লন্ডন ফুড বাজারে কিছু কেনাকাটা এবং আমার কিছু অনুভূতি
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমার শপিং করার কিছু অনুভূতি নিয়ে। এই প্রথম আমি হাজবেন্ডকে ছাড়া শপিং করলাম লন্ডন ফুড বাজার থেকে। গতকালে শপিং করতে গিয়েছিলাম লন্ডন ফুড বাজারে যেখানে আগে কখনও যাইনি। সাধারণত আমরা আমাদের লোকাল শপগুলো থেকে শপিং করে থাকি।অবশ্য এই কাজগুলো আমার হাজবেন্ডই করে থাকে।আমি খুব কমই শপিং এ যাই।এ ছাড়া বেশিরভাগ সময় অর্ডার দিয়ে থাকি, অর্ডার দিলে ডেলিভারি ম্যান বাসায় দিয়ে যায়।তবে আজ বুঝতে পারলাম অর্ডার দেয়া আর নিজে বেছে বেছে কেনাকাটা রাত দিন পার্থক্য।দেখে শুনে বুঝে অনেক কিছু কেনা যায় শপ থেকে।আর লন্ডন ফুড বাজার আমার বাসা থেকে অনেক দূরে , হাজবেন্ড মাঝে মাঝে এখান থেকে শপিং করে। আর এই গ্রোসারীটি বাংলাদেশীদের প্রাণকেন্দ্র, কারণ এখানে সবকিছুই বাংলাদেশ থেকে আসে।শুধু মাত্র বাংলাদেশিরাই এখান থেকে শপিং করে থাকে।লন্ডনের মধ্যে বড় বড় যতগুলো গ্রোসারি রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। আসলে লন্ডন এ আমার যে বড় ভাসুর থাকেন তার বাসায় এসেছিলাম আমার আরেক ভাসুরের সাথে।সামনে রোজা আসছে তাই সুজোগটি কাজে লাগিয়ে ফেললাম। লন্ডন ফুড বাজার থেকে আমার জরুরি খরচগুলো করে নিলাম।
শপিং এর জন্য রেডি।
বিশাল বড় এলাকা জুড়ে এই গ্রোসারিটি গঠিত। এখান থেকে বড় সাইজের একটি মৃগেল মাছ নিয়ে নিলাম। দাম নিয়েছে বাংলাদেশি টাকার প্রাই 4 হাজার টাকার মতো। এখানে সব কিছুরই দাম একটু বেশি।
কোন কিছুই বাদ নেই সব কিছুই রয়েছে এখানে।চাল-ডাল, চিড়া-মুড়ি, মাছ-মাংস, সবজি, ফল, মসলা সবকিছু রয়েছে এখানে।আমিও চাল, ডাল, ছোলা, বেসন, খেজুর প্রথমেই কিনে নিলাম কারণ সামনে রোজা আসছে।এরপর আস্ত একটি শিপ (ভড়া) কিনে নিলাম পুরো রোজার মাসের জন্য।এছাড়া, চিকেন, আরও কয়েক আইটেমের মাছ, কিছু সবজি, বাচ্চাদের জন্য পরোটা, চিকেন নাগেটস সহ আরও অনেক কিছু।
টিলদা বাসমতি চাল 20 কেজি, দাম রেখেছে বাংলাদেশি টাকার প্রায় 4 হাজার টাকা,আর শিপের দাম নিয়েছে বাংলাদেশের টাকার 15 হাজার টাকার মতো।যাই হোক সব মিলিয়ে £377 অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় 47 হাজার টাকার মতো খরচ করে ফেলেছি।
দেখুন দাম হবে না কেন? মাত্র কয়েকটি কুল বরই তার দাম নিয়েছে ছয় পাউন্ড অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকার প্রায় ৮০০ টাকার মত।
লাউ এর দাম ও নিয়েছে বাংলাদেশি টাকার প্রায় ৮০০ টাকার মত।
বাংলাদেশি চানাচুরও কিনেছি।
কিছু আদা ও রসুন পেস্ট কিনেছি কারণ রোজার সময় বারবার ব্লেন্ডার করা খুবই কষ্টদায়ক ব্যাপার।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
মজার বিষয় সেখানে বাংলাদেশের সব প্রোডাক্ট গুলো পাওয়া যায়। রমজান মাসের কেনাকাটা আপাতত সেরে নিয়েছেন। সুপার শপটি আপনার ভাসুরের বাসার পাশে হওয়ায় আপনার আরো বেশি সুবিধা হয়েছে। কেনাকাটার মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
লন্ডন ফুড বাজার থেকে রোজার কেনাকাটা সেরে নিলেন আপু।আসলে সবকিছুর দাম বাংলাদেশে বেড়ে গিয়েছে।এজন্য হয়তো রপ্তানি পণ্য গুলোর দামও বেড়ে গিয়েছে।আপনি যেখান থেকে শপিং করেছেন সেখানে যেহেতু বাংলাদেশী প্রোডাক্ট বেশি।ভাইয়াকে ছাড়া বাজার করে ফেললেন এবার বেশ অনেক টাকারই।ধন্যবাদ আপু সুন্দর লেগেছে আপনার শপিং ব্লগটি।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়াকে ছাড়া এই প্রথম তো বেশ ভালই শপিং করেছেন দেখছি। তাছাড়া আপনাদের ওখানে জিনিসপত্রের দাম তো দেখছি আকাশছোঁয়া। আমাদের জিনিসপত্র থেকে কয়েক গুণ বেশি ভালো করেছেন রোজার আগে একবারে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সব কিনে নিয়েছেন আস্ত একটি ভেড়া কত দিনে শেষ করবেন কে জানে। তাছাড়া এই সামান্য কয়টা কুলের দাম ৮০০ টাকা শুনে অবাক হয়েছি। ঠিকই বলেছেন আপনি অনলাইন থেকে সামনা সামনি দেখে কেনাকাটা করা অনেক বেশি ভালো। ভালো লাগলো আপনার শপিং দেখে।
