হঠাৎ করে বড় মেয়ের অসুস্থতা
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
এই দুই দিন বড় মেয়েকে নিয়ে খুব বেশি প্রবলেমে ছিলাম। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। এর আগে দুটি দিন ধরে আমাকে বলছিল পেটে ব্যথা।তো আমি ভেবেছি মাঝে মাঝে তার এমন হয়, ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ব্যথা তার বেড়েই যাচ্ছিল, মোটেও কমছিল না। গতকাল তার অবস্থা বেশি খারাপ ছিল। প্রচন্ড ব্যথা বেড়েছিল।আর সাথে ছিল বমি। ৫/৬ বারের মতো বমি করেছিল রাতে।আর ডায়রিয়ার মতো ভাব ও ছিল। তবে দুই একবার গিয়েছিলে টয়লেটে, কিন্তু বেশি প্রবলেম ছিল বমির।
খুব বেশি কষ্ট হয়েছিল মেয়েটির। নিজে ঘুমাতে পারিনি, সাথে আমি আর ওর বাবা অনলি ২ ঘন্টা ঘুমিয়েছি।গতকাল রোজা ছিলাম তাই রাত তিনটার সময় উঠি সেহরি খেতে। এর আগে ঘুমাতে ঘুমাতে রাত একটা বেজে যায়।এরপর সেহরি খাওয়ার পর বেডে গিয়ে যেই ঘুম লেগেছে তখনই কান্না শুরু করে দিয়েছে বমি বমি বলে।এরপর ওর বাবা গিয়ে দ্রুত একটি পলিথিন এর ব্যাগ মুখের সামনে ধরে। ব্যাগটা আগে থেকে রেডি করে রেখেছিলাম যদি ইনকেজ দরকার হয়।তারপর আবার টয়লেটে গিয়েছে।তখন খুব বেশি ভয় হয়, দ্রুত একটি স্যালাইন বানিয়ে দেই।এরপর বললাম চেষ্টা করতে ঘুমাতে। এরপর আবার আমার ঘুম লাগা মাত্রই আবার কান্না শুরু হয়ে যায়।তখন আমি ওর বাবা আবার উঠে আসি।আবার বমি করে। এমন করে চার-পাঁচবার এভাবেই কেটে যায়।এরপর ভোর হয়ে যায়। সকলেরই অবস্থা খারাপ হয়ে যায় না ঘুমাতে ঘুমাতে।এরপর সকাল হওয়া মাত্রই দ্রুত ডক্টরের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করি।
সকল দশটার সময় অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করি।এরপর সকলকে নাস্তা করিয়ে আমি আর আমার বড় মেয়ে চলে যাই ডক্টরের কাছে। ডক্টর সবকিছু চেক করে বলল এটি ফুড বাগের কারণে এমন হয়েছে, তেমন কিছুই নয়। কোন ওষুধও দেয়নি, শুধু খাবারের রুটিনটা করে দিল। বেশি বেশি করে ড্রিঙ্কস, ফ্লুইড খাবার আর প্যারাসিটামল খেতে বলল। আর বলল দুদিনের মধ্যে না কমলে আবার এপয়েন্টমেন্ট করতে।এরপর বাসায় আসার পর দুপুরে কোন রকম খাওয়া-দাওয়া করার পর কিছুক্ষণ পর আবার বমি করে। টেনশন যেন যাচ্ছিল না।এমনিতেই গতকাল স্কুলে দিতে পারিনি।সেই সাথে ছোট মেয়েটিকেও দিতে পারেনি স্কুলে কারণ তারও ঘুম হয়নি।আজকে ছোট মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়েছি, কিন্তু তার স্কুল মিস হয়ে গেল।পরাপর দুইদিন তার স্কুল মিস হয়ে গেল।আজকে মোটামুটি ভালই আছে, খেতেও পারছে। তবে জানিনা আগামীকাল দিতে পারব কিনা স্কুলে?
আসলে পরিবারে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে খুব বেশি অশান্তি হয়।কোন কাজই করতে ভালো লাগে না। এছাড়া ঘুম না হলে তো বুঝতেই পারছেন কেমন অবস্থা হয়? দিনে কতবার চেষ্টা করেছি ঘুমাতে কিন্তু পারিনি ঠিকমত ঘুমাতে।যাই হোক আজকে একটু ভালো আছে। সকলেই দোয়া করবেন ওর জন্য।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
আপনার মেয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আপু। ডাক্তার যে উপদেশ দিয়েছে তা ঠিকমতো পালন করুন এবং যে ওষুধ গুলো দিয়েছে তা ঠিক মতো খাওয়ান, আশা করা যায় ঠিক হয়ে যাবে । শুভেচ্ছা রইল।
আজকে বেশ ভালই রয়েছে। আশা করছি আগামী কাল স্কুলে দিতে পারবো। আপনার ছেলেটির জন্যও অনেক দোয়া রইল ভাইয়া, যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
আসলে পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে সেটা কতটা খারাপ সময়ের মধ্যে পার করতে হয় আমরা সবাই বুঝি। তবে মামনি আগের চেয়ে একটু সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো। দোয়া রইল সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে অতি দ্রুত সুস্থতা দান করেন আমিন।
কালকের থেকে আজকে অনেক ভালো, আশা করছি আগামী কাল স্কুলে দিতে পারবো।
আসলে আপু হঠাৎ করে পেটে ব্যথা এবং বমি সাধারণত গ্যাস্ট্রিকের প্রভাবেই বেশি হয়। তারপরও ডাক্তারের সুপরামর্শ নেওয়া নিঃসন্দেহে বুদ্ধিমানের কাজ। যাহোক আমি আশা করি আপনার মেয়ে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে এবং আগামীতে নিয়মিত স্কুলে যেতে পারবে। আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। আজকে যথেষ্ট ভালো রয়েছে। আশা করছি আগামী কাল স্কুলে দিতে পারবো।
