একটি বিদায় মুহূর্ত , 10% beneficiary to @shy-fox
আসসালামুআলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে অনেক কষ্টের একটি দিন ছিল, আপনারা অনেকেই ইতিমধ্যেই জেনেছেন আমরা বাংলাদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমার হাজব্যান্ডের আমাদের আগে যাওয়ার কথা ছিল, আর আমরা দেড় মাস পরে, আজ সেই দিনটি এসে গেছে।আজকে আমার হাজব্যান্ড বাংলাদেশে যাচ্ছে।আজকে আমাদের অনেক কষ্টের একটি দিন ছিল, কারন প্রিয় মানুষটি যে আজ চোখের আড়ালে চলে যাচ্ছে ! প্রিয় মানুষটি যখন চোখের আড়াল হয় তখনই অনুভব করা যায় তার অনুপস্থিতির কথা।
এই কয়েকটা দিন অনেক ব্যস্ততার সাথে কেটেছে কেনাকাটা এবং সবকিছু গোছগাছ করার মাধ্যমে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনটি করে ফ্লাইট যাচ্ছে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে আগে যেখানে ছিল মাত্র একটি ফ্লাইট। তবে এর জন্য অনেক ধকল পোহাতে হচ্ছে, কারণ বাংলাদেশ বিমানে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই covid 19 এর দুটি ডোজই নিতে হবে ,তাছাড়া রয়েছে পি সি আর টেস্ট মানে করোনা টেস্ট। করনা টেস্টের রেজাল্ট অবশ্যই নেগেটিভ আসতে হবে, পজিটিভ হলে আপনার ফ্লাইট ক্যানসেল হয়ে যাবে। আর এই টেস্ট আপনি তিন চারদিন আগে করতে পারবেন না যাওয়ার মাত্র দুই দিন আগে করতে হবে এবং এই রেজাল্ট একদিন আগেই আপনার হাতে এসে পৌঁছাতে হবে তা না হলে আপনি যেতে পারবেন না। সুতরাং অনেক পেরেশান এর মাধ্যমে এ দু- তিনদিন কেটেছে আমাদের। অবশেষে সকল পেরেশানি ও ক্লান্তি দূর হয়ে আমার হাসবেন্ড এখন বাংলাদেশের যাত্রা পথে। সবকিছু ঠিকঠাক মত হয়ে গেলে এবং আল্লাহর হুকুম থাকলে আমরাও গিয়ে মিলিত হচ্ছি ডিসেম্বরের 12 তারিখে।
বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে কিছু ফটোগ্রাফি।
আমরা মা মেয়ে এবং আমার ভাসুর গিয়েছিলাম আমার হাজব্যান্ড কে বিদায় দিতে ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক Heathrow airport এ। অনেক টেনশনে ছিলাম যদি মালপত্র বেশি হয়ে যায়, আল্লাহর অশেষ রহমতে কোন সমস্যা হয়নি ।কারণ মালপত্র বেশি হয়ে গেলে লাগেজ খুলে মালপত্র বের করে ফেলতে হয়। এখানকার পরিবেশ ছিল একেবারেই ভিন্ন, মনে হচ্ছিল আমরা যেন বাংলাদেশে কারণ এটি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট, এখানে শুধু বাংলাদেশী লোকজনই ছিল, দেখতে ভালই লাগছিল। বিমানটি সরাসরি সিলেট বিমানবন্দরে গিয়ে ল্যান্ড করবে।
এটি ছিল সেই চরম কষ্টের বিদায় মুহূর্ত, বাচ্চারা তার বাবাকে ধরে কাঁদছিল। বাবাও তার চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিল না।অনেক দিন তাকে মিস করতে হবে! এখন আল্লাহর কাছে একটি মাত্রই চাওয়া তিনি যেন ভালভাবে পৌছে যান, আপনারা সকলেই তার জন্য দোয়া করবেন।
what3words address.
