আমার ব্যস্তময় একটি দিন, সাথে কিছু ফটোগ্রাফি। 10% beneficiary to @shy-fox
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে আমার ব্যস্তময় একটি দিন শেয়ার করতে এসেছি। গতকাল অনেক ব্যস্তময় একটি দিন কাটিয়েছি। গতকাল ছিল মঙ্গলবার, আমার হাজবেন্ডের ছুটির দিন। তাই তাকে নিয়ে বের হয়েছিলাম আমাদের জরুরি কাজগুলো সেরে ফেলতে। কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ব্যস্তময় দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি, আশা করি ভালোই লাগবে।
প্রতিদিনকার মত ভোর সাড়ে ছয়টায় উঠে বাচ্চাদেরকে রেডি করে দেই স্কুলে যাওয়ার জন্য। এরপর বাচ্চাদেরকে স্কুলে দিয়ে সকালের নাস্তাটা সেরে ফেলি। আগের দিন সব রান্না-বান্না শেষ করে ফেলি, ছুটির দিনে কোন রান্নার কাজ রাখিনা। সকাল দশটার সময় ছিল ডেন্টিস্টের সাথে আমাদের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট, তাই সাড়ে নয়টার সময় বের হয়ে গেছিলাম বাসা থেকে। প্রতি ৬ মাস পরপর ডেন্টিস্টের কাছে যেতে হয় চেকআপ করার জন্য।
ডেন্টিস্টের কাছ থেকে আসার সময় রাস্তার কিছু ফটোগ্রাফি।
এরপর চলে গেলাম ব্যাংকে একটি ইউরো অ্যাকাউন্ট খুলতে। ব্যাংকে যাওয়ার পরে তাঁরা বললেন এই মুহূর্তে তাদের সকল স্টাফ ব্যস্ত আছেন, 20 মিনিট অপেক্ষা করতে হবে, আর তা না হলে একটি অ্যাপোয়েন্টমেন্ট করতে হবে। এরপর অপেক্ষা করতে থাকলাম, অপেক্ষা করতে করতে 20 মিনিট, 30 মিনিট, 40 মিনিট পার হয়ে যায় তবুও কেউ ফ্রী হচ্ছিলেন না। এরপর 45 মিনিট পরে একজন কর্মকর্তা আসেন এবং তিনি মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আমার অ্যাকাউন্ট টা খুলে দেন।
ব্যাংকের ভিতরের দৃশ্য যেখানে অপেক্ষা করছিলাম।
এরপর দ্রুত ছুটে গেলাম শপিংমলের ভিতরে, অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেছি, তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে বাচ্চাদেরকে স্কুল থেকে পিকআপ করার জন্য। দ্রুত কিছু জরুরি কেনাকাটা সেরে ফেললাম। বাচ্চাদের জন্য কিছু খেলনা কিনে ফেললাম কারণ শপিংমলে আসলেই খেলনা কিনা বাধ্যতামূলক, খালি হাতে ফিরে যাওয়া যাবে না। অবশেষে কেনাকাটা শেষ করে দ্রুত বাসায় ফিরলাম।
Crawley শপিংমলের ভিতরের কিছু ফটোগ্রাফি।
এরপর বাসায় এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাচ্চাদের জন্য অপেক্ষা। বাচ্চারা স্কুল থেকে এসে তাদের খাওয়া- দাওয়া শেষ করিয়ে দিয়েই জয়েন হয়ে গেলাম ডিসকর্ড এর মডারেটর মিটিংয়ে। প্রায় দেড় ঘন্টার মতো হয়েছিল মিটিংটি। এরপর মিটিং শেষ করে বিকালের নাস্তা সেরে ফেললাম। নাস্তা শেষ হতে না হতেই ভাসুরের কল তাদের বাসায় যেতে হবে। এরপর ভাসুরের বাসায় গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় কাটিয়ে অবশেষে আবার ঘরে ফিরে এলাম। আমাদের বাসা থেকে ভাসুরের বাসা খুব একটা দূরে নয়, কাছাকাছিই আমরা থাকি।
বিকালের নাস্তা।
সারাদিন খুব টায়ার্ড ছিলাম। বাচ্চাদেরকে দ্রুত রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে বিছানায় দেই। এরপর আমিও ঘরের, রাতের সকল কাজকর্ম শেষ করে এগারোটার মধ্যেই বিছানায় চলে যাই। প্রতিদিন রাত এগারোটার মধ্যেই ঘুমোতে চলে যাই কারণ অনেক ভোরে উঠতে হয়।
what3words address:
https://w3w.co/hurry.comical.chef
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
সত্যি বলতে হাসপাতালে গিয়ে অপেক্ষা করার চাইতে অসহ্যকর কাজ আর কিছু হতে পারে না ।যেখানে 20 মিনিট এর কথা বলল সেখানে 40 মিনিট কাটিয়ে দিল আসলে কি বলব 20 মিনিট হাসপাতাল অপেক্ষা করা মানে মনে হয় দুই থেকে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার সমান। তবে প্রিয় মানুষ এর সাথে বাহিরে বের হলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনি কার এর ফাঁকে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছে যা সবার মন ছুয়ে দিবে। অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় বোন এত সুন্দর কিছু ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপনার মাধ্যমে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম বিদেশের।ব্যস্তময় দিনটাতে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। শপিং মলের ভিতরে পরিবেশটা বেশ ভালই লাগলো।
আপনি অনেক সুন্দর একটি সময়ে উপভোগ করেছেন। আপনি অনেক ভাল হবে ছবিগুলো ক্যামেরা বন্দী করে নিয়েছেন। আপনার প্রতিটি ছবি অনেক সুন্দর মনে হয়েছে আমার জায়গা গুলো অনেক ভাল ছিল। দিনটি আপনি অনেক উপভোগ করেছেন এবং আপনার সাথে যারা ছিল তারা ও উপভোগ করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সত্যিই আপু আপনার ব্যস্ততম সময়ের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারন ছিল। আসলে জীবন মানে যুদ্ধ আমাদের প্রতিনিয়ত এই যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যস্ততার মাঝে যে কোন কাজ নিয়ে আগাতে হয়। সেই দিনের শুরু থেকে শেষ অব্দি প্রতিটা সময় হিসাব নিকাশ করেই চলতে হয়। খুবই ব্যস্ত সময় পার করেছেন সাথে ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ভাবে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সারাদিন বেশ দৌড় এর ওপর গেছে দেখছি। তারপরেও যে সবকাজ গুলো ভালো ভাবে করতে পেরেছেন এটাই অনেক। আর খেলনা নিয়ে কি বলবো, আমারও তো ছোট ভাই আছে। তাই বাইরে শপিং এ গেলে আমাকেও খেলনা নিয়ে ফিরতেই হবে। না হলে আর রক্ষা নেই। হিহিহিহি। অনেক ভালো থাকবেন দিদি।
আপনি সুন্দর একটি মূহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ফটোগুলো দারুন ছিল।