ব্যস্তময় একটি দিন এবং সাথে কিছু কেনাকাটা, 10% beneficiary to @shy-fox
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমার ব্যস্তময় দিনটি কিভাবে কাটিয়েছি তা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজ হাজবেন্ডের অফ ডে ছিল, তাই একটু বের হলাম কেনাকাটার জন্য। অনেকদিন কেনাকাটা হয়না, আর ব্যাংকে কিছু কাজ ছিল তাই দুজন মিলে বের হয়ে যাই সকাল ১০ টার দিকে। খুবই ব্যস্ততার সাথে দিনটি কাটাই। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূলপর্বে।
সকাল সাড়ে 6 টায় ঘুম থেকে উঠে বাচ্চাদেরকে রেডি করে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দেই ।এরপর তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বের হয়ে যায় শপিংয়ে উদ্দেশ্যে। দ্রুত তাদের স্কুল ছুটি হওয়ার আগেই ফিরতে হবে তাই অনেক আগেই বের হয়ে যাই। প্রথমেই চলে যাই ব্যাঙ্কের কাজ সারতে। কাজ সারতে প্রায় দেড় ঘণ্টা লেগে যায়।
ব্যাংকের ভেতরের দৃশ্য।
যাওয়ার পথে কিছু ফটোগ্রাফি।
কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পরে অনেক ক্ষুধার্ত হয়ে যাই। এরপর আমার অতি পছন্দের ডোনার কাবাব ও পিঠা খেয়ে একটু শক্তি অর্জন করি। প্রতিবার যখন এখানে আসি তখন কখনোই এটি মিস করিনা, দারুন মজার।
এরপর আমার নিজের ও বাচ্চাদের সামারের কিছু কাপড়চোপড় কেনাকাটা করি। কাপড়চোপড় কেনাকাটা করার পর চলে যাই বাচ্চাদের কিছু খেলনা কিনতে। খেলনা কিনতে ভারি সমস্যা হয়, কারণ কোনটা রেখে কোনটা নিব? বাচ্চারা সাথে থাকলে ভালো হয় তারা নিজেরাই নিজেদেরটা পছন্দ করে নিতে পারে।
শপিং মলের ভিতরের কিছু ফটোগ্রাফি।
কাপড় চোপড় কেনা কাটার পর চলে যাই তাজ গ্রোসারিতে যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় যাবতীয় দ্রব্যাদি সমূহ পাওয়া যায়। এটি পাকিস্তানি গ্রোসারি, নিশ্চিন্ত মনে সবকিছু এখান থেকে কিনতে পারি কারণ এখানে হালাল খাবার গুলো পাওয়া যায়। সব জায়গা থেকে সব কিছু কিনতে পারি না কারণ হালাল-হারামের একটি ব্যাপার রয়েছে। কিছু মাছ, সবজি, ফলমূল, নুডুলস, চানাচুর, পরোটা ইত্যাদি কিনে ফেলি।এখানে সব রকমের মাংসও পাওয়া যায়।
এরপর কয়েক প্রকারের আইসক্রিম কিনে ফেলি, কারণ যে গরম পড়েছে আইসক্রিম না হলে যেন কারো চলে না।
এরপর কিছু গোলাপসহ দুটি ফুলের গাছ কিনে ফেলি।কালকে বাচ্চারা তাদের স্কুলের শেষ দিনে তাদের টিচার দেরকে শুভেচ্ছা জানাবে।
এরপর সকল কেনাকাটা শেষে স্কুল ছুটি হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই পৌঁছে যাই। অবশেষে শান্তি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
কখনো সেখানে যাওয়া হবে কিনা জানিনা। তবে গল্পে ছবিতে অনেক কিছুর সাথেই পরিচিত হয়ে যাচ্ছি। আজকেও তার ব্যাতিক্রম হলো না কিছু কথা সাথে কিছু ফটোগ্রাফি দিয়ে সাজানো আজকের পোস্টটি পড়ে বেশ ভাল লাগলো।
তাজ গ্রোসারি নাম দেখেই কেমন দেশী দেশী মনে হচ্ছিলো পরে জানলাম এটা পাকিস্তানি দোকান।
