মজাদার জিলাপির রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে মজার একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। জিলাপি আমরা কমবেশি সকলেই পছন্দ করি।আর এই জিলাপি রোজার মধ্যে ইফতারের সময় খেতে বেশ ভালোই লাগে। হ্যাঁ বন্ধুরা রোজার সময় এই জিলাপি বানিয়েছিলাম। খুবই কম উপকরণে সহজেই ঘরে বানিয়ে ফেলা সম্ভব। খেতে বেশ ভালই মজা হয়েছিল।আর এই জিলাপির প্যাঁচ দিতে গিয়ে খুবই বিপাকে পড়েছিলাম। কারণ এর আগে কখনো বানাইনি।প্যাঁচ দিতে গেলে চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। এরপর অনেক চেষ্টার পর সাকসেসফুল হয়েছি।যাইহোক বানাতে পেরেছি। আশা করি আমার এই জিলাপি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ময়দা | ২ কাপ |
চিনি | ২ কাপ |
পানি | ২ কাপ |
বেকিং সোডা | দেড় চা চামচ |
ঘি | ২ টেবিল চামচ |
ফুড কালার | এক চিমটি |
লেবুর রস | ২ চা চামচ |
সূর্যমুখী তেল | ভাঁজার জন্য |
সসের বোতল | ১ টি |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমে একটি হাঁড়িতে চিনি নিয়ে নিয়েছি।এরপর তাতে এক কাপ পানি অ্যাড করে দিয়েছি।
এরপর চিনি গলে গেলে তাতে ফুড কালার দিয়ে ১ টেবিল চামচ ঘি অ্যাড করে দিয়েছি।এরপর রেখে দিয়েছি ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার জন্য।
এরপর একটি বাটিতে ময়দা ও বেকিং সোডা নিয়ে নিয়েছি।
এপার লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ১ টেবিল চামচ ঘি নিয়ে নিয়েছি।
এরপর পানি অ্যাড করে একটি ব্যাটার বানিয়ে নিয়েছি।এরপর ব্যাটারটি সসের বোতলে ঢেলে নিয়েছি।
এরপর একটি ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে সসের বোতল থেকে ব্যাটার প্যাঁচিয়ে প্যাঁচিয়ে ঢেলে দিয়েছি। এরপর দুইপাশ গোল্ডেন ব্রাউন করে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি।
এরপর পূর্বে তৈরি করা চিনির শিরার মধ্যে কিছুক্ষণ ভালো ভাবে ভিজিয়ে উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবে সবগুলো করে নিয়েছি। ব্যাস হয়ে গেল আমার মজাদার জিলাপির রেসিপি।
পরিবেশন এর জন্য রেডি
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
জিলাপি আমার বেশ পছন্দের। মচমচে গরম গরম জিলাপি খেতে আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে। আপনার জিলাপি গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তবে নিজে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। জিলাপির রেসিপি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে আপু। আপু আপনি ঠিকই বলেছেন , জিলাপি রোজার মধ্যে ইফতারের সময় খেতে বেশ ভালো লাগে। পছন্দের ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার দক্ষতার প্রশংসা করতে হয় আপু প্রথমবারেই জিলাপি তৈরি করতে সাকসেসফুল হয়েছেন। পরিবেশন করা জিলাপি দেখেও বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে সম্ভব হলে এক পিস নিয়ে খেয়ে দেখতাম। মজাদার জিলাপি রেসিপি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঘরোয়া পরিবেশে বানানো যেকোন রেসিপি খেতে মজা সাথে স্বাস্থ্যকর হয়। আপনি প্রথমবার জিলাপি বানিয়েছেন, জিলাপির প্যাচও ঠিকঠাকই হয়েছে আপু । জিলাপি খেতে ভালোই লাগে। রোজায় ইফতারে খাওয়া হতো বাহির থেকে কিনে। গরম গরম জিলাপি খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। 🌸
আপু আপনি খুব সুন্দর জিলাপি বানিয়েছেন তো।দেখেই খেতে মন চাইছে।জিলাপির হচ্ছে আড়াই প্যাচ।আপনি প্রথমবারে ই দারুন ভাবে জিলাপি বানাতে পেরেছেন।এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে জিলাপি খেতে আমরা কম বেশি সকলেই পছন্দ করি। আপনি রোজার মধ্যে জিলাপি বানিয়েছিলেন। সেই রেসিপিটা আজকে শেয়ার করলেন, আপনার তৈরি করা জেলাপি দেখতে একদম বাজারে জেলাপির মকো হয়েছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা রেসিপি দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। দেখেই মনে হচ্ছে খেয়ে নি। আর আমি এমনিতেই জিলাপি খেতে খুবই ভালো বাসি। আর সেই জিলাপি যদি হয় গরম গরম তাহলে তো আর কোনো কথায় না। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি এত মজাদার জিলাপি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছিল। গরম গরম জিলাপি খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আগে রোজার সময় আমাদের বাড়িতেও জিলাপি তৈরি করা হতো। ঘরে তৈরি করা জিলাপি গুলোর মধ্যে আলাদা টেস্ট পাওয়া যেত। বুঝতেই পারতেছি জিলাপির প্যাচ গুলো দিতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এগুলো দেওয়া কিন্তু ততটা সহজ না। আমার তো মনে হয় আমি যদি দিতে যাই তাহলে গোল একটা বৃত্ত হয়ে যাবে। না হলে পুরো কোয়েলের মত হয়ে যাবে। যাইহোক নিশ্চয়ই অনেক মজা করে খেয়েছিলেন এই জিলাপি গুলো।
জিলাপির করোনার সময় আমরাও বানিয়েছিলাম। দেখে যতটা সহজ মনে হয় বানানো ততটাই কঠিন। প্যাচ গুলো দেয়া খুবই কষ্টকর। তারপরেতো আপনার জিলাপির প্যাচগুলো খুব সুন্দর হয়েছে দেখতে। কেনা জিলাপির মতই লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই বেশ মজাদার হয়েছিল।
বাহ অনেক সুন্দর জিলাপি তৈরি করেছেন দেখছি। চমৎকার ভাবে আপনি জিলাপি তৈরি করার কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। প্রয়োজনে উপাদান গুলোর সুন্দর একটা টেবিল তৈরি করার মধ্য দিয়ে ধাপে ধাপে এই রেসিপি তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছেন। দেখে বেশি ভালো লাগলো লোভনীয় জিলাপি তৈরি।
যেকোনো মিষ্টি জাতীয় খাবার আমার খুব পছন্দের। জিলাপি তার মধ্যে অন্যতম। গরম মস মুচে জিলাপি দেখে নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারিনা। আমাকে জিলাপি খেতেই হবে। আপনার জিলাপি রেসিপিটি দেখে আমাকে আবার জিলাপি খেতে ইচ্ছে করছে।যাইহোক আপনার জিলাপি রেসিপিটা অনেক সুন্দর ছিল। আপনার জিলাপি তৈরির ধাপ গুলো দেখে যে কেউ এই সুন্দর জিলাপি তৈরি করতে পারবে । আপনার এই সুন্দর রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।