপানার দই বানোনোর রেসিপিটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর করে সামান্য কিছু উপকরন দিয়ে যেয়ে মজাদার দই বানোনো যায় তা আজকে আপনরার পোস্টের মাধ্যমেই বুঝতে এবং জানতে পারলাম। বেশ সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপু।
মজার মিষ্টি দই তৈরির রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে। এতো মজাদার রেসিপির ধাপ গুলো দেখে শিখতে পারলাম।
মজার মিষ্টি দই তৈরি দেখে আমার তো খুব খেতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে খুব মজা করে খেয়েছিলেন মজাদার এই মিষ্টি দই। দই আমার খুবই পছন্দের, আর যদি হয় এরকম মিষ্টি দই তাহলে তো কোন কথা নেই। আপনার পরিবারের সবার এই মিষ্টি দই পছন্দের, এটা জেনে ভালো লাগলো। অসাধারণ মিষ্টি দই তৈরি আপনার কাছ থেকে শিখে নিতে পারলাম, সম্পূর্ণ উপস্থাপনা টা দেখে। সবাই মিলে বেশ মজা করেই খেয়েছিলেন এই দই, যা আমি দেখেই বুঝতে পারছি।
চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপু অনেক ভালো লেগেছে। আমি কখনো মিষ্টি দই বাসায় তৈরি করিনি তবে আপনার রেসিপিটি আমার জন্য অনেক উপকার হয়েছে। মিষ্টি দই আমার খুব ভালো লাগে আমার বাসায় সবাই অনেক পছন্দ করেন খেতে। তবে প্রায় সময় বাইর থেকে এনে খাওয়া হয়। কিন্তু এইবার চিন্তা করেছি আপনার রেসিপিটি দেখে বাসায় তৈরি করে নিব। অনেক ভালো লাগলো আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।