আনন্দময় মুহুর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া এখানে পাকিস্তানের মত বাংলাদেশি ও ইন্ডিয়ান অনেক গ্রোসারি রয়েছে, দেখে মনে হয় যেন বাংলাদেশেই রয়েছি। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ব্যস্তময় দিন পার করেছেন এবং এই দিনে অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন। আসলে অনেক গরম পড়েছে, আর এই গরমের ভিতর আইসক্রিম খেলে খুবই ভালো লাগে। তাই আপনিও গরমের ভিতর আইসক্রিম খেলেন। শক্তি মুহূর্তটা আমার কাছে ভালো লেগেছে।
জ্বী ভাইয়া গরমের সময় সবসময়ই বাসায় আইসক্রিম রাখি, আমার বাচ্চারা যেমন পছন্দ করে আমিও ঠিক তেমনি। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন আপু।চানাচুর খেতে আমার ও খুব ভালো লাগে।তাছাড়া বিদেশি খাবার মানেই কাঁচা শাক-সবজি।বাঙালিরা কম পছন্দ করলেও পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে হয়।যাইহোক গোলাপ ফুলগুলোর গাছ দুটি খুবই সুন্দর।ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঁচা শাকসবজি আমারও খুবই পছন্দের কিন্তু সব সময় যেটি ভালো লাগে সেটি পাওয়া যায় না। অনেক ধন্যবাদ আপু তোমার মন্তব্যের জন্য।
আপনি বেশ সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পাকিস্তানি গ্রোসারি, তাজ গ্রোসারি আপনার কাছে বিশ্বস্ত হতে পেরেছে পাকিস্তানি গ্রোসারি হওয়ার কারণে। আসলে বাইরে কেনাকাটা করলে অবশ্যই আমাদের এই দিকে বেশি চিন্তা রাখতে হয়, আমরা যে দ্রব্য কিনব তা হালাল কিনা।আপনার আজকের পোস্টে কেনাকাটা বিষয়ক তথ্য গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর ভাবে বর্ণনা সহকারে উপস্থাপন করেছেন আজকের এই পোস্ট।
জি ভাইয়া বিশ্বস্ত বলেই সব সময় এখান থেকে কেনাকাটা করি। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে এই ফাঁকে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সেরে নিয়েছেন খুব ভালো করেছেন। তাছাড়া কেনাকাটার পাশাপাশি আপনার পছন্দের খাবারও খেয়েছেন। আসলে ঠিকই বলেছেন বাচ্চাদের খেলনা কিনতে গেলে একটু ঝামেলা হয় । কোনটা রেখে কোনটা কিনব খুঁজে পাই না। আপনার কেনাকাটা এবং বিভিন্ন ফটোগ্রাফিগুলো চমৎকার হয়েছে।
আসলে বাচ্চাদের নিয়ে কেনাকাটা করা খুবই কষ্টকর ব্যাপার, তাই সুযোগ খুঁজি কখন তাদেরকে রেখে যাওয়া যায়।অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
খুব ব্যস্ত একটি সময় কাটিয়েছেন। ব্যাংকের কাজ থেকে শুরু করে বাচ্চাদের খেলনা কেনা হালকা নাস্তা করা কিছু কাপড় কেনা। একথা সত্য বিদেশের মাটিতে সব খাবার খাওয়া যায় না কারণ হোটেল গুলোতে হালাল খেতে চাইলে তা সহজে পাওয়া যায় না। কারণ সেখানে খাবারগুলোতে শুকুর সহ অনেক নিষিদ্ধ প্রাণীর গোশত মেশানো থাকে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর কিছু বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।