এটা ঠিক বলেছেন যে নিজে বেছে বেছে কেনা এবং অনলাইনে কেনার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। আপনি তো দেখছি একবারে অনেক দিনের বাজার করে নিয়েছেন। ওখানে জিনিসপত্রের দাম তো দেখছি বেশ ভালোই বেশি। যেহেতু জিনিসগুলো এক দেশের থেকে আমদানি করে আনা হয়েছে তাই দাম একটু বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। যাই হোক আপনার কেনাকাটার মুহূর্তগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
আপু অনেক ভাল লাগলো আপনার কেনাকাটার অনুভূতিগুলো পড়ে। আপনি ফুড বাজার থেকে কেনাকাটা করলেন।সবকিছুর দাম বেশি। যদিও আমাদের এখানেও দাম সবকিছুর ই বেশি।এই প্রথম আপনি কেনাকাটা করলেন ভাইয়াকে ছাড়া।যাক সামনে রোজা আসছে। রোজার প্রিপারেশন একটু আলাদা। তাই আপনি অনেক কিছু কিনে নিলেন।বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ৪৭ হাজার টাকার জিনিসপত্র কেনাকাটা করলেন।সুন্দর অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার কেনাকাটার অনুভূতি শুনে বেশ ভালো লাগলো। এই প্রথম ভাইয়াকে ছেড়ে একা বাজার করলেন। এখানকার সবকিছুর অনেক দাম দেখছি, মাছ মাংস এমনকি লাউ অনেক দাম নিয়েছে। তবুও দেশি জিনিস খাওয়ার মধ্যে স্বাদই আলাদা। প্রায় ৪৭ হাজার টাকার অনেক বাজার করেছেন। ধন্যবাদ আপু চমৎকার পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
অর্ডার দিয়ে পণ্য করায় করার থেকে নিজে গিয়ে দেখে ভালো মানের পণ্য করায় করা যায়।। এবং নিজের ইচ্ছামত সবকিছু কিনা যায়।।
অনেক বড় একটি শপিং মলের বর্ণনা দিয়েছেন।। সব থেকে বেশি ভালো লাগলো যে বাংলাদেশের সব ধরনের পণ্য এখানে পাওয়া যায়।।
আমাদের দেশের টাকার মান কম থাকায় হয়তো আপনি ৩৭৭ খরচ করেই বাংলাদেশের ৪৭০০০ হয়ে গিয়েছে।।
ধন্যবাদ আপু আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনার অনুভূতি এবং মার্কেট করার বিষয়।।
এখানে আপনি দুইটি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এক আপনার হাসবেন্ড ব্যাতীত বাজার করা, দুই হল যেহেতু আপনি অর্ডার দিয়ে জিনিসপত্র ক্রয় করেন আর আজ আপনি সরাসরি সেগুলো ক্রয় করেছেন। প্রত্যেকটা জিনিস যদি আপনি নিজে গিয়ে ক্রয় করেন তাহলে সেখানে একটু হলেও লাভবান হবেন। যাহোক সামনে রোজা রোজা পিপারেশন একটু আলাদাভাবে নেওয়া লাগে। আপনি ৪৭ হাজার টাকার বাজার করেছেন। লন্ডনে আপনার বড় ভাসুর থাকে তার বাসায় এসেছিলেন এবং আরেক ভাসুরের সাথে এসেছিলেন। একটা লাউ এর দাম ৮শত টাকা 😵।
লাউয়ের দাম ৮০০ টাকা ভাবতেই অবাক লাগছে আপু😱। আসলে আমরা বাংলাদেশে কত সস্তায় সবজি কিনে খাচ্ছি। আর আপনি বিদেশের মাটিতে থেকে বাংলাদেশের এই সবজি গুলো অনেক চড়া দামে কিনে খাচ্ছেন। তবুও নিজের দেশের সবজি, মাছ, এগুলো খেতে নিশ্চয়ই অনেক ভালো লাগে। তবে দামের দিক থেকে অনেকটাই বেশি। যাইহোক আপু সামনে যেহেতু রমজান মাস আসছে তাই আপনি প্রয়োজনীয় বাজারগুলো করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। তবে জিনিসপত্রের দাম অনেকটাই বেশি মনে হচ্ছে।