বাচ্চাদের স্কুল হলিডে উপলক্ষে বেড়ানোঃ শেষ পর্ব-২৭ (London zoo)
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
বাচ্চাদের স্কুল হলিডে উপলক্ষে বেড়ানোর শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। দেখতে দেখতে প্রায় 27 টি পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করে ফেলেছি।গত বছর যখন জুলাই মাসে হলিডে শুরু হয়েছিল। তখন তাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম আর ফটোগ্রাফি গুলো ক্যামেরাবন্দি করেছিলাম। সেই ফটোগুলো আপনাদের সাথে ২৭ টি পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করে ফেললাম। ইচ্ছে করলে আমি পরাপর এই পোস্টগুলো শেয়ার করে ফেলতে পারতাম। কিন্তু আমার কাছে একটানা একই ধরনের পোস্ট করতে একঘেয়েমি লাগে। আমি চাই পোস্টে ভ্যারিয়েশন থাকুক। তাই চেষ্টা করি সাত দিনে সাত রকমের পোস্ট করতে। যাইহোক আশা করছি আমার এই পর্বগুলোর মাধ্যমে ইংল্যান্ডের পরিবেশ, স্হান, কালচার এবং আরও অনেক বিষয় সম্পর্কে আপনাদের একটু হলেও ধারণা হয়েছে।
এবার চলে যাচ্ছি আজকের মূল পর্বে। লন্ডন-জু-তে পশুপাখি,জীবজন্তু ছাড়াও কিন্তু রয়েছে ফুল ও ভেজিটেবল এর বাগান। একপাশে দেখলাম ছোট্ট পরিসরে কিছু ভেজিটেবল ও ফুলের চাষাবাদ করা হয়েছে। তাই আজকের পর্বটি সাজিয়েছি কিছু ভেজটেবলস, ফুলের বাগান, আশপাশের পরিবেশ সহ আমাদের ফেরার পথের কিছু ফটোগ্রাফি দিয়ে। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে ফটোগ্রাফি গুলো উপভোগ করা যাক।
পুঁইশাকের মত বড় বড় পাতা। মনে হচ্ছে পুঁইশাকই হবে। কত সুন্দর তরতাজা হয়ে উঠেছে।
এগুলো টমেটো গাছ, সব পেকে রয়েছে।দেখতে সুন্দর লাগছে।
এই টমেটো গাছগুলো আকারে অনেক বড়।
এগুলো মনে হয় ফুলকপি, কিন্তু পাতাগুলো বেশ বড় বড় দেখতে।
লাউ গাছ ও পেয়ে গেলাম। একটি লাউ ধরে রয়েছে। সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে এই বাগানটি কোন বাঙালি করেছে।কারন এই দেশে বাঙালি ছাড়া কেও এভাবে লাউ এর গাছ লাগায়না।
এটি সূর্যমুখী ফুল।
এটি হাইড্রেনজিয়ার ছোট ছোট চারা
এগুলো কলাগাছের চারা।
জু থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় এই নাম না জানা প্রাণী গুলো দেখতে পেলাম।
দেখুন এই দেশের ফ্ল্যাগ দিয়ে কত সুন্দর সুন্দর ছাতা বানিয়ে রেখেছে।
ফেরার পথে লোকটিকে দেখলাম রাস্তার এক সাইডে দাঁড়িয়ে নৃত্য করছে, আর তাকে ঘিরে সকলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর যাদের ভালো লাগছে তারা লোকটিকে পয়সা দিচ্ছে।
অবশেষে আন্ডারগ্রাউন্ডের দিকে যাচ্ছি ট্রেনে ওঠার জন্য।
বন্ধুরা আজকের পর্ব দিয়েই বাচ্চাদের স্কুল হলিডে উপলক্ষে বেড়ানোর পর্বগুলোর সমাপ্তি ঘটল। আশা করছি আপনারা সকলেই উপভোগ করেছেন।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
Location |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
