আমাদের ঈদের দিনটি

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।

IMG_2001.jpeg

ঈদ মোবারক।আশা করি সকলেরই ঈদ ভালোভাবে কেটেছে।আপনাদের একদিন আগেই ঈদ করে ফেলেছি।ছোটবেলার সেই ঈদের আনন্দটা আজ হারিয়ে ফেলেছি।খুব বেশি কষ্ট হয় মনে পড়লে সেই দিন গুলো।ছিল না কোন কাজের চাপ, কোন দায়িত্ব, মুক্ত পাখির মত ঘুরে বেড়াতাম।বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের বাসায় যেতাম, সালামি পেতাম। কতইনা আনন্দের ছিল সেই দিনগুলো! ছোটবেলায় ঈদের কয়দিন আগে থেকে শুরু হয়ে যেত ড্রেসের সাথে ম্যাচিং করে চুড়ি, কানের দুল, জুতো স্যান্ডেল সবকিছু রেডি আছে কিনা চেক করা।আর এখন ঈদের কয়দিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় ঈদের পিঠাপুলি বানানোর ধুম।যদিও আমাদের ওই দিকে ঈদের দিন তেমন পিঠার আয়োজন করা হয় না।কিন্তু সিলেটে এটির খুব বেশি প্রচলন। প্রতিটি ঘরেই পিঠার আয়োজন থাকে।প্রায় ৫/৬ রকমের পিঠা বানিয়ে সকালবেলায় ঈদের দিন নাস্তা করে।যেহেতু আমিও এখন সিলেটি বউ তাই আমারও এখন এগুলো বানাতে হয়। যদিও আমি এ সকল পিঠা কিছুই বানাতে পারতাম না, এখন ধীরে ধীরে একটু একটু করে শিখেছি।তাই ঈদের কয়েকটি দিন আগে খুব বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয়।এ ছাড়া ঈদের কুকিং তো আছেই।

IMG_1922.jpeg

IMG_1921.jpeg

IMG_1914.jpeg

IMG_1913.jpeg

IMG_1912.jpeg

IMG_1925.jpeg

IMG_1924.jpeg

এগুলো ছিল আমার ঈদের দিন সকাল বেলার নাস্তা।সবকিছুই আগে থেকে বানিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম। ঈদের দিন সকাল বেলায় শুধু তেলে ভেঁজে নিয়েছি।শুধুমাত্র সেমাই করেছিলাম সকালবেলা।আর আগের দিন সব রান্না শেষ করে ফেলেছিলাম রাতের বেলায়।আইটেমস গুলোর মধ্যে ছিল রোস্ট, সাতকরা দিয়ে গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ ভুনা, ইলিশ মাছ ভুনা, টিকিয়া, ম্যাকেরেল মাছ ভাঁজা।এগুলো সবকিছুই আগের দিন রাতের বেলা করেছিলাম। শুধু দিনের বেলায় পোলাও আর ভাত রান্না করেছিলাম।যেহেতু অনেক কিছুর আয়োজন থাকে তাই এই দেশে সকলেই ঈদের আগের দিন সব রান্না শেষ করে ফেলে।তাই ঈদের আগের রাত খুব বেশি কষ্ট হয়। সমস্ত রান্নাবান্না শেষে ঘর ক্লিন করা, এরপর আবার বাচ্চারা বসে থাকে হাতে মেহেদি পড়ার জন্য।কাজের ফাঁকে কোন এক সময় এসে হাতে মেহেদি পড়িয়ে দিয়ে যাই। কারণ তারা ঘুমিয়ে পড়বে, বেশি রাত হলে আর মেহেদি পরতে পারবে না।

এবার আমাদের আর ঈদের দিন কোথাও যাওয়া হয়নি, কারণ হাজবেন্ডের রেস্টুরেন্ট খোলা ছিল ঈদের দিনে। ঈদের দিন ফাদার্স ডে ছিল এ কারণে আগে থেকেই বুকিং ছিল রেস্টুরেন্ট। শুধুমাত্র আমার ভাসুরের ফ্যামিলি এসেছিল আমাদের বাসায়।সকলে মিলে দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করি। শুধু এটাই ছিল আমাদের ঈদের আনন্দ।যদিও আমার ছোট ভাসুর বলেছিল লন্ডনে বড় ভাসুরের বাসায় যেতে। কিন্তু আমি আর যাইনি কারণ হাজব্যান্ড ছিল না, আর পরের দিন বাচ্চাদের স্কুল খোলা থাকবে আসতে আসতে অনেক রাত হয়ে যাবে।ছোট মেয়ের ফ্রেন্ড ছিল বাসায় সারাদিন। ঈদের দিনটিতে প্রতিবেশীর কয়েকজন বাচ্চা, আর ফ্রেন্ড নিয়ে কাটিয়েছে তারা গার্ডেনে বেশ কিছু সময়।এভাবেই কেটেছিল আমাদের ঈদের দিনটি।

