ব্রাইটন সমুদ্রসৈকত ভ্রমন, শেষ পর্ব (10 beneficiary @shy-fox)
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ।আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি ব্রাইটন সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের শেষ পর্ব নিয়ে ।আপনারা অনেকেই জানেন কিছুদিন আগে আমি ও আমার পরিবারের সকলকে নিয়ে ব্রাইটন সমুদ্র সৈকতে ভ্রমন করেছিলাম, ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে একটি পর্ব শেয়ার করেছি,আজকে হাজির হয়েছি তার শেষ পর্ব নিয়ে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
যখনই এ সমুদ্র ভ্রমণ করতে যাই তখনই আমার বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কথা মনে পড়ে যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সাথে পৃথিবীর কোন সৈকতেরই তুলনা হয় না। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রতি অন্যরকম একটা টান অনুভব করি। বীচের উপর দিয়ে যখন হেঁটে যাই, তখন অন্য এক রকম ফিলিংস উপলব্ধি করি, কারণ এর বীচটি অনেক সফট ও বালুকাময়।বীচের তীর দিয়ে খালি পায়ে শুধু হাঁটতেই মন চায়। কিন্তু এই ব্রাইটন সমুদ্রসৈকতে হেঁটে আরাম পাওয়া যায়না, কারণ সৈকত জুড়ে রয়েছে শুধু ছোট ছোট পাথর আর পাথর। কিন্তু এর চারপাশের পরিবেশটা অনেক সুন্দর, অনেক সুন্দর ভাবে সবকিছু সাজিয়ে রাখা হয়েছে, এ কারণেই এই বীচটি অনেক সুন্দর লাগে। আমার এই আজকের পর্বটি সাজিয়েছি মনমুগ্ধকর কতগুলো ফটোগ্রাফি দিয়ে, চলুন ফটোগ্রাফি গুলো উপভোগ করা যাক।
এ বীচ এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে পাখি, ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি সমুদ্রের উপর দিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছিল এবং তীর দিয়ে কিছু কিছু হেঁটে বেড়াচ্ছিল যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। এখন এদেশে ওয়েদার একটু ঠান্ডা, আর সমুদ্রের পানিও অনেক ঠান্ডা, তাই এ সময়ে পানিতে নেমে আরাম পাওয়া যায় নি। আমার বড় মেয়েটির অনেক সাহস, ও পানিতে নেমে গিয়েছিল এবং কাপড়চোপড় গুলো ভিজিয়ে ফেলেছিল , আর ছোট মেয়ে খুবই ভীতু ও পানিতে নামতে পারেনি, তাই ওর বাবা ওকে কোলে নিয়ে পানিতে নেমেছিল।
সবগুলো ফটোগ্রাফির what3words address.
https://w3w.co/small.attend.tone
বাসা থেকে আসার সময় আমরা বিরিয়ানি বানিয়ে নিয়ে এসেছিলাম, কারণ এলাকাটি অনেক বড়, পুরো এলাকা ঘুরে দেখতে অনেক সময় লাগে , তাছাড়া বীচে গেলে টাইম একটু বেশি লাগে, মন চায় না ফিরে আসতে। যদিও এখানে খাওয়ার অনেক ব্যবস্থা আছে কিন্তু কোথাও হালাল খাবার নেই, তাই আমাদের এই আয়োজন। খাওয়া-দাওয়া শেষে আর একটু ঘোরাফেরা করে অবশেষে আমরা আমাদের গন্তব্য স্থানে পৌঁছে গেলাম।
ডিভাইস | আইফোন টেন এক্স ম্যাক্স |
---|
আশা করি আমার এই আজকের আয়োজন আপনাদের ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ,
@tangera
Cc: @rme
আমি তানজিরা, ব্রিটিশ-বাংলাদেশী , বিবাহিতা, দুই সন্তানের জননী। বর্তমানে ইংল্যান্ডে বসবাস করছি।বাংলা আমার মাতৃভাষা, বাংলাকে ভালোবাসি , ভালোবাসি আমার জন্মভূমিকে ,ভালোবাসি মাটি ও মানুষকে ।বাগান করতে ভালোবাসি যা আমার একমাত্র প্রধান সখ,ভালোবাসি ভ্রমণ করতে ও রান্না করতে।
দারুন লাগলো। প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়ে আছে। আপনার ফটোগ্রাফির হাত ও খুব ভালো। দারুন সময় উপভোগ করেছিলেন। ছবি গুলি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাহ আপনার এলাকার সৈকতের সৌন্দর্যের পরিবেশ আশ্চর্যজনকভাবে ভাল।
ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
অসাধারণ একটি পর্যটন এলাকা এটি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। সতস্ফূর্ত ভাবে আপনি পর্যন্ত কেন্দ্রটি ঘুরে ঘুরে উপভোগ করেছেন।সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
সমুদ্র সৈকত টা অসাধারণ ছিল। আপনাকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি এবারও অনেক সুন্দর একটি স্থানের অনেকগুলো ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
🙂🙂
ছবিগুলো খুবই সুন্দর হয়েছে।খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন সমুদ্রের পারে।ধন্যবাদ আপনাকে।
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
প্রতিটি ছবি খুব সুন্দর আপু।পাখিগুলি অনেক সুন্দর দেখতে।খুব সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন দেখে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ তোমার মন্তব্যের জন্য।
ও আপু আমাকেও নিয়ে যাইয়েন একদিন 😉।দুষ্টামি করলাম আপু।
ছবি গুলো খুব দারুণ হয়েছে, বিশেষ করে সমুদ্রের পাড়টা বেশি জোস।নুড়ি পাথরগুলো বেশি সুন্দর আর পাখিগুলোও কি সুন্দর পাশে পাশে এসে বসছে।সব মিলিয়ে খুব সুন্দর।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।