ইংল্যান্ডের হ্যালোইন উৎসব
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। ইংল্যান্ডের প্রতিটি বাড়িতেই প্রায় হ্যালোইন উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। খ্রিস্টানদের কাছে ক্রিসমাস এর পরেই এটি একটি বড় উৎসব। অনেক অনেক বছর ( প্রায় ২০০ বছর) আগে ইউরোপে প্রথম হ্যালোইন উৎসব পালন করা হয়। পরে সেখান থেকে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।অক্টোবরের 31 তারিখে পৃথিবীর প্রায় জায়গায় এই দিনটি উদযাপিত হয়। যদিও এটি তাদের বড় একটি উৎসব কিন্তু তারপরও স্কুল-কলেজ অফিস-আদালত খোলা থাকে। খ্রিস্টানরা মনে করে মৃত্যুর পরে খারাপ মৃত আত্মা অথবা বিভিন্ন ধরনের ভুত-প্রেত এই দিনে পৃথিবীতে আসে, তাই তাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য তারা বিভিন্ন ভয়ঙ্কর সাজে সজ্জিত হয়। আবার কেউ কেউ মনে করে ভুত-প্রেত গুলো কে সন্তুষ্ট করার জন্য তারা বিভিন্ন ভয়ঙ্কর সাজে সজ্জিত হয়, যেন ভুত-প্রেত অথবা মৃত আত্মা তাদের কোনো ক্ষতি করতে না পারে, ভয় পেয়ে তারা যেন ফিরে যায়।একেকজনের একেক রকমের ধারণা।
অক্টোবরের পুরো মাস জুড়ে তারা হ্যালোইনের প্রস্তুতি চালায়।এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের ভয়ংকর মাস্ক, ড্রেস, পাম্পকিন জোগাড় করতে থাকে। দোকানপাঠ গুলোতে বাহারি ধরনের হ্যালোইনের সরঞ্জাম লক্ষ্য করা যায়। এই দিনে বিকেলবেলায় বাচ্চারা বিভিন্ন ধরনের কস্টিউম পড়ে বের হয়, কেউ কেউ আবার মুখমণ্ডল ভয়ঙ্কর সাজে পেইন্ট করে এবং বাসায় বাসায় গিয়ে চকলেট কুড়িয়ে বেড়ায়।দরজায় নক করে বলে(trick or treats) চকলেট দাও, না হলে ভয় দেখাব। সবাই এই দিনে চকলেট রেডি করে রাখে বাচ্চাদের দেওয়ার জন্য। আর বড়রাও বিভিন্ন ধরনের পার্টিতে যায় ভয়ঙ্কর সাজে সজ্জিত হয়ে। কেউ কেউ আবার এই দিনে ভয়ঙ্কর মুভি দেখে, শুধু লোকজনই নয় মজার ব্যাপার হল তাদের কুকুর অথবা বিড়াল কেও বিভিন্ন ধরনের সাজে সজ্জিত করে।
আমার ঘরের জানালা দিয়ে প্রতিবেশীর ঘরের সামনের এই ডেকোরেশনের ফটোগ্রাফিটি জুম করে নিয়েছি। এই দুইদিন ধরে ওয়েদার খুবই খারাপ, তাই ঘরের বাইরে যাওয়া হয়নি। এ কারণে ভালোভাবে কোন ফটোগ্রাফি নিতে পারেনি।
হ্যালোইনে পাম্পকিন এর খুবই কদর, প্রতিটি গ্রোসারি দোকানেই এর বেচাকেনা হয়। বড় বড় সাইজের পাম্পকিন কিনে তারা এর ভিতরে অংশটুকু ফেলে দেয়। এরপর উপরের দিকে কেটে কেটে চোখ, মুখ ও নাক বিভিন্ন ভয়ঙ্কর আকৃতিতে বানিয়ে রাখে। এরপর ওই পাম্পকিন এর মধ্যে লাইটিং সিস্টেম করে রাখে ।অন্ধকারের মধ্যে ওই লাইটগুলো যখন জ্বলতে থাকে তখন দূর থেকে অনেক ভয়ানক লাগে পাম্পকিন গুলো দেখতে। প্রায় প্রতিটি বাড়ির দরজার সামনে এভাবে পাম্পকিন গুলো সাজিয়ে রাখা হয়। এছাড়া ভুতের আকৃতিতে নানা রকম জিনিসপত্র বানিয়ে দরজার সামনে ঝুলিয়ে রাখে। শুধু ডেকোরেশনই হয়না, এ সময় তারা নানান রকমের বাজি ফুটিয়ে থাকে।আকাশে বাহারি রকমের বাজির আলোকসজ্জা দেখা যায়।