IMG_1986.jpeg

IMG_1987.jpeg

IMG_1968.jpeg

IMG_1962.jpeg

IMG_1957.jpeg

IMG_1956.jpeg

IMG_1943.jpeg

IMG_1977.jpeg

আজ তাহলে এতটুকুই, আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।

Photographer@tangera
DeviceI phone 15 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 5 months ago 

সময় চলে যায় তার সাথে চলে যায় সেই মূহূর্তগুলো। যেগুলো আর ফিরে তো আসে না কিন্তু স্মৃতিতে থেকে যায়। ঈদের দিনে আপনাদের পিঠা খাওয়ার চল থাকলেও আমাদের দিকে নেই। আপনি দেখছি অনেক প্রকার পিঠা তৈরি করেছেন। সঙ্গে অন্য খাবার গুলোর বাহারও ছিল। বাহ বেশ চমৎকার ছিল। তবে আপনার ঈদটা একেবারে বাড়িতেই কেটেছে এটা দেখে খারাপ লাগছে।

 5 months ago 

আপু সেই ছোটবেলার ঈদের দিনগুলো সত্যিই ভীষণ মিস করি। এখন শত চেষ্টা করেও সেই আনন্দ খুঁজে পাই না। শত কাজের চাপ ,দায়িত্ব, ব্যস্ততায় ঈদের দিনটি কিভাবে শেষ হয়ে যায় বুঝতেও পারি না ।সবাই মিলে আবারো যদি সেই ছোটবেলার ঈদের দিনগুলো পালন করতে পারতাম সত্যিই ভীষণ ভালো লাগতো। বাচ্চাদেরকে বেশ ভালো লাগছে ঈদের ড্রেসে। সবাই মিলে বেশ আনন্দ করেছে বোঝা যাচ্ছে ।আর আপনি ঈদে একা একা বেশ কিছু খাবারের আয়োজন করেছেন দেখছি। বেশ ভালো লাগলো সবকিছু মিলে।

 5 months ago 

আপু আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ঈদ মোবারক। সত্যি আপু মাঝে মাঝে ছোটবেলার সেই ঈদের কথা অনেক মনে পড়ে। অনেক ইচ্ছে করে আবারও সেই দিনগুলোর মাঝে ফিরে যেতে। আপু আপনি ঈদের দিন অনেক ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি। আর যেহেতু ভাইয়ার রেস্টুরেন্ট খোলা ছিল তাই তো বাহিরে যেতে পারেননি। তবে আপনি কিন্তু বেশ ভালোভাবেই পিঠাগুলো তৈরি করেছেন আপু। সিলেটের মানুষজন পিঠা খেতে পছন্দ করে বুঝতেই পারছি।

 5 months ago 

ঈদ মোবারক আপু।আসলে ভিন্ন ভিন্ন জেলা আর ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম নীতি।তবে আগে থেকে পিঠা বানিয়ে রেখে দিয়েছেন।তাইতো ভেজে দিলেই হয়ে গেলো।বাসায়ই কাটিয়েছেন এবার।ছোট মেয়ের ফ্রেন্ড ও প্রতিবেশীদের বাচ্চাদের সাথে মেয়েরা খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছে আশাকরি।ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে আপু।ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার কিছু অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 5 months ago 

সিলেটের মানুষজন পিঠা খেতে খুব পছন্দ করে এবং ঈদের দিন তারা অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেয়ে থাকে। এটা আমি সাউথ কোরিয়াতে থাকতে অনেক দেখেছি। যাইহোক বেশ মজার মজার পিঠা তৈরি করেছেন আপু। পিঠাগুলো দেখতে সত্যিই বেশ লোভনীয় লাগছে। ব্যস্ততার মধ্যেও ঈদের দিনটা মোটামুটি ভালোই কাটিয়েছেন আপু। তবে ভাইয়ার রেস্টুরেন্ট ঈদের দিন বন্ধ থাকলে, হয়তোবা বাহিরে গিয়ে আরও ভালো সময় কাটাতে পারতেন। যাইহোক পোস্টটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 67340.80
ETH 2419.68
USDT 1.00
SBD 2.35