কিছু সময়ের জন্য মোবাইলটি হারিয়ে মনটা ভীষণ খারাপ
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
যেহেতু এখন বাচ্চাদের স্কুল হলিডে চলছে, তাই ঘরে বসে তাদের সময় মোটেও কাটছেনা। তাই মাঝেমধ্যে তাদেরকে নিয়ে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করছি। আজকে তাদেরকে নিয়ে বের হয়েছিলাম ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ট্রাম্পলিন পার্কে।এই পার্কটি শুধু বাচ্চাদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে, শুধু বাউনছি, লাফালাফি। অন্য একদিন এর ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।কিন্তু পার্কে সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরে আসার সময় গাড়িতে ঘটে গেল ছোট্ট একটি দুর্ঘটনা।মেয়ে দুটি খুব বেশি জাম্পিং করেছিল পার্কে তাই একটু ক্লান্ত ছিল। বড় মেয়েটি খুব বেশি ঘামছিল। গাড়িতে বসে সে জুস খাচ্ছিল।জুস খাওয়ার পর হঠাৎ করে বলে বমি বমি ভাব লাগছে। বলার সাথে সাথেই বমি শুরু। বমি দিয়ে নিজের কাপড়-চোপড় মাখানোর সাথে সাথে আমার কাপড়-চোপড় ও মাখিয়ে দিয়েছিল। আমার কাছে ওদের খাবারের একটি ব্যাগ ছিল।ওই ব্যাগটি সাথে সাথে ওর মুখের সামনে ধরি, কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি।সব কিছুই ভরিয়ে দেয়।কিন্তু যে ব্যাগটি ধরেছিলাম ওই ব্যাগ দিয়ে বমি পড়ে যাচ্ছিল তাই আমার হাজব্যান্ড ব্যাগটি নিয়ে রাস্তার পাশে একটি জংগলে ফেলে দিয়ে আসে। এদেশে রাস্তায় কোন কিছু ফেলানো এলাও না।কিন্তু আমাদের কোন উপায় ছিল না কারণ রাস্তার আশপাশে কোন ডাস্টবিন ছিল না তাই রাস্তার এক সাইডে গাড়ী থামিয়ে একটি জংগলে ফেলে দিয়ে আসে। বমি করার পূর্ব মুহূর্তে আমার হাতে ছিল মোবাইল, সাথে কোন হ্যান্ড ব্যাগ ছিল না তাই মোবাইলটি হাতেই ছিল।
বমির ব্যাগ ফেলে দেওয়ার পনেরো মিনিট পর আমার মোবাইলের কথা মনে পড়ে।হঠাৎ করে দেখি আমার হাতে মোবাইল নেই, এমনকি গাড়ীর ভিতরে কোথাও মোবাইল নেই। তখন আমার মনে হচ্ছিল মনে হয় মোবাইলটি বমির ব্যাগের মধ্যে চলে গিয়েছে। হাজব্যান্ড মোবাইলে কল দিলে কল যাচ্ছিল না, বন্ধ দেখাচ্ছিল। তখন ওই মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছিল বমির ব্যাগ থেকে মনে হয় কেউ মোবাইলটি নিয়ে বন্ধ করে রেখেছে মোবাইলটি। আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল, আমার পানি পড়া দেখে আমার মেয়ে দুটিও কান্না করেছিল। আমার ডিসকর্ড, বাইনান্স, পলোনিক্স সবকিছুই গুগল অথেন্টিকেশন সেট করা।কোথাও কোন ব্যাকআপ ছিল না। ওই মুহূর্তে মনে হচ্ছিল আমার সবকিছুই শেষ হয়ে গিয়েছে। আর মোবাইলটিও আমার খুব শখের, তাই খুব বেশি কষ্ট হচ্ছিল। পনেরো মিনিটে অনেকটা পথই আমরা চলে এসেছি।এরপর আমার ভাসুর আবার গাড়ি ব্যাক করে সেই জায়গায় যায় যেখানে বমির ব্যাগটি ফেলা হয়েছিল। হাজবেন্ড গাড়ী থেকে নেমে ওই ব্যাগের কাছে গিয়ে ব্যাগে খোঁজ করে।কিন্তু ব্যাগের মধ্যে কোন মোবাইল নেই। আমার মনে একটু আশা ছিল যে ওই ব্যাগের মধ্যেই মোবাইলটি পাওয়া যাবে। কিন্তু যখন দেখলাম ব্যাগে পাওয়া যায়নি তখন আরও বেশি কষ্ট লাগছিল। আমি জানি মোবাইলটি আমার হাতেই ছিল গাড়িতে, ফেলে আসিনি।তাই আবার খুব ভালোভাবে গাড়ির মধ্যে চারিপাশ খোঁজ করতে লাগলাম।গাড়ির সিটের নিচে অনেকটা দূর পর্যন্ত হাত এগিয়ে দিলাম।হঠাৎ করে হাতে বেধে উঠলো আমার শখের প্রিয় মোবাইলটি। ইস! মোবাইলটি হাতে পেয়ে তখন যে কত আনন্দ লাগছিল মনে তার আর বলে বোঝাতে পারবো না।অবশেষে মোবাইল টি পেয়ে খুশি মনে ঘরে ফিরলাম।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপু পরিবার নিয়ে পার্কে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন বুঝি! আমাদের ব্যবহৃত মোবাইল টা আমাদের সব থেকে বেশি শখের। একটা মোবাইল হারিয়ে গেলে কতটা কষ্ট হয় সেটা বুঝতে পেরেছি। যাইহোক অনেক খোঁজাখুঁজি করে শেষ পর্যন্ত নিজেদের গাড়ি ছিটের নিচে মোবাইল পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে হারানো জিনিস আবার ফিরে পেলে খুশির আর অন্ত থাকে না।