https://w3w.co/risky.unable.festivity
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 10 X max |
ধন্যবাদ,
@tangera
শেষের ছবিটা দেখে খারাপ লাগল আপু।
আসলে ছোট বাচ্চারা এমনই, মনকে বুঝাতে পারেনা আর ছোট বাচ্চারা যখন মনকে বুঝাতে পারেনা তখন তাদের দেখে বড়রাও নিজেদেরকে ধরে রাখতে পারেনা। আশা করি এবং দোয়া করি বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি তার বাবার সাথে মিলিত হবে এবং দেখতেও খুব খারাপ লাগছে আসলে দৃশ্যটি। কারণ বাচ্চা গুলো মনে মনে নিশ্চয়ই অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছে তার জন্যই তাদের চোখে পানি। তবে দোয়া করি আপনারা সবাই যেন একসাথে আবার মিলিত হতে পারেন। ধন্যবাদ আপনার এতো ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের সময় দেয়ার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এই ছবিটা দেখে আমার ছোট বেলার কথা মনে গেল। ফিল গুলি সত্যি খুব কষ্টের। আমার বাবা বিদেশে যাওয়ার সময় আমি এই ভাবে জরিয়ে ধরে খুব কান্না করতাম।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য, আসলে বাচ্চাদের জন্য বেশি খারাপ লাগে, আমরা বড়রা তা একটু মানিয়ে উঠতে পারি কিন্তু ওরা তা বুঝেনা।
আশাকরি আপনার প্রিয় জন নিরাপদে আপনাদের মাঝে ফিরে আসবে। আসলে প্রিয়জনের বিদ্যা মুহূর্তটা খুব কষ্টের হয়। নিশ্চয় আপনি আপনার প্রিয়জনকে খুব মিস করবেন। সৃষ্টিকর্তা আপনার প্রিয়জনকে যেন সবসময় ভালো রাখে এই আশা রাখছি।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এই মন্তব্যের জন্য।
আসলে নিজের কথাই না হয় বাদে দিলাম কিন্তু বাচ্চাদের কথা ভাবলে নিজেকে খারাপ লাগে। কিন্তু এটাই তো বাস্তব কর্মজীবনে মানুষকে এভাবে অবস্থান পরিবর্তন করতে হয়।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্ট ও আলোকচিত্র গুলোর জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
আপু শেষের ছবিটি খুবই হৃদয় বিদারক😞। যাইহোক আশাকরি আপনার হ্যাজবেন্ড ভালোভাবে দেশে পৌছাবেন। এবং আপনাদের সাথে তার আবার দ্রুত সাক্ষাৎ হবে। আপনাদের জন্য শুভকামনা।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য, আমার হাজব্যান্ড আল্লাহর রহমতে সহিসালামতে বাংলাদেশে পৌঁছে গেছেন।
শেষ ছবিটা খুবই হৃদয় বিতরক। আসলে প্রিয় মানুষ কে বিদাই জানাতে আমাদের সবারই অনেক কষ্ট লাগে। ছেড়ে যেতে মন চায় না তবুও যেতে হয়। ভাইয়ার জন্য দোয়া রইলো ভাইয়া যেন ভালো ভাবে পৌঁছাতে পারে 🥰
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য, আল্লাহর রহমতে ভাইয়া ভালোভাবেই বাংলাদেশ পৌঁছে গেছেন।
এই রকম আবেগপূর্ণ লেখা আমি সচারচর এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি, বিদায় বেলা আমি কারো সাথে যাই না এগিয়ে দিতে। কারন এই মুর্হুতগুলোর সামনে আমি একদম অপ্রস্তুত হয়ে যাই। শেষের দৃশ্যটায় একেবারে আটকে গেলাম, ভাষা হারিয়ে ফেলছি, কিছু বলতে পারছি না। শুধু শুভ কামনা প্রকাশ করলাম।
আমিতো ভেবেছি ভাইয়া আপনি আমাকে ভুলে গেছেন, অনেকদিন পরে আপনার মন্তব্যটি পড়ে মনটা ভরে গেল, ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।