কাংলা মাছ ভুনা
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি আনকমন মাছের রেসিপি নিয়ে, মাছটির নাম কাংলা। এটি বাংলাদেশি মাছ কিন্তু এখন অনেক দুর্লভ সহজেই পাওয়া যায় না। এই মাছটির নাম আমি আমার হাজবেন্ডের কাছ থেকে জেনেছি আগে এই মাছ সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না,এক এক অঞ্চলের এক এক নাম । এই মাছে অনেক ছোট ছোট কাটা থাকে কিন্তু এর স্বাদ আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে
চলুন দেখা যাক খাবারটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ লাগবে?
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মাছ | একটি |
পেঁয়াজ কুচি | দেড় কাপ |
কাঁচা মরিচ | ২/৩টি লম্বা করে কাটা |
টমেটো কুচি | হাফ কাপ |
হলুদ গুড়া | ১ চাঃচাঃ |
ধনিয়া গুড়া | ১ চাঃচাঃ |
জিরা গুড়া | ১ চাঃচাঃ |
মরিচ গুড়া | ১ চাঃচাঃ |
কারিপাউডার | ২ চাঃচাঃ |
তেজ পাতা | ২ টি |
লবণ | স্বাদমতো |
তেল | ২ টেবিল চামচ |
ধনেপাতা কুচি | হাফ কাপ |
কার্যপ্রণালী : ধাপ ১
প্রথমেই পেঁয়াজ ,টমেটো ,কাঁচা মরিচ এবং ধনেপাতা কেটে নিয়েছি । এরপর মাছটিকে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি। তারপর হলুদ গুঁড়া,মরিচ গুঁড়া এবং লবন দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি ভাজার জন্য।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
কার্যপ্রণালী : ধাপ ২
প্রথমেই একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, টমেটো, লবণ দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রেখে দিয়েছি সিদ্ধ হওয়ার জন্য। এই সময় চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে। এই ফাঁকে মাছগুলো ভেজে নিয়েছি।
কার্যপ্রণালীঃ গুলো নিম্নে দেখানো হলো:
শেষ ধাপ:
এরপর পেঁয়াজ গলে গেলে তেজপাতা ও সব মসলা দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ২/৩ মিনিট অল্প আঁচে কষিয়ে নিয়েছি। এরপর ভাজা মাছ গুলো দিয়ে ১ কাপ পানি যোগ করে ঢেকে রেখেছি ৫/৬ মিনিটের জন্য। এরপর চুলার আঁচ কমিয়ে আরো দুই-তিন মিনিট রেখে দিয়েছি, পরে ধনে পাতা যোগ করে আমার রান্না শেষ করেছি।
হয়ে গেল আমার মজাদার কাংলা মাছ ভুনা।
পরিবেশনের জন্য এনেছি।
ডিভাইস | আইফোন টেন এক্স ম্যাক্স |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @tangera |
আশা করি আমার এই আজকের আয়োজন আপনাদের ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ,
@tangera
আমি তানজিরা, ব্রিটিশ-বাংলাদেশী , বিবাহিতা, দুই সন্তানের জননী। বর্তমানে ইংল্যান্ডে বসবাস করছি।বাংলা আমার মাতৃভাষা, বাংলাকে ভালোবাসি , ভালোবাসি আমার জন্মভূমিকে ,ভালোবাসি মাটি ও মানুষকে ।বাগান করতে ভালোবাসি যা আমার একমাত্র প্রধান সখ,ভালোবাসি ভ্রমণ করতে ও রান্না করতে।
ফলুই মাছ মনে হচ্ছে দেখে । কাঁটা যতটা স্বাদও ততটা । অসম্ভব কাঁটা আর অসম্ভব স্বাদ ।
দাদা আপনি একেবারে ঠিক ধরেছেন কাঁটা যতটা স্বাদও ততটা, আসলেই মাছটি অনেক মজার, কিন্তু কাটার কারণে খাওয়া একটু কষ্ট।
আপনার আজকের রেসিপিটা অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখেই বেশ মজাদার মনে হচ্ছে তার মানে খেতে বেশ মজা লাগবে। এতে সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল।
জি ভাইয়া এই মাছটি অনেক মজা, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
রেসিপিটি অনেক ভালো হয়েছে দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।আর এই মাছটা আমার কাছে মনে হচ্ছে চিতল মাছ।
এটি চিতল মাছ না, এই মাছ অনেক ছোট আর চিতল মাছ অনেক বড় হয়, ধন্যবাদ তোমাকে।
আমার বিশেষ কিছু মাছ বাদে তেমন একটা মাছ খাওয়া হয় না। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মাছটিকে বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে
জি ভাইয়া, এই মাছটি বেশ সুস্বাদু, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এটি আমরা চিতল মাছ বলি। খুব সুন্দর সুস্বাদু রেসিপি বানিয়েছেন। অনেক লোভনীয় হয়েছে। দারুন রেসিপি। শুভেচ্ছা অবিরাম আপু।
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা কিন্তু এটি চিতল মাছ না আমি চিতল মাছ চিনি, চিতল মাছ অনেক বড় হয় আর এই মাছ অনেক ছোট।
বুঝতে পেরেছি এটি ফলুই মাছ। আসলে চিতল এবং ফলুই মাছ দেখতে এক রকম ।তবে আপু ঠিক বলেছেন চিতল মাছ বড় হয়। অনেক ধন্যবাদ আপু।
রেসিপিটি দারুণ হয়েছে আপু।দেখেই খেতে মন চাইছে।কিন্তু এই মাছে স্বাদ থাকলেও অতিরিক্ত কাঁটায় ভরা।আমরা এই মাছকে ফলুই বা ফলি মাছ বলি।এটি মিষ্টি জলের মাছ।সুন্দর ও মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু ,এটি চিতল মাছ নয় চিতল মাছ অনেক বড় আর এই মাছ দেখো অনেক ছোট মাত্র ৪/৫ পিচ হয়েছে।
হ্যাঁ ,আপু এটি চিতল নয়,ফলুই মাছ তো আমি বলেছি।আমি এই মাছটি ভালোভাবে চিনি ।কারণ এটি আমাদের পুকুরে ছিল।কিছুটা চিতলের মতো দেখতে কিন্তু চিতল নয়।
বরাবরের মতোই খুব সুন্দর রেসিপি আপু। খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। এবং দেখতে খুব ভালো লাগছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে.
🙂
ভাল হয়েছে রেসিপিটা। সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য।
আপু খুব সুন্দর রান্না হয়েছে, আপনার রেসিপিগুলোর প্রতি আলাদা একটা টান থাকে। কারন আপনার রেসিপিগুলো দেখে বেশী স্বাদের মনে হয়। ধন্যবাদ
ভাইয়া আপনার মন্তব্যেও আমি আলাদা একটি টান পাই, আপনার মন্তব্য না পেলে মন ভরে না, অনেক অনেক ধন্যবাদ।