বাচ্চাদের আনন্দময় একটি দিন (10% beneficiary to @shy-fox)

আসসালামুআলাইকুম

সবাই কেমন আছেন, আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ।আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি আনন্দময় দিন শেয়ার করতে যাচ্ছি। প্রায় একমাস পর আজ ঘর থেকে বের হলাম, করোনার কারণে অনেক দিন ঘরে বন্দি ছিলাম। আজ আমার ভাসুরের ছেলের জন্মদিন ছিল, তাই ছোট্ট একটি ঘরোয়া পার্টির আয়োজন ছিল শুধুমাত্র দুটি পরিবার নিয়ে।আজকে তার ১২ বছর পূর্ন হলো।

দুপুরে জন্মদিনের আয়োজন ছিল, তাই সকাল সকাল ঘরের সকল কাজকর্ম সেরে বের হয়ে যাই পার্টির উদ্দেশ্যে। আসলে বাচ্চারা খুবই এক্সাইটেড থাকে তাদের বার্থডে নিয়ে। সব সময় গণনা করতে থাকে কখন তাদের বার্থডে আসবে, কখন সেলিব্রেশন করবে, কখন গিফট পাবে। আমার বাচ্চাদের বেলায়ও তাই, কোন ব্যতিক্রম নেই। আমার বড় বাচ্চাটার নভেম্বরে জন্মদিন এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে জন্মদিন এর কাউন্টডাউন। প্রত্যেকদিন একটি একটি করে তারিখ ক্রস করে আর কাউন্ট করে কখন তার সেই কাঙ্খিত দিনটি আসবে।

আজকে আমাদের ভাতিজার জন্মদিন, তার কাছে খুবই স্পেশাল ছিল কারণ সে জানত না তার বাবা-মা তার জন্যে কি সারপ্রাইজ রেখে দিয়েছে।সে এখন ৭ম শ্রেণীতে উঠে গেছে।যুগ এখন পাল্টে গেছে, তার ক্লাসের বেশিরভাগ ছেলে মেয়েদের হাতে এখন স্মার্ট ফোন, স্কুলে বিভিন্ন ধরনের পড়া শুনার কাজেও এটি ব্যবহৃত হচ্ছে, তাছাড়া তার বাবা-মা দুজনেই কর্মজীবি এ কারনে বেশির ভাগ সময়েই তারা বাসায় থাকেনা বিধায় তার সাথে যোগাযোগ করতে সমস্যা হয়।তাই তারা ডিসিশন নিয়েছিল তাকে তার জন্মদিনে একটি স্মার্ট ফোন উপহার দিবে, আগে থেকে তাকে না জানিয়ে একটি সারপ্রাইজের আয়োজন করা হয়েছিল। এজন্য তার বাবা-মা বড় একটি প্যাকেটে মোবাইল ফোনটি রেখে সে যে খেলনা পছন্দ করে সেই খেলনাটি মোবাইল বক্সের উপর রেখে রেপিং পেপার দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছিল যেন সে না বোঝে কিন্তু যখন সে খেলনাটি সরালো তখন তার জন্য অপেক্ষা করছিল বড় একটি সারপ্রাইজ। অবশেষে সে পেয়ে গেল তার কাঙ্ক্ষিত সারপ্রাইজ। নিচে দেখুন তার ফিলিংস গুলো।

আমার বাচ্চাদের আনন্দের শেষ ছিল না কারণ তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল সুন্দর সুন্দর গিফট। তাদের সকলের মধ্যে যেকোনো একজনের বার্থডে হলেই সবার জন্য গিফট্ অপেক্ষা করে। তারাও তাদের গিফট গুলো পেয়ে খুবই খুশি।

আমার বড় মেয়েটি পেয়েছি জুয়েলারি সেট যা দিয়ে সে তৈরি করতে পারবে বিভিন্ন ধরনের ব্রেসলেট, আর ছোট মেয়েটি পেয়েছে একটি পুতুলের সেট যেখানে পুতুলের তিনটি ড্রেস, দুই জোড়া জুতা, কানের দুল, হেয়ার কালার এবং সাথে একটি চেয়ারও আছে, খুবই পছন্দ হয়েছে তার।বারে বারে ড্রেস চেঞ্জ করছে, জুতা পড়াচ্ছে, চুলের কালার করছে, খুব উপভোগ করছে সে।

বাচ্চাদের আনন্দ দেখে খুবই ভালো লাগছিল, আসলে প্রতিটি বাবা-মা এর কাছে বাচ্চাদের অনন্দের চেয়ে আর কি বড় হতে পারে? বাচ্চাদের আনন্দেই তো বাবা-মায়ের আনন্দ।

অবশেষে মজাদার বার্থডে কেক।

Photographer	@tangera
Device	I phone Xs max

বন্ধুরা এটি ছিল আমার আজকের আয়োজন, আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে ।
ধন্যবাদ,
@tangera