সত্যি ই আপু শখের জিনিস এমনি ভাবে হাত থেকে সরে গেলে খুব কষ্ট হয় তা বলে বোঝানো যাবে না।আমিও এর ভুক্তভোগী। আমার পাশে দাঁড়িয়ে আমার ব্যাগ থেকে মোবাইল নিয়ে যায় আমি আলাপও পাইনি।যাক শেষ পর্যন্ত গাড়িতেই পেলেন শোকর আলহামদুলিল্লাহ। আমার ও কেন জানি মনে হচ্ছিল ওই ব্যাগে নেই গাড়িতেই ওই সময়টাতে ছিটকে গেছে।মেয়ের অসুস্থতায় আলাপ পাননি।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খারাপ লাগলে ও পরে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপু বাচ্চাদের নিয়ে ইংল্যান্ডের বড় পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন। বাচ্চারা জুস খেয়েছিল এবং বমি করছিল। আর এর মধ্যে আপনার মোবাইলটা হারিয়ে গিয়েছিল। আপু আপনার লেখা পড়তে পড়তে হঠাৎ শুধু মনের ভিতর বলে উঠছিল মোবাইলটি কোথায় গেল? মোবাইল কি আপু হারিয়ে ফেললো নাকি।সত্যি বলছি আপু ভিতরে যেন একটা আবেগ কাজ করছিল। মনে মনে বলছি শেষ পর্যন্ত আপু মোবাইলটা পেয়েছে, শেষ পর্যন্ত কি আপু মোবাইলটা পেয়েছে। যাক শেষ পর্যন্ত আপনি মোবাইলটি পেয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আমার নিজের কাছে আনন্দ হচ্ছে, না জানি আপনার কতটা আনন্দ হয়েছিলঐ সময়। যেহেতু এই মোবাইলটা আপনার অনেক শখের এবং এই মোবাইলের মধ্যে সব কিছু রয়েছে। সত্যি আপু আল্লাহ যা করে মানুষের মঙ্গলের জন্যই করে। আপনা হারানো জিনিস ফিরে পেয়েছেন খুব ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার তো জান চলে গিয়েছিল। খুব মিস করলাম সেই সময়টিকে। আপনার যে কি অবস্থা হয়েছিল সেটা আমিও মনে হয় অনেকটা অনুভব করতে পারছি। তবে আমার মনে হয় বমির ব্যাগ বাচ্চার মুখে ধরার সময়ই অসচেনতা বসত মোবাইলটি গাড়ীর সিটের নিচে চলে গিয়েছিল। যার জন্য আপনাকে এতটা হয়রানী হত হয়েছে। যাক অবশেষে যে আপনার জানটিকে ফিরে পেয়েছিন এটাই বা কম কিসে। এরপর যেখানেই যান না কেন জানটিকে সাবধানে রাখবেন আশা করি।
আপু আপনার মোবাইল হারানোর ঘটনাটি পড়ে সত্যিই খুব খারাপ লাগছিল। তবে অবশেষ ে মোবাইল ফোনটি খুজে পেয়েছেন জেনে খুবই ভালো লেগেছে। গাড়ির মধ্যে আপনার বড় মেয়ে ব্যাগে বমি করার কারণে আপনার হয়তো মনে হয়েছিল সেই ব্যাগের ভিতরেই মোবাইল ফোনটি রয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পরে তা ভুল প্রমাণিত হলো। আর সেই মুহূর্তে মোবাইল ফোনটি না পেয়ে হয়তো আপনার ভীষণ খারাপ লেগেছিল।যাক যেভাবেই হোক না কেন মোবাইল ফোনটি তো ফিরে পেয়েছেন এটাই হচ্ছে বড় কথা। এই মোবাইল ফোনটি হারিয়ে যাওয়ার কারণে,ট্রাম্পলিন পার্কে ঘুরে বেড়ানোটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আপু আপনি অনেক কষ্টে সময়টা পার করেছেন বুঝতেই পারছি। একদিকে মেয়ে বমি করেছে অন্যদিকে শখের মোবাইল হারিয়ে গেছে। আসলে এরকম পরিস্থিতিতে যে কেউ কষ্ট পেতো😔। সত্যি আপু আপনার অনুভূতি বুঝতে পারছি। তবে শেষ পর্যন্ত ফোনটি ফিরে পেয়েছেন এটা জেনে সত্যিই অনেক ভালো। লাগলো আসলে অনেক শখ করে একটি মোবাইল সাজানো হয়। মোবাইলের ভেতরে থাকা সবকিছুই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে মোবাইল ছাড়া আমরা এক মুহূর্তও থাকতে পারি না। মোবাইল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। তাই মোবাইল খুঁজে না পেলে খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক।
তাছাড়া ব্যাকআপ ছিলো না বিধায় আরো বেশি কষ্ট লেগেছিল। যাইহোক অবশেষে মোবাইলটি খুঁজে পেয়েছেন,এটা জেনে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো আপু। আপনার পুরো পরিবারের প্রতি অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।
আপু আপনার ফোন হারানোর কথা শুনেতো আমারই খারাপ লেগেছিল ভাগ্গিস ফোনটি গাড়ির সিটের নীচে পেয়ে গেছেন । বমির ব্যাগে পড়লে তো বমি লেগে একাকার হয়ে যেত।
কি কান্ডটাই না ঘটলো। গাড়ির মধ্যে মোবাইল রেখে ফেলে দেওয়া বমির ব্যাগে খোঁজতে হলো। ঘটনা এমন হলো যে হাতের নিচে কাস্ত রেখে সারা বাড়ি খুঁজে,বউকে মেরে শেষ,হি হিহি। ধন্যবাদ।