লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী কিছু স্থান পরিদর্শন, সাথে কিছু ফটোগ্রাফি, পর্বঃ ১৬
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী কিছু স্থানের ১৬ তম পর্ব নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম।গত সপ্তাহে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম London Madame Tussauds এর ষষ্ঠ পর্ব যেখানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের মোমের মূর্তি রাখা আছে।আজকে এর শেষ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।আজকের পর্ব দিয়ে মোট ৭টি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়ে যাবে। আজকের পর্বে বেশিরভাগই অচেনা, একজন আছে শুধু চেনা যাকে আমরা প্রায় সকলেই তার নামে চিনি।কিন্তু আমরা অনেকেই কখনো তার কোন ছবি দেখিনি, তিনি হচ্ছেন বিখ্যাত সেই ইংলিশ লেখক যার লেখা “রোমিও এন্ড জুলিয়েট” সবার মুখে মুখে। রোমিও এন্ড জুলিয়েট এর গল্প কাহিনী জানে না আমার মনে হয় এমন লোক খুব কমই আছে। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন সেই লেখক কে? হ্যাঁ তিনি সেই বিখ্যাত লেখক শেক্সপিয়ার তাকে আপনারা আজ দেখতে পারবেন।আর যার নামে এই Madame Tussauds এর নামকরণ তাকেও দেখতে পারবেন। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূলপর্বে, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানে বেশিরভাগ মূর্তি গুলো একেবারে বাস্তব মনে হয়, বোঝার উপায় নেই কে মানুষ, কে মূর্তি? ওই সময়ে একজন ইচ্ছে করে মজা করার জন্য মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে ছিল।আমরা কাছে গিয়ে বুঝতে পারছিলাম না লোকটি মানুষ না মূর্তি ? তাই হাত দিয়ে লোকটিকে বাচ্চারা টাচ করে দেখছিল।কিন্তু তারপরও বুঝতে পারছিলাম না। পরে অবশেষে দেখি লোকটা আমাদের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তাহলে চিন্তা করে দেখুন কি অবস্থা সেখানকার?
তিনি সেই বিখ্যাত ইংলিশ লেখক শেক্সপিয়ার।
ঘুমন্ত অবস্থায় বানিয়ে রেখেছে একটি মূর্তি।
সেই বিখ্যাত Madame Tussaud.
এখানে ছোট বড় সকলের জন্যই একটি রাইডের ব্যবস্থা আছে যেখানে সবাই প্রায় ১৫ মিনিটের মতো ঘুরে ঘুরে চারিপাশ উপভোগ করতে পারে। আমরাও সেখানে উঠেছিলাম এবং কয়েকটি ভিডিও করেছিলাম।আপনাদের জন্য তা শেয়ার করা হল, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে। আগামী পর্বে নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনি লন্ডনের এই ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনগুলো খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। এই ছবিগুলো আমি আগে কখনোই দেখিনি। আপনি শেয়ার করার মাধ্যমেই এগুলো দেখলাম। এই ছবিগুলো দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং আমি অনেকটাই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি আপু।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আসলে ব্যাপারটা খুবই মজার, যেখানে মূর্তি এবং মানুষের মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায় না, সেখানে অবাক হওয়ারই কথা। অসাধারণ ছিল মোমের মূর্তিগুলোর ফটোগ্রাফি। আজ শেষ পর্বে এসে আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন নতুন নতুন ফটোগ্রাফি। আপনার জন্য রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
