নাম না জানা ছোট্ট একটি পাখি যখন আমার ঘরে
বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
পাখি কে না ভালোবাসে? আমার মনে হয় পৃথিবীর সকল মানুষই পাখি পছন্দ করে।আমার তো খুবই ভালো লাগে।মন চায় পাখি পোষতে, কিন্তু কষ্ট লাগে তাদের খাঁচায় বন্দি হয়ে থাকা দেখে।ছোটবেলায় বাংলাদেশে থাকতে একটি টিয়া পাখি ছিল আমাদের বাসায়।বেশ কিছুদিন ছিল।কিন্তু খুব কষ্ট লাগতো দেখে, সারাদিন অসহায়ের মতো বন্দি হয়ে পড়ে থাকতো।একদিন ডিসিশন নিলাম পাখিটিকে ছেড়ে দিব।মনে মনে ভেবেছিলাম হয়তো মায়ায় সে বেশি দূরে যাবে না আবার হয়তো চলে আসবে।ছেড়ে দেওয়ার পর পাখিটি বড় একটি গাছের ডালে গিয়ে বসলো।অনেকক্ষণ সেখানে বসে ছিল। এরপর হঠাৎ করে আর দেখা মিলল না।খুব কষ্ট লাগছিল, কিন্তু তারপরও ভালোই লেগেছিল কারণ পাখিটি তখন মুক্ত হয়ে গেল।যাইহোক অনেক কথাই বলে ফেললাম। এখন চলে যাচ্ছি মূল পর্বে।
মেয়েদেরকে স্কুলে পাঠিয়ে একটু রেস্ট নিই।কারণ অনেক ভরে উঠতে হয়।আবার রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে অনেক লেট হয়ে যায়।তাই তাদেরকে স্কুলে দিয়ে আবার দুই এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিই।ঘুম থেকে উঠে দেখি ছোট্ট কিউট একটি পাখি আমার রান্নাঘরে খুব ছোটাছুটি করছে।আমি তো দেখে অবাক! ওমা এই পাখিটি কোথা থেকে এলো? কারণ রান্নাঘরের সবগুলো জানালাই বন্ধ ছিল।পাখিটি রান্নাঘর থেকে বাইরে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে শুধু এদিক ওদিক করছে।এরপর আমি রান্নাঘরের সবগুলো জানালা খুলে দিলাম। কিন্তু তাতেও কাজ হলো না, পাখিটি চলে গেল আমার লিভিং রুমে।এরপর লিভিং রুমের জানালা খুলে দিলাম। এরপর চলে গেল বেডরুমে। বেডরুমের জানালাও খুলে দিলাম। কিন্তু তারপরও পাখিটি যেতে পারছে না, শুধু এদিক ওদিক করছে।এরপর কিছুক্ষণ পরে দেখি পাখিটি আর ঘরের মধ্যে নেই।কোন এক জানালা দিয়ে হয়তো বেরিয়ে গিয়েছিল।আমার কিন্তু খুবই ভালো লেগেছিল ওই মুহূর্তে। মনে হচ্ছিল হাত দিয়ে একটু ধরে দেখি, কিন্তু ভয় হচ্ছিল যদি হাতে কামড় দেয়।
রান্নাঘরে আমার বাটিতে বসে আছে পাখিটি।
এরপর বাসায় মেয়েরা এলে তাদেরকে পাখির ঘটনাটি বললাম আর ফটোগুলো দেখালাম।তারা তো খুবই এক্সাইটেড, আর বলল কেন আমি ভিডিও করে রাখলাম না।ছোট মেয়ে বলল কেন পাখিকে বিস্কিট খেতে দিলাম না? কারণ সে জানে পাখি বিস্কিট খেতে পারে।তার ধারণা পাখিটিকে বিস্কিট খেতে দিলে হয়তো পাখিটি আর যেত না।এরপর তার বাবার কাছে বায়না ধরেছে তাকে একটি পাখি কিনে দিতে হবে।আমার মেয়েটিরও অনেক দিনের শখ একটি পাখি পুষবে।তখন তাকে বুঝিয়ে বললাম সারাদিন পাখির একটি খাঁচার মধ্যে বসে থাকতে ভালো লাগে না।তার বাবা-মা ভাই-বোন সকলকে খুব মিস করবে।এরপর সে বুঝতে পারল।আসলে অনেকেই পাখি পুষে কিন্তু পাখির কষ্ট গুলো কেউ বুঝতে চায় না। অবশ্য তাদের কথা ভিন্ন যারা পাখিগুলোকে পোষ মানাতে পেরেছে। সব সময় সেই পাখিগুলো তাদের সাথে থাকে, এমনকি খাঁচা থেকে বের করলেও যায় না।যাইহোক এটিই ছিল আমার পাখি নিয়ে আজকের পোস্টটি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
আসলেই পাখিটা দেখতে অনেক কিউট লাগছে, ছোট্ট এই পাখিটা আপনার রান্নাঘরে ঢুকে পড়েছে যার কারণে সাক্ষাৎ হয়েছে। হয়তো সব জানালা খুলে রেখেছিলেন তাই কোনভাবে বের হতে পেরেছে।
সেই টিয়া পাখির কথা হঠাৎ করে মনে পড়ে গেল। বাসায় লোক আসলে কেমন চেঁচামেচি করতো। যাইহোক আপু ঠিকই বলেছেন খাঁচায় পাখিদেরকে বন্দী করে রাখা আমার কাছেও ভালো লাগে না। পাখিটি তাহলে বেশ কিছুক্ষণ আপনারা ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছিল। ছোট মেয়েকে অবশেষে বোঝাতে পেরেছেন পাখির কষ্টের কথা। যাইহোক পাখিটি কিন্তু খুব সুন্দর ছিল। পাখিটিকে মুক্ত হতে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ।
বাহ্! পাখিটা কিন্তু বেশ কিউট। আপনার দুই মেয়ে বাসায় থাকলে হয়তোবা পাখিটিকে রেখে দিতে চাইতো। যাইহোক পাখি পোষা আসলেই ঠিক না। তবুও আমি একটি ময়না পাখি পুষে থাকি। পাখির ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে আপু। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পাখিটি বেশ কিউট।রান্নাঘরে হঠাৎ অতিথি হিসেবে আসায় বেশ খানিকটা সাক্ষাৎ হলো আপনার সাথে।অবশেষে জানালা খুলে রাখার জন্য যেতে পেরেছিল এটাই অনেক ভালো হলো পাখির জন্য,ধন্যবাদ।