জীবন, মৃত্যু ও পরকাল - পর্বঃ ৫
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি। জীবন, মৃত্যু ও পরকাল নিয়ে ৫ম পর্বে হাজির হয়ে গেলাম।আজকের পর্বে কবরে আমাদের সাথে কি ঘটে তা নিয়ে আলোচনা করব।হয়তো ভাবতে পারেন এ কথাগুলো আমরা সকলেই জানি।হ্যাঁ আমরা কম বেশি সকলেই এ ব্যাপারগুলো জানি। আমরা এগুলো সকলেই জানি কিন্তু আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমরা এগুলো যত শুনব এবং জানবো ততই আমাদের মনগুলো নরম হবে এবং আল্লাহর দিকে বেশি ঝুঁকে যেতে পারব।তাই আমার এই প্রচেষ্ঠা। আসলে শয়তান সবসময়ই চায় ভাল কাজ হতে আমাদেরকে দূরে রাখতে। আমরা প্রতিনিয়ত তার সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। কেউ কেউ এ যুদ্ধ জয়ী হয় আবার কেউ কেউ হেরে যায়।তাই যতই ধর্মীয় জ্ঞান আহরন করা যায় ততই খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকা যায় এবং মনে অনেক শান্তি পাওয়া যায়। আশা করি আজকের পর্বটিও আপনাদের ভাল লাগবে।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
গত পর্বে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম রুহ গুলো ইল্লিইন ও সিজ্জিল এ রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর আবার দেহে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং তখন সকলেই বুঝতে পারে তারা তখন মৃত।এরপর ভয়ানক আকৃতির দুজন ফেরেশতা মুনকার-নাকির এসে হাজির হয় তাদের সামনে যাদের হাতে থাকে হাতুড়ি।তারা মৃত ব্যক্তিকে তিনটি প্রশ্ন করে, তারা শুধু উত্তর চায়, কোন অজুহাত তারা শোনেনা। যদিও তিনটি উত্তর আমরা সকলেই জানি অর্থাৎ আগে থেকেই প্রশ্ন দেয়া। কিন্তু যারা ভালো, ভালো কাজ করেছে, ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে শুধু তারাই এর উত্তর দিতে পারবে।অবশ্য কারো কারো ক্ষেত্রে এই ভয়ানক পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে না। ফেরেশতাদের প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে তোমার রব কে? এটার উত্তর হয়তো সবাই দিতে পারবে। অর্থাৎ আমাদের রব আল্লাহ। দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে তোমার দ্বীন কি অর্থাৎ আমাদের দ্বীন ইসলাম। তৃতীয় প্রশ্ন হচ্ছে তোমার নবী কে? অর্থাৎ যারা নবী ও নবীর সুন্নতকে মেনে চলেছেন, কখনোই নবীজির বিরোধিতা করেননি, নবীর প্রতি ভালোবাসা সব সময় যাদের অন্তরে রয়েছে শুধুমাত্র তারাই এর উত্তর দিতে পারবে। আর যারা পারবে না তাদের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হবে। হাতুড়ি দিয়ে প্রবল বেগে তাদের প্রহার করা হবে।ভয়ানক শাস্তির মধ্য দিয়ে কাটাতে হবে তাদেরকে। তাদেরকে তখন জান্নাত দেখানো হবে।জান্নাত দেখিয়ে বলা হবে যদি তোমরা আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে, ভালো কাজ করতে তাহলে তোমাদের অবস্থান হত এখানে। তখন তারা জান্নাতের নাজ নেয়ামত দেখে আরও আফসোসের ফেটে পড়ে।
অন্যদিকে যারা সবগুলো প্রশ্নের জবাব দিতে পারবে, তাদের কোন ভয় নেই। তখন তাদেরকে জাহান্নাম দেখিয়ে বলা হবে যদি তোমরা খারাপ কাজ করতে, আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে না চলতে তাহলে তোমাদের অবস্থান হত এইখানে।তখন তাঁরা মনে অনেক প্রশান্তি লাভ করে। এরপর তাদেরকে জান্নাতি পোশাক পরিয়ে দিয়ে শান্তিতে ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হয়। যখন কেয়ামত সংঘটিত হবে তখন প্রতিটি মানুষই আবার জেগে উঠবে। আজকে তাহলে এইটুকুই। আগামী পর্বে এরপর থেকে আবার আলোচনা করব।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞানের পরিসর থেকে এতোটুকুই আলোচনা করলাম।আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার পোস্টটা যখন পড়লাম তখন ঠিক ভেবেছি আর কখনো শয়তানের দোকায় পড়বো না।সত্যি আমরা এই তিনটি প্রশ্ন সবাই জানি কিন্তু আমরা যদি ভালো কাজ না করি তাহলে কবরে উত্তর দিতে পারবো না।