ঘরের মানুষের ঘরে ফেরা, সাথে কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।টানা দুই মাস পর হাজব্যান্ড বাংলাদেশ থেকে অবশেষে ঘরে ফিরল।তার কিছু কাজের জন্য বাংলাদেশে গিয়েছিল।এর আগেও একবার আমাদেরকে রেখে বাংলাদেশ গিয়েছিল, অবশ্য যদি এখানে আমার দুই ভাসুর না থাকতো তাহলে এভাবে একা রেখে যেতে পারত না। আমার এক ভাসুর আমার বাসার কাছেই থাকেন, আর একজন একটু দূরে।মূলতঃ তাদের উপর ভরসা করেই রেখে যায়। ভাসুর কাছে থাকাতে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি, কারণ সবসময় আমাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং যখন যা লাগে তা বাসায় দিয়ে গিয়েছেন। শুধু বাচ্চাদের নিয়ে একটু প্রবলেম হয়েছে সারাক্ষণ শুধু দিন গণনা করেছে কবে তাদের বাবা ফিরে আসবে? বাবাকে পেয়ে এখন তাদের আনন্দের কোন সীমা নেই।বাংলাদেশ থেকে ফিরে আসার পর কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূলপর্বে।
এয়ারপোর্টে যাওয়ার সময় কিছু ফটোগ্রাফি।
হাজবেন্ড আমাদের এখানকার স্থানীয় সময় বিকেল চারটার সময় হিথ্রো বিমানবন্দরে ল্যান্ড করে। তাই সকাল সকাল ঘরের যাবতীয় কাজ কর্ম ও রান্না বান্না সেরে আমরাও বেলা ৩ টার সময় বের হয়ে যাই বাসা থেকে। কারণ এখান থেকে এয়ারপোর্ট যেতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে। যদিও আমাদের বাসার কাছেই একটি এয়ারপোর্ট রয়েছে কিন্তু এখানে বাংলাদেশ বিমানবন্দরের কোন ফ্লাইট নেই, তাই হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে যেতে হয়।
অবশেষে বাচ্চারা তার বাবাকে পেয়ে গেল।
ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের যাওয়ার সময় যেমন লাগেজ ভর্তি জিনিসপত্র নিয়ে যেতে হয় আত্মীয়-স্বজনের জন্য, আবার ঠিক ফিরতেও তেমনি লাগেজ ভর্তি করে ফেরত আনতে হয়, কারণ এখানেও অনেক আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। কিন্তু একজনের জন্য মাত্র ৪০ কেজি এলাও করে, ৪০ কেজির বেশি আনা যায় না। এবার তেমন কিছু আনতে পারেনি শুধু কিছু কাপড়চোপড়, জুয়েলারি, সামান্য শুঁটকি মাছ এবং আরও কিছু টুকটাক জিনিষপত্র এনেছে। আমার খুব শখ হয়েছিল কচু শাক খাওয়ার জন্য, তাই কচু শাক ও এনেছে, আর তেতুল আনতে বলেছিলাম, আর বাচ্চাদের জন্য কিছু খেলনা।প্রতিবার যখন আসা হয় তখন সাতকরা, লেবু, আদা জামির, এবং আরও কিছু খাওয়ার আইটেমগুলো থাকে। এবার আনতে পারেনি কারণ তার কিছু আত্মীয়-স্বজন এবং পরিচিত লোকজন তার সাথে অনেক জিনিসপত্র পাঠিয়েছে। প্রায় ২০ কেজি হবে পরের মালপত্র, আর নিজের ছিল মাত্র ২০ কেজি। তাই নিজের প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্র রেখে এসেছে।একেকজন পাঁচ কেজি করে মাল পত্র দিয়েছে, আর আমার হাসব্যান্ডও না করতে পারেনি। মানুষের বিবেকও বুঝিনা, একজন মানুষের কাছে কিভাবে এতগুলো মালপত্র দেওয়া যায়? যাই হোক আমার হাজব্যান্ড একটু অন্য প্রকৃতির মানুষ, তাই কাউকে না বলতে পারেনা কখনো।
মা ও মেয়েদের জন্য কিছু জিনিসপত্র।
আমার প্রিয় কচু শাক। এই শাক রান্না করে একদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
অবশেষে ঘরের মানুষ ঘরে ফিরল।বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে। আগামী পর্বে নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া যে নিজের জিনিসপত্র সব রেখে অন্যের জিনিসপত্র আনেনি তাই অনেক। তাও তো ২০ কেজি নিজের জন্য নিয়েছে। বাচ্চারা কেন যে বাবার এত ভক্ত হয় বুঝতে পারিনা। দু একদিন বাবাকে না দেখলেই অস্থির হয়ে যায় সেখানে তো দুই মাস। খুবই খুশি হয়েছে বাচ্চারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। যাক ভালো মতো পৌঁছেছে তাই আলহামদুলিল্লাহ। আপনি আর জিনিস পেলেন না এত দূর থেকে কচু শাক আনিয়েছেন।
এই দেশি মাঝে মাঝে কচু শাক পাওয়া যায় কিন্তু এত ফ্রেশ পাওয়া যায় না।
দীর্ঘ দুই মাস পরে ভাইয়া সুস্থভাবে বাসায় ফিরেছে দেখে ভালো লাগলো। বাবাকে পেয়ে বাচ্চারা যে খুবই খুশি হয়েছে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আসলে বাবাকে ছাড়া বাচ্চারা থাকতে চায় না । তবু ও আপনি দুই মাস একা একা থেকেছেন , কোন অসুবিধা হয়নি জেনে ভালো লাগলো । আপনাদের জুয়েলারি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। আপনার প্রিয় কচু শাকের রেসিপি অপেক্ষায় রইলাম আপু । ধন্যবাদ ।