London Madame Tussauds আজকে শেষ পর্ব জেনে খারাপ লাগছে। বেশ কিছুদিন অনেক সুন্দর সুন্দর মোমের মূর্তি দেখতে পেয়েছি। আজকের মূর্তিগুলো আমার কাছে সব থেকে বেশি অরজিনাল মনে হয়েছে। প্রতিটি মূর্তি মনে হচ্ছে যে সত্যিকারের দাঁড়িয়ে আছে । বিশেষ করে প্রথম মেয়ের মূর্তিটি একদমই বোঝা যাচ্ছে না যেটি মোমের তৈরি। তাছাড়া শেক্সপিয়রের মূর্তি টিও খুব সুন্দর হয়েছে। ভিডিও দেওয়ার কারনে রাইডটি দেখতে খুব ভালো লাগছিল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগতেছিল।তবে আজকে শেষের পর্ব জেনে একটু খারাপ লাগলো। যে শেষ হয়ে গেল, ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে মূর্তিগুলো ছিল অসাধারণ। মানুষ এবং মূর্তির মধ্যে ভালো করে বোঝা যাচ্ছিল না। এত নিখুত ভাবে তৈরি আজকে শেক্সপিয়ারের মূর্তি খুবই ভালো লাগলো এবং ঘুমন্ত একটি মেয়ের মূর্তি আরও বেশি ভালো লেগেছে।
আপু আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমরা লন্ডনের কিছু ঐতিহাসিক দৃশ্য দেখতে পেয়েছি অনেক বার। ঠিক বলেছেন আপু অনেক মজার ব্যাপার মূর্তিগুলো সত্যি আমার কাছেও দেখে মনে হচ্ছে বাস্তব। আসলে আপু লোকটি যখন মারছে আবার ও পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছে তাহলে কি কখনো বোঝা যায় এটি মূর্তি। সত্যি এটি তো অনেক অবাক এর একটি বিষয়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
লন্ডনে ঐতিহ্যবাহী এই মূর্তি গুলো আমার খুবই ভালো লাগে। আসলে এই মূর্তি গুলো মানুষের মতই দেখতে তাই বেশি ভালো লাগে। আজকে শেষ পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। তবে শেক্সপিয়ারের মূর্তি খুব ভালো লাগছে।
আসলেই আপু মূর্তি গুলা এতটা বাস্তব সম্মত যে দেখে বোঝার কোনো উপায় এই নাই।বিশেষ করে নিক ফুরি এর মূর্তিটা দেখে আমি তো সত্যিই মনে করেছিলাম হাহা।
প্রিয় আপু আমি আপনার লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী স্থান পরিদর্শনের প্রতিটি পর্ব দেখেছি ৷ তাই আজকেও তার ব্যতিক্রম নয় ৷ সত্যি বলতে অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী কিছু স্থান পরিদর্শন করে যে আলোকচিত্র গুলো শেয়ার করেছেন ৷
আর এটা সত্যি যে আমরা সবাই রোমিও এন্ড জুলিয়েটের নাম শুনেছি ৷ যারা কি না বিশ্ব প্রেমিক ছিল আর যার জন্য সে তার প্রিয় মানুষটির জন্য তাজমহল বানিয়েছিল ৷
আপু আপনার করা প্রতিটি ছবি দেখে মনে হচ্ছে বাস্তব ৷ কিন্তু তা আসলে নয় ৷
ধন্যবাদ আপু আমদের কে এভাবে নতুন নতুন লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী কিছু স্থান পরিদর্শনের নিদর্শন গুলো তুলে ধরবার জন্য ৷
“রোমিও এন্ড জুলিয়েট” এর লেখক শেক্সপিয়ার এর কথা অনেক শুনেছি। কিন্তু সত্যিই তাকে কখনো দেখিনি। কিন্তু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে তার মুক্তি দেখে ভীষণই ভালো লাগলো। আসলেই এখানে কে মানুষ কে মূর্তি সেটা বোঝাই যাচ্ছে না। কিন্তু একজন মানুষ মূর্তির মত করে দাঁড়িয়ে ছিল আর আপনারা বুঝতেই পারছিলেন না সে কে। ভীষণ অবাক হলাম। আবার সে কিনা আপনাদের সামনে দিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছিল। সত্যিই আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক অদেখা বিষয়গুলো দেখতে পারি। আর ভিডিও গুলো দেখে ভীষণই ভালো লাগলো।