আর আপনি ঠিক বলেছেন করবের সম্বন্ধে আমরা যতই জানবো ততই আমাদের মন নরম হবে।আল্লাহ আমাদের সবাইকে সব সময় নেক আমল আনার তৌফিক দান করুন, আমিন।ধন্যবাদ আপনাকে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ধর্মীয় কথা শুনলে মন নরম হয় এবং ধর্মের প্রতি অনুগত্য বৃদ্ধি পায়। তবে হয়তো কবরের এই বিষয় সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত তবে আমরা জানি যারা শয়তানের প্রবর্তনায় চলবে তারা কবরে তিনটি উত্তর দিতে পারবে না তাই আগে থেকে আমাদের এই বিষয়ে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে এবং যতদিন বাঁচবো ততদিন নিজেদের মন মানসিকতা ঠিক রেখে ধর্মের পথে চলতে হবে। আমি ইতো পূর্বে আপনার এই পোস্টগুলো পড়েছি, আজকের পোস্টটা পড়ে খুব খুশি হলাম।
আপু জীবন,মৃত্যু ও পরকাল নিয়ে লেখাগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন আপনাকে।কবরের জীবন সম্পর্কে খুব গুরুত্বপূর্ন বিষয় আপনি তুলে ধরেছেন। সত্যি কথা বলতে মৃত্যুর কথা আমাদের সব সময় স্মরন রাখা উচিত।আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে এই কথাটা মাথায় শুধু থাকলেই হবে না। এর জন্য আমল করে যেতে হবে।অনেক ভাল লাগলো পড়ে। ধন্যবাদ আপু।
আপনার লেখা এই সিরিজ গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে এর মাধ্যমে আসলে আমরা সতর্কতা অবলম্বন করতে পারছি। আমাদেরকে সবসময় ভালো কাজ করতে হবে থাকতে হবে সৃষ্টিকর্তা দেখানো পথ অনুযায়ী চলতে হবে এটাই ঠিক।।
কবরের প্রশ্নের জবাব তারাই দিতে পারবে যারা পৃথিবীর বুকে ভালো কাজ করে যাবে ভালো জবাব দিলে শান্তি আর জবাব না দিতে পারলে জাহান্নামের আগুন যা সর্বপ্রথম মানুষের কলিজায় আঘাত করবে।।
অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার এই পর্বটি পড়ে।।
জি আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন যত ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ করা যাবে ততই আমরা আল্লাহকে বেশি মনে করবো।আর শয়তান এর সাথে তো প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলতে হয় এই যুদ্ধে যারা জয়ী হয় তারাই প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তি।কবরে শায়িত হওয়ার পরের অনেক গুরুত্তপূর্ণ বার্তা আপনি শেয়ার করেছেন ৫ম পর্বে।খুব সুন্দর লেগেছে আপু পোস্টটি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এই পর্ব গুলো পড়ার পর মনের মধ্যে পরিবর্তন আসতে পারে। কবরের প্রথম প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হলে অবশ্যই পৃথিবীতে ভালো কাজ করতে হবে আর যারা ভাল কাজ করবে তারাই এই উত্তরগুলো দিতে পারবে। এই টপিক গুলো পড়ার পর অনেকের মনে ভয় সৃষ্টি হতে পারে,তারা খারাপ কাজ থেকে সরে আসতে পারে।
জি আপু! শয়তান সবসময় আমাদেরকে খারাপ কাজের দিকে ডাকে! যারা সঠিক ইমান এনেছে তার খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে পারে। সঠিন ইমানদার ব্যক্তিগণ তিনটি প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারেন। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকেও সেই তৌফিক দান করেন। আমিন 🌼🦋
আপুৃ আল্লাহর কাছে শুধু একটাই প্রার্থনা তিনি যেন আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করেন। আর ভালো মানুষ হতে না পারি অন্তত খারাপ মানুষ যেন না হই। আশাকরি আপনার পোষ্টগুলোর মাধ্যমে পরকাল আর মৃত্যু সম্পর্কে সবাই সাবধান হবে।
আপু আপনার জীবন, মৃত্যু ও পরকালের পঞ্চম পর্ব পড়ে খুব ভাল লাগলো। আমাদের উচিৎ মৃত্যু ও পরকালের কথা সব সময় মনে রাখা। দোয়া করি সমস্ত মুনিন ব্যক্তিরা যেন কবরের তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। ধন্যবাদ আপু।
আপু প্রতিদিন ভাবী আর কখনও শয়তানের ধোকায় নিজেকে সোপে দিবো না। আজও আপনার পোস্টটি পড়ে তাই মনে হচিছলো। ভাল কাজ করলে আমরা অবশ্যই পরকালে ভাল কিছু পাবো। তাই আমাদের উচিত পড়কালের কথা সব সময় মনে রাখা।