আমার ঈদ উদযাপন : পর্ব ১
ঈদ মোবারক।বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। ঈদ মানে আনন্দ, হাসিখুশি, ঘুরে বেড়ানো আর খাওয়া দাওয়া। খুবই আনন্দের সাথে পরিবারকে নিয়ে কেটে গেল আজকের দিনটি। প্রতিবছর আমরা লন্ডনে যে বড় ভাসুর থাকে তার বাসায় ঈদ করতে যাই সকলে মিলে।কিন্তু এবছর আর যাওয়া হয়নি।এ বছর আমরা আমার ছোট ভাসুরের বাসায় পরিবারের সকলে একত্রে খুব আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপিত করেছি। এবছর আমরা বাচ্চাদের আনন্দের জন্য বেশ কিছু জায়গায় ঘোরাফেরা করেছি। অনেক অনেক ফটোগ্রাফি রয়েছে, একটি পর্বে সবগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করা যাচ্ছে না। তাই আমার এই ঈদ উদযাপনকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছি। আজকে তার প্রথম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আসলে ছোটবেলায় ঈদ আসলে যেমন আনন্দ উচ্ছ্বাস থাকে মনে বিয়ের পর সেই আনন্দটা আর তেমন থাকে না, কারণ তখন অনেক বড় দায়িত্ব নিতে হয়। ঈদ আসলে দু-তিন দিন আগে থেকেই শুরু হয় ঈদের আয়োজন। আর আমি একা মানুষ ঘরের সব কাজ আমাকে একাই করতে হয় এ কারণে আমার আরও বেশি কষ্ট হয়।এরপরও আমি ঈদের আগের দিন রান্নাবান্নার কাজ শেষ করে রাখি। শুধু রান্নাবান্নাই নয় ঈদের আগের দিন ঘর গোছানো থেকে শুরু করে সকাল বেলার নাস্তা পর্যন্ত রেডি করে রাখি। আসলে সিলেটিরা ঈদের দিন সকালে নানান রকমের পিঠার আয়োজন করে থাকে। অবশ্য আমি এত রকমের পিঠা বানাতে পারি না কারণ সময় খুবই কম, আর একার পক্ষে এত কিছু সম্ভব নয়। তারপরও আমি চেষ্টা করেছি ৫ প্রকারের পিঠা তৈরি করতে। শুধু তাই নয় সকল কাজকর্ম সেরে বাচ্চাদের হাতে মেহেদি পড়িয়েছি।শত কষ্ট হলেও আমি সব কাজ ঈদের আগের দিনই করে রাখি কারণ ঈদের দিন রান্নাবান্না ও অন্যান্য কাজ করে সময় নষ্ট করতে চাইনা।ঈদের দিনটা ভালোভাবে উপভোগ করতে চাই। সকাল ৭ টা থেকে শুরু করে রাত বারোটা পর্যন্ত সব কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে।
আগে ফটো তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম তাই খাওয়ার পরে যেগুলো বেচে গিয়েছে তার ফটোগ্রাফি নিয়েছি।
সকাল বেলায় নাস্তা শেষ করে ঈদের কাপড় চোপড় পড়ে বের হয়ে যাই ছোট ভাসুরের বাসায়। সেখানে সারাদিন কাটিয়ে খাওয়া-দাওয়ার পরে প্রথমেই বের হই তাদের বাড়ির পাশে পার্কে। এই পার্ক বাচ্চারা খুবই পছন্দ করে তাই ভাসুরের বাসায় আসলে অবশ্যই তাদেরকে এই পার্কে নিয়ে যেতে হবে।পার্কে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পরে সকলে মিলে বের হয়ে যাই আরো কিছু স্থানে ঘোরাফেরার জন্য।স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে Til gate park, Hollywood bowl, McDonald’s. আগামী পর্বে Til gate park এর অপরুপ সৌন্দর্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ঈদের আগের দিন সবকিছু রেডি করে রাখাতে খুব ভালো হয়েছে আপু। সেজন্য ঈদের দিনটা খুব ভালো ভাবে উপভোগ করতে পেরেছেন। আপনি আসলেই খুব এক্টিভ আপু। কমিউনিটির এতো বড় দায়িত্ব পালন করা,বাসার সব কাজ একা একা করা,মেয়েদের সামলানো। দীর্ঘদিন বাহিরে থাকার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি,এগুলো একসাথে সামলানো মোটেই সহজ কাজ নয়। যাইহোক মেয়েরা পার্কে গিয়ে বেশ মজা করেছে দেখছি। পার্কটি একেবারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এমন জায়গায় গিয়ে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার পুরো পরিবারের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।
ঈদ মোবারক আপু। ঈদের আনন্দ সবাই ভাগ করে নেয়ার মাঝেই সত্যিকারের আনন্দ নিহিত থকে।আর আগের মতো সত্যি ঈদের আনন্দ ওভাবে আসেনা।তবে এখন নানা রকমের খাবার পরিবেশন করে সবাইকে আনন্দ দেয়ার মাঝেই আনন্দ পাওয়া যায়। সিলেটের লোকেরা ঈদে নানা রকমের পিঠা করে আমি শুনেছি।ভাইয়া কি আপু সিলেটের?? খুব ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। এমন পার্কে না গিয়ে আসলে পারাও যায়না।আমার ই তো ইচ্ছে করছে দোলনায় উঠে দোল খেতে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকবেন এই কামনাই করি। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। 💞💞
হ্যাঁ আপু ভাইয়া সিলেটের।
ঈদ মোবারক আপু। ঈদের শুভেচ্ছা জানায় এবং আপনার পরিবারে প্রতি জানাই অবিরাম ভালোবাসা। আপনারা প্রতিবারই লন্ডনে বড় ভাসুরের বাড়িতে সবাই মিলে ঈদ উদযাপন করে থাকেন। ঈদের এই উদযাপন কে আপনি তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন এর মধ্যে প্রথম পর্ব আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার একটা কথার সাথে একমত ছোটবেলায় আমরা কত আনন্দ করতাম কিন্তু বিয়ে হওয়ার পরে সে আনন্দ গুলো আর থাকেনা। পরিবার নিয়ে পার্কেও বেশ আনন্দ করেছেন আপু। সবকিছু মিলে ঈদের প্রথম দিন খুবই সুন্দর কাটিয়েছেন। আপনাদের সবার জন্য রইল শুভকামনা।
প্রথমেই আপনাকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক। পরিবারের সাথে আপনি দারুন ভাবে ঈদ উদযাপন করেছেন। পরিবারের সাথে ঈদ পালন করার মজাটাই অন্যরকমের।
ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ, ঈদের মুহূর্তটা খুবই সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন। আর আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু পিঠা এত মজা হয়েছিল যে খাওয়ার আগে ফটোগ্রাফি করার কথা ভুলেই গেলেন। আপু সিলেটের মানুষরা যেকোনো অনুষ্ঠানে খুব ঘটা করে পালন করে থাকে। আপনি বিদেশে গিয়েও আমাদের দেশের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন। সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