তবে এই দেশে আমেরিকার মত এত জমজমাট ভাবে উদযাপন করা হয় না।আমেরিকাতে স্কুলে বাচ্চারা বিভিন্ন ধরনের ভয়ঙ্কর কস্টিউম পড়ে এইদিন ইস্কুলে যায়, কিন্তু ইংল্যান্ডে স্কুলে এ ধরনের কস্টিউম পরা নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র স্কুল শেষে বাচ্চারা বিভিন্ন ধরনের কস্টিউম পড়ে বিকালবেলা বের হয় চকলেট কালেকশনে। তারা খুবই উপভোগ করে কস্টিউম গুলো পড়ে চকলেট কালেকশন করা। যে সকল বাড়িতে ডেকোরেশন করা থাকে তারা সেইসব বাড়িতে গিয়ে চকলেট কালেকশন করে।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন, আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে আপু হ্যালোইন উৎসব সম্পর্কে এতো কিছু জেনে বেশ ভালো লাগলো ৷ হ্যালোইন উৎসবের এতে কিছু জানতাম নাহ ৷ তবে আমেরিকাতে খুব জাঁকজমক ভাবে হ্যালোইন উৎসব পালিত হয় এটা কিছুটা জানতাম ৷ হ্যালোইন উৎসবের কিছু ভিডিও আমি ইউটিউব দেখেছি ৷ সবাই বেশ ভূতের মতো ঘরের দরজা সাজায় এবং নিজেও ভূতের মতো সাজে ৷ আর বাচ্চারা সবাই মিলে চকলেট তুলে ৷ বেশ মজার বিষয়টা ৷ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
আসলে ই বিষয়টি অনেক ইন্টারেস্টিং। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
হ্যালোইন উৎসবের কাহিনী জানা ছিল না। আজকে জানতে পারলাম। খুবই অদ্ভুত কাহিনী। অশুভ আত্মাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য নিজেরাই ভূত সেজে বসে থাকে। তাছাড়া বাচ্চাদের চকলেট কালেক্ট করার বিষয়টি খুব ভালো লেগেছে। বাচ্চারা এরকম ভয়ংকর সাজলে তাও দেখতে ভালো লাগে। বড়রা সাজলে কেমন লাগে দেখতে। পামকিন ডেকোরেশন টা দেখেছি খুবই ভয়ঙ্কর লাগে যখন লাইট জ্বলে ভিতরে। ধন্যবাদ আপু নতুন একটি বিষয় জানতে পারলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে।
বড়রাও এ ধরনের ভয়ংকর সাজে সজ্জিত হয়ে হ্যালো ইন পার্টিতে অংশগ্রহণ করে। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
হ্যালোইন উৎসব সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো আপু। সত্যিই এটি একটি ভিন্ন ধরনের উৎসব। ভয়ংকর সাজে সবাই বেরিয়ে পড়ে ভূত কিংবা আত্মাকে ভয় দেখানোর জন্য এই ব্যাপারটি সত্যি অনেক ইন্টারেস্টিং। আপনার প্রতিবেশীর বাড়ির সামনে রাখা ভয়ংকর ডেকোরেশন গুলো দেখলাম। তবে ছোট বাচ্চাদের চকলেট সংগ্রহ করার ব্যাপারটি ইন্টারেস্টিং লেগেছে আপু।
আসলে এই পুরো ব্যাপারটাই ইন্টারেস্টিং, অনেক ধন্যবাদ আপু তোমার মন্তব্যের জন্য।
হ্যালোইন উৎসব আসলে নামটা শুনলেই কেমন যেন মনের মধ্যেও ভয় ভয় লাগে। মানুষ বিভিন্ন ভাবে নিজেদেরকে ভয়ংকর রূপ দিয়ে এই উৎসব পালন করে।
প্রতিবেশীর ঘরে গিয়ে খোঁজ নেন সে ভূত সেজেছে কিনা?? হা হা হা