অবশ্যই দেখতে পাবে, রান্না করে খাওয়াও শেষ।
এতো দিন পর বাবাকে কাছে পেয়ে বাচ্চারা নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছে।আপনাদের জন্য অনেক জিনিসপত্র নিয়ে এসেছে।আপনার প্রিয় কচু শাক ও এনেছে।বাচ্চারা খেলনা পেয়ে খুশি হয়েছে অনেক।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
আত্নীয় স্বজন পাশে না থাকলে মেয়েদের নিয়ে একা থাকলে বেশ কষ্ট হতো।আসলে ছেলেমেয়ে গুলো এমনই বাবা ভক্ত বেশ🥰।যাই হোক আপনার এবং মেয়ের জন্য তো সুন্দর সুন্দর কাপড়চোপড়, জুয়েলারি, নিয়েছে মনে হচ্ছে। কচু শাকের রেসিপির অপেক্ষায়। ধন্যবাদ আপু
অবশ্যই খুব শীঘ্রই কচু শাকের রেসিপি দেখতে পাবেন আপু, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
যাক, বাবাকে পেয়ে এখন তারা ভীষণ খুশি! ভালো লাগার মুহূর্তটা সেখানেই। আর আসলে মানুষের বিবেক বুদ্ধি নেই কি না! এতো কিছু কিভাবে দিয়ে দেয় আসলে, এতোদূরের রাস্তা তারউপর এতোগুলো মালামাল। যায়হোক, বাংলাদেশের কচুশাক খেতে অনেক মজা আর পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ তো আছেই।
আসলেই সব ধরনের শাকই অনেক মজার, কিন্তু আমার কাছে বেশি মজা কচু শাক, পুঁই শাক এবং লাল শাক, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সবচেয়ে মজা লাগলো সেটা হচ্ছে আপনার কাছে কচুর শাক খাওয়াটা একটা শখ মনে হয়েছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশে আসলে এই ভাইয়ের কথা স্মরণ করবেন আমি আপনাকে কচুর শাক পার্সেল করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিব।
অবশ্যই আপনাকে স্মরণ করব, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বাচ্চারা তার বাবাকে পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে, এই মুহুর্তটা আসলে অনেক আনন্দের ছিল এবং আত্মীয়-স্বজনদের জন্য অনেক কিছু নিয়ে আসতে হয়। কিন্তু ৪০ কেজির বেশি নেওয়া যায় না. তাই আপনি প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে হয়, তবে কচুশাকের বিষয়টি আমার কাছে ভালো লেগেছে।
আসলে অনেকদিন ধরে আমার কচু শাক খেতে ইচ্ছে করছিল, তাই সুযোগ হলো বাংলাদেশ থেকে আনিয়ে নিলাম, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু এক নতুন বিষয় জানতে পারলাম যে ফ্লাইটে ৪০ কেজির বেশি কিছু নিয়ম কানুন নেই ৷ আর আপনার হাসবেন্ট আপনার জন্য গ্রামের সেই রাস্তা ঘাটে থাকা কচু শাখ ৷ আহা
সত্যই গ্রামের এসব তরকারি খুবই স্বাদ আর ভিটামিন জাতীয় ৷ কচু শাখের রেসেপি শেয়ার করেবেন এমনটাই প্রত্যাশা ৷ যা হোক ঘরের মানুষের ঘরে ফিরেছে ৷ এটাই বড় পাওয়া এয়ারপোর্টের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি ভালো ছিল৷
আসলে একেক বিমানে একেক সিস্টেম, কোন বিমানে ৩০ কেজির বেশি নেওয়া যায় না, আবার কোন বিমানে ৪০ কেজির বেশি নেওয়া যায় না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
অবশেষে ঘরের মানুষ ঘরে ফিরে এলো বলেই, ছেলে মেয়েদের দেহে প্রান ফিরে এল।বাবাকে পেয়ে এখন তারা অনেক বেশি খুশি।দীর্ঘ দুই মাস পরে ভাইয়া আবার বাসায় ফিরল।এটা ঠিকই বলেছেন আপু আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবার জন্য যেমন কেনাকাটা করে নিয়ে যেতে হয়। আবার সেখান থেকেও লাগেজ ভর্তি করে আনতে হয়। কারণ এখানেও তো অনেক আত্মীয়-স্বজন আছে। তবে 40 কেজির বেশি তো আনা-নেয়া করা যায় না। তবে আপনার কচুশাক,,শুটকি এবং কিছু অনামেন্স, কিছু পোশাক নিয়ে এসেছে দেখে ভালই লাগলো।ঘরের প্রত্যেকটা মানুষের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।♥♥
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
সত্যিই দিদি, এতদিন পর দাদা ভাই কএ কাছে পেয়ে আপনি এবং আপনার বেবীরা সবাই খুব খুশি এবং উৎফুল্ল বুঝতে পারছি। তবে আজকাল সমাজটাই তো এমন, যে যত বেশি সইবে তার উটর তত চাপানো হয়। মানুষ যতক্ষণনা প্রতিবাদ করবে ততক্ষণ তার কষ্ট লাঘব হবে না। যাই হোক আপনারা সবাই মিলে এখন সময় কাটান একসাথে। শুভ কামনা করি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।