নিজ বাগানের মজাদার করোলা ভাজি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের সাথে চিংড়ি মাছ আর আলু দিয়ে নিজ বাগানের করোলা, টমেটো ও কাঁচা মরিচ দিয়ে মজাদার একটি ভাজির রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি।করোলা ভাজি আমার অনেক পছন্দের, প্রায়ই বাসায় তৈরি করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ফ্রোজেন করোলাটি বেশি খাওয়া হয়।এই প্রথম নিজ বাগানের করোলা ভাজি তৃপ্তি সহকারে উপভোগ করলাম। আমার কাছে করোলা ভাজি বেশি করে পেঁয়াজ ও তেল দিয়ে ভাজলে অনেক মজা লাগে। কিন্তু আমি এখানে আলু ব্যবহার করেছি তাই কম ফ্রাই করেছি। আলু দিলে কম ফ্রাই করলেও গরম ভাতের সাথে খেতে কিন্তু খুবই মজা হয়। আর সাথে রয়েছে চিংড়ি মাছ মজা তো লাগবেই। আমরা কম বেশি সকলেই এই ভাজি বাসায় করে থাকি। অনেকেই করলা ভাজি খেতে পছন্দ করেন না, আমার এই দুই সিস্টেমে একবার করে দেখুন, আশা করি ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপি টা তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
করলা | ২ টি |
আলু | বড় সাইজের ১টি |
চিংড়ি মাছ | ২৫০ গ্রাম |
টমেটো | ছোট সাইজের ১ টি |
কাঁচা মরিচ | ৩/৪ টি |
হলুদ | ১ চা চামচ |
লবন | পরিমান মতো |
সয়াবিন তেল | ভাঁজার জন্য |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমেই পেঁয়াজ, টমেটো, করোলা ও আলু কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি। এরপর কাঁচামরিচ লম্বা করে কেটে নিয়েছি।
এরপর চিংড়ি মাছ গুলো ভালভাবে ধুয়ে বেছে পরিষ্কার করে নিয়েছি। এরপর একটি কড়াইতে তেল গরম করে নিয়েছি।
এরপর পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচা মরিচ, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে চিংড়ি মাছ গুলো ছেড়ে দিয়েছি।
এরপর চিংড়ি মাছ গুলো মসলার সাথে ২/৩ মিনিট ভালোভাবে নেড়ে আলু ও করলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর আলু ও করলাগুলো মসলার সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে ৮/৯ মিনিটে মিডিয়াম আঁচে রেখে দিয়েছি। হয়ে গেল আমার চিংড়ি মাছ আলু ও করলা দিয়ে মজাদার ভাজি।
পরিবেশনের জন্য এনেছি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
আমি প্রথমে ছবি দেখে ভাবছিলাম যে আপনার করলা ভাজা একটু কম হয়েছে। পরে দেখলাম যে না আপনি আলু দেয়ার কারণে কম ভেজেছেন। এভাবে চিংড়ি দিয়ে করলা ভাজি খেতে যে কত সুস্বাদু তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । তাছাড়া আপনার কম ভাজার কারণে মনে হয় অন্যরকম একটা স্বাদ হয়েছিল । সবথেকে বড় কথা নিজের বাগানের টাটকা সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা।
আলু দিলে বেশি ভাজতে হয় না, কিন্তু আলু ছাড়া বেশি ফ্রাই না করলে আমার ভালো লাগেনা। ধন্যবাদ তোমাকে।
করোলা ভাজি তখনই সেরা স্বাদের হয় যখন তার সাথে আলু আর চিংড়ির উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। আমার ছেলেতো সরাসরি বলে আলু ছাড়া করোলা ভাজি হয় নাকি, হি হি হি। আমিও আজ নিজের বাগানের ঢেঁড়স দিয়ে ভাজি খেলাম, নিজের বাগানের বলে দারুণ একটা অনুভূতি কাজ করেছে, সত্যি। রান্নাটা বেশ হয়েছে আপু।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া নিজের বাগানের শাক শাকসবজি! দারুন এক অনুভূতি কাজ করে। আর আমার এটি জেনেও খুব ভালো লাগলো আপনার নিজ বাগানের ঢেঁড়স ভাজি উপভোগ করেছেন। ঢেঁড়স ভাজিও আমার অনেক পছন্দের।