পর্যায়ক্রমে 27 টি পর্ব শেয়ার করেছেন তবে সবগুলো পর্ব পড়া হয়নি শেষ পর্বটা পড়তে পারলাম। একটা জিনিস দেখে বেশি ভালো লাগলো সেটা হচ্ছে লন্ডন জু-তে পশু পাখির পাশাপাশি সবজি সহ অনেক গাছ দেখতে পেলাম।
বাচ্চাদের স্কুল ছুটির দিনে অত্যন্ত সুন্দর একটি জায়গা ভ্রমণ করেছেন। সত্যি বলতে আপনাদের ভ্রমন করা জায়গার বিভিন্ন প্রকারের শাকসবজি ও ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আর এরকম পরিবেশে সময় কাটানোর মজাটাই আলাদা।
ওয়াও অসাধারণ আপু ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম ৷ আসলে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও দেখতে পারি ৷ যা হোক বাচ্চাদের স্কুল হলিডে উপলক্ষে বেড়ানো মূহুর্ত সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম ৷ তবে রাস্তায় নৃত্য করছে আর কেউ পয়সা দিচ্ছে ৷ ছবিটি দেখে দারুন লাগলো ৷
যা হোক আপু এভাবেই ভিন্ন ভিন্ন পোষ্ট শেয়ার করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি ৷
আমার কাছেও একই রকমের পোস্ট করলে একঘেয়েমি চলে আসে। ভালো করেছেন একটানা শেয়ার না করে। তাছাড়া খুব চমৎকার লেগেছে আমার কাছে লন্ডন জু। বিশেষ করে সবজি গুলো খুব ভালো লাগছে দেখতে। তাছাড়া নাম না জানা প্রাণীটা দেখতে কেমন যেন। বিদেশের লোকজনের টাকা তোলার সিস্টেমটা অন্যরকম। যাইহোক আপু ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।
আসলেই আপু পোস্ট ভ্যারিয়েশন ঠিক রাখতে পারলে নিজের কাছেই খুব ভালো লাগে। এই সিরিজের মাধ্যমে আমরা আসলেই ইংল্যান্ডের স্থান, পরিবেশ, কালচার এবং অন্যান্য বিষয়ে সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছি। যাইহোক বরাবরের মতো এই পর্বটিও বেশ উপভোগ করেছি আপু। বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং ফুলের গাছ দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। লাউ তো দেখছি মোটামুটি বড় হয়েছে। এসব জায়গায় এমন গাছ লাগানো থাকলে পরিবেশটা দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে আপু। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বাচ্চাদের স্কুল হলি ডে তে লন্ডন জু এর আজ শেষ পর্ব শেয়ার করেছেন আপু।আপনার শেয়ার করা নানান ফটোগ্রাফি ও বিভিন্ন তথ্য জেনে এই দেশটির অনেক কিছুই জানা ও দেখা হলো।লন্ডন জু তে শুধু পশুপাখি ও জীবজন্তু ই নয় ফুল ও সবজির বাগান ও আছে দেখলাম।সবজি গুলো ভীষণ সতেজ।ফুল গাছ গুলো ও দারুন লেগেছে আপু।সুন্দর বর্ননার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু, ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে ছোট ছোট কলা গাছ দেখতে পেলাম, এরকম কলা গাছ যদিও আমি আগে কোনো দিন দেখিনি। আর লন্ডনের রাস্তায় এরকম নাচ করার দৃশ্য অনেক দেখা যায়। বিভিন্ন ভিডিওতে আমি এটা দেখেছি। তবে আমাদের দেশে এরকমটা দেখা যায় না। যাইহোক, আপনি যে প্রাণীটার নাম জানেন না বললেন, ওটা খুব সম্ভবত বন্য শুকর। কারণ মুখটা এবং শরীরের আকৃতি দেখে তো অনেকটা ওই রকমই লাগছে।