তবে ওয়েদায ভালো থাকলে হয়তো বা আপনি আরো কিছু ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারতেন।
প্রতিবেশী নিশ্চয়ই এ ধরনের কিছু করেছে তা না হলে তার বাসার সামনে এভাবে ডেকোরেশন করে রাখত না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
হ্যালোইন উৎসব সম্পর্কে আপনি অনেক কিছু আজকে আমাদের মাধ্যমে শেয়ার করলেন।এত সব কিছু সম্পর্কে জানা ছিল না। তবে আমেরিকাতে খুব জাঁকজমক ভাবে পালিত হয় এটা জানি এবং স্কুল কলেজের বন্ধু থাকে। খুব মজা হয়। যাই হোক আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করলেন ইংল্যান্ডের কিভাবে পালন করা হয়। সে বিষয়ে কিছু তথ্য দিলে ভালই লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যালোইন উৎসবের কথা অনেক শুনেছি কিন্তু এর পেছনের ইতিহাস জানা ছিলনা। তবে ইউরোপের আমেরিকার মত দেশে এ ধরনের উৎসব আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য।
আসলে একটি হাস্যকর ব্যাপার, এটি তাদের বড় একটি উৎসব। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
কদিন ধরেই নজরে আসছিল এই হ্যালোইন উৎসব এর ব্যাপারটা। যাইহোক এর পেছনের কারণটা বেশ দারুণ তবে হাস্যকর লেগেছে আমার কাছে। তবে বাচ্চারা চকলেট কালেকশনের বিষয়টি আবার দারুণ ছিল। আপনাকে ধন্যবাদ আপু বিস্তারিতভাবে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য।।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এই উৎসবটা সম্পর্কে আগে তেমন বেশি জানতাম না।তবে এই বছর সবার একটিভিটি দেখে জন্য পারি।আর আপনার পোস্টটা পড়ে পুরো বিষয়টা আরো ক্লিয়ার হয়েছে,ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ! নতুন একটি উৎসবের কথা জানতে পারলাম আপনার মাধ্যমে। হ্যালোইন উৎসব সম্পর্কে জেনে আসলে খুবই ভালো লাগলো। সত্যিই এটি একটি ভিন্ন ধরনের উৎসব। ভয়ংকর সাজে সবাই বেরিয়ে পড়ে ভূত কিংবা আত্মাকে ভয় দেখানোর জন্য এই ব্যাপারটি সত্যি অনেক মজাদার ব্যাপার। আপনার প্রতিবেশীর বাড়ির সামনে রাখা ভয়ংকর ডেকোরেশন গুলো দেখলাম। তবে ছোট বাচ্চাদের চকলেট সংগ্রহ করার ব্যাপারটা ও আরো বেশি আনন্দদায়ক লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এই অদ্ভুত ধরনের হ্যালোইন উৎসব সম্পর্কে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই বাচ্চাদের চকলেট সংগ্রহ করার বিষয়টি খুবই ইন্টারেস্টিং, ভয়ংকার সাজে সজ্জিত হয়ে তারা এই কাজটি করে থাকে।
হ্যালোইন উৎসব সম্পর্কে আপনার মাধ্যমে জেনে খুবই ভালো লাগলো।আর শেষ ছবিটি সুন্দর ছিল।চকলেট কুড়িয়ে বেড়ানোর বিষয়টি দারুণ মজার।বাচ্চারা খুবই মজা করে।মিষ্টি কুমড়োগুলি কত বাহারি করে কেটে নেওয়া হয়, সত্যিই সুন্দর দেখতে লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছ আপু মিষ্টি কুমড়ো গুলো দেখতে দারুন সুন্দর লাগে। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে মন্তব্যের জন্য।