নিজের বাগানের গাছের সবজি সব সময় একটু বেশি স্বাদ লাগে। আলু এবং করলা দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপিটা বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে, আশা করি খেতেও অনেক সুন্দর হয়েছিল। রেসিপিটি উপস্থাপন পদ্ধতিটা সবচেয়ে বেশি সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। আপনাদের মানসম্মত পোস্ট গুলো দেখে এবং পড়ে আমরা অনেক কিছুই শিখতে পারি। এমন সুন্দর পোস্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমারও জেনে অনেক ভালো লাগলো রেসিপিটির উপস্থাপন পদ্ধতিটি আপনার ভালো লেগেছে, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল।
নিজ বাগানের মজাদার করোলা ভাজি দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে আপু। নিজ বাগানের করোলা খেতে নিচ্ছই ভীষণ মজা হয়েছিলো। এভাবে রান্না করলে তো খেতে ভীষণ মজা হবে। আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
জ্বী ভাইয়া নিজ বাগানের সবজি খেতেও যেমন মজা তেমন মনেও অনেক শান্তি পাওয়া যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
যখন কোন সবজি নিজের বাগানে হয় তখন সেই সবজি খেতে সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু হয়। আসলে নিজ বাগান থেকে সবজি তুলতে যেমন ভালো লাগে তেমনি রান্না করতেও খুবই ভালো লাগে। করলা ভাজি আমার খুবই প্রিয়। চিংড়ি মাছের সাথে কিংবা আলুর সাথে করলা ভাজি করেছি অনেক। তবে টমেটো দিয়ে কোনদিন করা হয়নি। আমি অবশ্যই এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব আপু।
আপু তুমি আমার একদম মনের কথাটি বলেছ। আমার কাছেও সবজি তুলতে বেশি মজা লাগে আর রান্না করে খেতে তো আরো মজা। ধন্যবাদ তোমার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাগানের সবজি খাওয়া মজাই আলাদা।ফ্রোজেন খেতে খেতে যদি টাটকা নিজের বাগানের সবজি হয় তাহলে তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়।যাই হোক করলা ভাজির সময় বেশি করে তেল দিয়ে পেঁয়াজ দিয়ে খেতে বেশ দারুন লাগে।চিংড়ি দিয়ে খেতে করলা খেতে ভালো লাগে।প্রতিটি ধাপ দেখে নিলাম। ধন্যবাদ
একদম ঠিক বলেছেন আপু খুব তৃপ্তি সহকারেই খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজের গাছের সবজি সবসময় স্বাস্থ্যকর ও খেতেও মজার হয়। ফ্রোজেন করলা বাংলাদেশে পাওয়া যায় কিনা জানিনা তবে আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল আপু। সাথে আলু দিয়েছেন, তেতু কম লাগবে। হালকা ভেজে নিলে ভালোই লাগে।
এছাড়া নিজের বাগানের সবজি খেয়ে মনে অনেক তৃপ্তি পাওয়া যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
করল্লা তো আমার খুব প্রিয় একটি সবজি। আর আপনি তো দেখছি আলু করল্লা আর চিংড়ি মাছ দিয়ে মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। যা দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে হচ্ছে।
আমারও করলা অনেক পছন্দের, কিন্তু এটি চিংড়ি মাছ ছাড়া রান্না করলে আমার অতটা ভালো লাগে না। ধন্যবাদ আপনাকে।
আলু দিয়ে করলা ভাজি এমনিতেই ভালো লাগে। তার সাথে যদি আরও চিংড়ি মাছ থাকে তাহলে তো কথাই নেই। দারুন মজা পেয়েছেন আপু। তারপরে আবার নিজের বাগানের সবজি দিয়ে। অসাধারণ হয়েছে আপনার রেসিপিটি। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া নিজের বাগানের সবজি খাওয়ার আনন্দই আলাদা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজ বাগানের করলা ভাজি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু। যদিও করলা আমি তেমন একটা খেতে পারি না তবে আপনার মতই যদি বেশি করে পেয়াজ এবং তেল দিয়ে ভাজি করা হয় তাহলে মাঝে মাঝে খাই তবে খুব বেশি না অল্প পরিমাণে। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় হয়েছিল।
ভাইয়া বেশি করে তেল ও পিয়াজ দিয়ে ভাজা ভাজা করলে আমার অনেক ভালো লাগে, আর অবশ্যই চিংড়ি মাছ দিতে হবে। চিংড়ি মাছ ছাড়া মজা লাগেনা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।