কিমা দিয়ে সমুচার মজার রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

আসসালামুআলাইকুম,

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।


IMG_1117.jpeg

আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি সমুচার রেসিপি নিয়ে। প্রায় এক বছর আগে আপনাদের সাথে এ ধরনের একটি রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম। তবে আগেরবার যখন শেয়ার করেছিলাম তখন এতে কিমার সাথে কিছু ভেজিটেবলস অ্যাড করেছিলাম। আসলে কিমার মধ্যে মটরশুঁটি অ্যাড করলে খেতে আমার কাছে দারুণ লাগে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বড় মেয়েটি কোন ভেজিটেবলস দিলে আর খেতে চায় না।এ কারণে ওর জন্য শুধু কিমা দিয়ে এই সমুসা তৈরি করেছিলাম এই ঈদে। আর শুধু কিমা দিয়ে তৈরি করলেও কিন্তু কিমার প্রকৃত স্বাদটি পাওয়া যায়।আর আমি এখানে শিপের কিমা ব্যবহার করেছি। আপনারা চাইলে যে কোন ধরনের কিমা ব্যবহার করতে পারেন। আর বাজারে রেডিমেড যে প্যাড গুলো পাওয়া যায় সেগুলো কিনে এনেছি।তাই প্যাড বানানের বারতি ঝামেলা আর নেই। যাইহোক আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।

চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ

উপকরণপরিমাণ
কিমা৫০০ গ্রাম
কিমার প্যাডপরিমান মত
পিঁয়াজ কুচি২ কাপ
কাঁচা মরিচ২/৩ টি
হলুদ গুড়া১ চা চামচ
কারিপাউডার১ টেবিল চামচ
মরিচ গুঁড়াহাফ চা চামচ
জিরা গুঁড়াহাফ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়াহাফ চা চামচ
গরম মসলার গুঁড়া১ টেবিল চামচ
লবনস্বাদমতো
আদা রসুন পেস্ট১ টেবিল চামচ
তেজপাতা২ টি
দারচিনি২ টুকরা
এলাচ, লবঙ্গ৩ টি করে
তেলভাঁজার জন্য

কার্যপদ্ধতিঃ

IMG_0087.jpegIMG_0088.jpeg

প্রথমেই কিমাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝরানোর জন্য রেখে দিয়েছি। এরপর পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কেটে নিয়েছি।

IMG_0090.jpegIMG_0091.jpeg

প্রথমে একটি হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, আদা রসুন ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।

IMG_0092.jpegIMG_0093.jpeg

এরপর গরম মসলাগুলো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে ফুল আঁচে রেখে দিয়েছি কিমা গুলো সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য।

IMG_0095.jpegIMG_0096.jpeg

এরপর সকল গুড়া মশলা গুলো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিয়েছি পানি শুকিয়ে যাওয়ার জন্য।

IMG_0097.jpegIMG_0127.jpeg

ব্যাস আমার কিমা রেডি হয়ে গেল। এরপর প্যাড গুলো বের করে বড়ফ ছাড়িয়ে নরম করে নিয়েছি।

IMG_0130.jpegIMG_0131.jpeg

এরপর প্যাডগুলোর দুই সাইড এভাবে কেটে ভাঁজ করে নিয়েছি।

IMG_0132.jpegIMG_0133.jpeg

এরই মাঝে সামান্য একটু ময়দা পানির সাথে গুলিয়ে একটি ব্যাটারের মতো বানিয়ে নিয়েছি প্যাড গুলোর সাইড লাগিয়ে দেয়ার জন্য। এরপর কিমা গুলো প্যাডের মাঝখানে ঢুকিয়ে ভাঁজ করে গুলিয়ে রাখা ময়দা দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি।

IMG_0134.jpegIMG_0136.jpeg

এভাবে সবগুলো বানিয়ে নিয়েছি। এরপর যতটুকু দরকার ততটুকু তেলে ভেজে নিয়েছি, আর বাকিটুকু ডিপ ফ্রিজে রেখে দিয়েছি দীর্ঘ দিনের জন্য।যখন দরকার হবে তখন শুধু ফ্রিজ থেকে বের করে ভেঁজে নেয়া যাবে।

IMG_1115.png

এরপর একটি ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে দুই পিঠ গাঢ় বাদামী বর্ণের করে ভেঁজে উঠিয়ে নিয়েছি। ব্যাস হয়ে গেল আমার মজাদার সমুচার রেসিপি। গরম গরম টমেটো ক্যাচাপ এর সাথে খেতে দারুণ স্বাদের এই সমুচা।

IMG_1116.png

পরিবেশন এর জন্য রেডি

Photographer@tangera
DeviceI phone 15 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।

পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 6 months ago 

সমুচা বেশিরভাগ সময় বাজার থেকে কিনে খাওয়া হয়। শুধুমাত্র একবারই আমরা বাসায় ট্রাই করেছিলাম খেতে বেশ ভালো লেগেছিলো। এই ঈদে আপনি শিপের কিমা দিয়ে সমুচা তৈরি করেছিলেন এবং আজকে সেই রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো। আশা করি এটা খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে কিমা দিয়ে এই সুস্বাদু সমুচা বানানোর রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার।

 6 months ago (edited)

বাসায় সমুচার প্যাডগুলো তৈরী করা খুবই ঝামেলার। আপনি বাজার থেকে রেডিমেড প্যাডগুলো কিনে এনে খুব ভালো করেছেন। বাড়তি ঝামেলা করার প্রয়োজন হয়নি। আর কিমা দিয়ে সমুচা তৈরী করলে অনেক মজা লাগে খেতে। গতকাল সমুচার রেসিপি দেখছিলাম আর ভাবছিলাম আমিও একদিন বাসায় ট্রাই করবো। আর আজ আপনার থেকে এমন একটি রেসিপি দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে আপু।

 6 months ago 

কিমা দিয়ে সমুচার মজাদার রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন বিশেষ করে সমুচাগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হবে। মজাদার এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছেন সেটা পর্যায়ক্রমে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 6 months ago 

সামুসা আমার তো অনেক বেশি প্রিয়। আর সেটি যদি কিমা দিয়ে তৈরি করা হয় অনেক বেশি টেস্টি লাগে। আপনার রেসিপি তৈরি করার মধ্যে প্যাডগুলো ভাজ দেওয়ার প্রক্রিয়াটি ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে আপু। একটা সময় ছিল যখন প্রায় প্রতিদিন সামুচা খাওয়া হত। কিন্তু এখন ব্যস্ততার কারণে অনেক মিস করি সেই দিনগুলো। সুন্দর একটি নাস্তার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 6 months ago 

কিমা দিয়ে সমুচার মজার রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনার রেসিপির পরিবেশনটা খুবই ভালো লেগেছে। দেখে শিখে নিলাম, পরবর্তীতে তৈরি করে দেখব কতটা মজাদার হয়।

 6 months ago 

আসলেই বাচ্চারা একদমই সবজি খেতে চায় না। আমি তো বিভিন্ন রকম ভাবে সবজি খাওয়ানোর চেষ্টা করি। সবজি দিয়ে সমুসা তৈরি করলে খেতে অন্যরকম মজা লাগে। আর কিমা দিয়ে তো আরো বেশি সুস্বাদু হয়। আপনার সমুসা একেবারে পারফেক্ট সেপ হয়েছে। খেতে যে মজাদার হয়েছিল বোঝাই যাচ্ছে।

 6 months ago 

আপু আমার, কিন্তু কখনো শিপের মাংস খাওয়া হয়নি। তবে আপনি আজকে শিপের মাংস দিয়ে ‌ সমুচা তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে বেশিরভাগ বাচ্চারা এখন সবজি খেতে চায় না, তেমনি আপনার বড় মেয়েও দেখছি সবজি খেতে চায় না। তবে ভালো হয়েছে তার পছন্দের মত তৈরি করেছেন। আবার দেখছি প্যাড গুলো ‌ কিনে আনার কারণে সুবিধা হয়েছে। দেখে ইচ্ছে করতেছে একটা নিয়ে খেয়ে ফেলি। মনে হচ্ছে ভীষণ মজাদার হয়েছে।

 6 months ago 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন ভাবে কিমা দিয়ে সমুচার মজাদার রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আসলে সমাচা খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে আমি প্রতিদিন বিকেল বেলায় আমাদের বাজারে গিয়ে এ রেসিপি দিয়ে নাস্তা খেয়ে আসি। তবে এই ধরনের রেসিপি খেলে গ্যাসের সমস্যা একটু বেশি হয়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সমুচা তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

আহ! পোষ্ট পড়তে পড়তে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম, দারুণ স্বাদের রেসিপি শেয়ার করেছেন আজ। সেই স্কুল লাইফ হতে সমুচার ভক্ত আমি।

 6 months ago 

হ্যাঁ হ্যাঁ স্কুলের কথা বলে আমারও স্কুলের কথা মনে করিয়ে দিলেন। স্কুলে যেদিন সমুচা টিফিন দেওয়া হতো সেদিন কি যে ভালো লাগতো তা আর বলার মতো না। খুবই স্বাদের ছিল স্কুলে লাঞ্চের ওই সমুচাগুলো।

 6 months ago 

আপনি বিকেলের নাস্তার জন্য দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। কিমা দিয়ে মজাদার সমুচা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে সুস্বাদু ছিল।আপনি রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 68431.46
ETH 2457.08
USDT 1.00
SBD 2.60