প্রথমেই আপনার বড় মেয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। ডাক্তারের নির্দেশনা মতো বেশি বেশি হোমমেড ফ্লুইড খাবার আর প্যারাসিটেমল খেয়ে দেখুক, আশা করছি সুস্থ হয়ে উঠবে। সেকেন্ড টাইম আর এপোয়েনমেন্ট নিতে হবে না। ফুড বাগ বলতে কি কৃমি বুঝিয়েছে আপু? আর বার বার বমি করায় ওর শরীর তো ভীষণ দুর্বল হয়ে যাওয়ার কথা, আরেকটা দিন না হয় রেস্টেই থাকুক। দোয়া এবং শুভকামনা রইলো আপু। চিন্তা করবেন না।
হ্যাঁ আপু আজকে স্কুলে দেইনি।আশা করছি আগামীকাল যেতে পারবে। ফুড বাগ বলতে কোন জীবানুকে বুঝিয়েছে।
আপু দোয়া রইল আপনার মেয়ের জন্য। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে। অনেক সময় খাবার থেকে এমন অবস্থা হয়। বুঝাই যাচেছ যে আপনারা বেশ পেরেশনিতেই ছিলেন। তবে একটি বিষয় ভালো লেগেছে যে ডাক্তারের সুন্দর উপদেশ। আমাদের দেশে হলে তো এন্টি বায়োটিক দিয়ে ভরে রাখতো।
আপু আমাদের এই দেশে সহজেই এন্টিবায়োটিক দেয় না। ঠিক বলেছেন অনেক পেরেশানিতেই ছিলাম। এখনো চোখে ঘুম লেগে রয়েছে, ঘুম যেন পুরো হচ্ছেই না।
কে কখন হঠাৎ কিভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে কেউ জানে না। তবে নিজের শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে পরিবারের মানুষ যেন সুস্থ থাকে সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। যেহেতু ডক্টর বিশেষ কোনো ঔষধ দেয়নি প্যারাসিটামল আর বেশ কিছু সুন্দর পরামর্শের রুটিন করে দিয়েছে, অবশ্যই তা মেনে চলতে হবে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। আজকে অনেকটাই ভালো রয়েছে সে।
আসলে আপু, নিজের সন্তান যখন অসুস্থ থাকে তখন আর কিছুই ভালো লাগে না। আপনার মেয়ের এতবার বমি করার কথাটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। তার মধ্যে আবার আপনি রোজা রেখেছেন। ভাইয়া ও দেখছি একদমই ঘুমাতে পারেনি। আপনার কথাগুলো শুনে মনে হচ্ছিল পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তবে ডাক্তার দেখিয়ে এখন কিছুটা ভালো আছে শুনে ভালো লাগলো। আমি মনে করি একটু ভালোভাবে সুস্থ হওয়া ছাড়া স্কুলে যাওয়া ঠিক হবে না। আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আজকে স্কুলে দেইনি, আশা করছি আগামীকাল পাঠাতে পারবো।
মানহার অসুস্থতার কথা শুনে সত্যিই অনেক খারাপ লাগছে আপু। বমি হলে শরীর একেবারে খারাপ হয়ে যায়। আর পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে সত্যি খুবই খারাপ লাগে। আপু আপনি অনেক টেনশনের মধ্য দিয়ে সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি। মামনি এখন একটু ভালো আছে জেনে ভালো লাগলো। মানহা মামনি যেন দ্রুতই পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে যায় এবং স্কুলে যেতে পারে এই দোয়াই করি।
অনেক ধন্যবাদ আপু তোমাকে। এখন বেশ ভালোই আছে।আশা করছি আগামীকাল স্কুলে যেতে পারবে।
আপু ঠিক বলেছেন পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে একদমই ভালো লাগে না আর যদি সন্তান অসুস্থ থাকে তাহলে তো আরও খারাপ লাগে। আপনার বড় মেয়ে অসুস্থ জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো। আপু খাওয়া দাওয়ার দিকে খেয়াল রাখবেন আর ডাক্তার যা বলেছে সেই নিয়ম মেনে খাবার দেবেন। আমার ছেলের কিছুদিন আগে ঠিক একই সমস্যা হয়েছিল। ছোট মানুষ কিছু বলতে পারতো না আর ঘুমের মধ্যে বমি করে সব ভিজিয়ে দিতো। এরপর কান্না শুরু করতো আর এভাবে সে খুব দুর্বল হয়ে যায়। এরপর ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ খাওয়ানোর পর সুস্থ হয়ে উঠে। আপু আপনার মেয়েও ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে উঠবে আর স্কুলেও যেতে পারবে। আপনার মেয়ের জন্য দোয়া রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে
প্রথমেই আপনার বড় মেয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আপু। আসলে ফুড পয়জনিং হলে সাধারণত এমনটা হয়ে থাকে। আমি ২০১৭ সালে সাউথ কোরিয়া থেকে বাংলাদেশে ২ মাসের ছুটিতে এসেছিলাম। তারপর ফুড পয়জনিং এর কারণে শেষ পর্যন্ত হসপিটালে ভর্তি হতে হয়েছিল। যাইহোক আপনার বড় মেয়ে আগের চেয়ে মোটামুটি ভালো আছে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে আসলেই ভালো লাগে না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।