কাঁচা আম দিয়ে ডালের রেসিপি, 10% beneficiary to @shy-fox
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।কিছুদিন আগে @shopon700 কাঁচা আম দিয়ে ডালের একটি রেসিপি তৈরি করেছিলেন ।ওই রেসিপিটি দেখে আমার খুব ভাল লেগেছিল তাই পেষ্টটি রি-স্টিম করে রেখেছিলাম।কাঁচা আম দিয়ে ডাল কখনো খাইনি দেখে মনে হলো খুবই মজা হবে, তাই আজকে আমি উনার রেসিপিটি দেখে তৈরি করে ফেললাম।উনার রেসিপিটির কালার অনেক সুন্দর এসেছিল, আমার টির কালার সুন্দর হয়নি কারন খুব কম কাঁচামরিচ এর গুঁড়া ব্যবহার করেছিলাম ,কিন্তু খেতে খারাপ হয়নি ভালই লেগেছিল।আশাকরি রেসিপিটি আপনাদেরও ভালো লাগবে, চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূলপর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটা তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবে।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডাল | ৪০০ গ্রাম |
কাঁচা আম | ছোট সাইজের তিনটি |
পেঁয়াজ কুচি | হাফ কাপ |
শুকনা মরিচ | ৩ টি |
মরিচ গুঁড়া | এক চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
সয়াবিন তেল | এক টেবিল চামচ |
হলুদ গুঁড়া | এক চা চামচ |
জিরা গুড়া | এক চা চামচ |
রসুন কুচি | দেড় টেবিল চামচ |
পাঁচফোড়ন | দেড় টেবিল চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমে পেঁয়াজ ও রসুন গুলো কুচি করে কেটে নিয়েছি।
এরপর আমগুলো ছুলে কয়েক পিচ করে কেটে নিয়েছি। ডাল গুলো ধুয়ে রেখে দিয়েছি পানি ঝরানোর জন্য
এরপর একটি হাঁড়িতে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন গুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর শুকনো মরিচ গুলো দিয়ে দিয়েছি, শুকনো মরিচ গুলো দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে দিয়েছি।
এরপর লবণ, মরিচের গুঁড়া, জিরা গুঁড়া এবং হলুদ গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
এরপর অল্প আঁচে দুই, তিন মিনিট কষিয়ে ডালগুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর ডালগুলো ভালোভাবে নেড়ে আমগুলো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
এরপর তিন কাপ পানি যোগ করে মিডিয়াম আঁচে রেখে দিয়েছি যতক্ষণ পর্যন্ত না ডাল সিদ্ধ হয়।
হয়ে গেল আমার কাঁচা আম দিয়ে ডালের রেসিপি।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
কাঁচা আম দিয়ে বানানো ডাল আসলেও খুব স্বাদের হয়। স্বপন ভাই এর পোস্ট টি মনে হ্য মিছ করে গেছি আমি। তবে আপনার পোস্ট দেখলাম। আমি গতবার আমের সিজনে খেয়েছিলাম। তবে এবার এখনো খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। ভেবেছিলাম গ্রামে গেলে খাবো। কিন্তু নানুদের গাছে একদম ই আম হয়নি এবার। কিনে খেতে হবে আম্মু ঢাকা ব্যাক করলে।
ঠিক আছে ভাইয়া খেয়ে দেখতে পারেন, আসলেই অনেক মজার।
কাঁচা আমের সাথে ডালের রেসিপি বেশ মজা লাগে। তবে আমাদের বাসায় শুধু কাঁচা আমের সাথে পাতলা ডালের রেসিপি তৈরি হয় কখনো আমের সাথে ঘন ডালের রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে নিশ্চয়ই খেতেও অনেক মজাদার ছিল।
আমার কাছেও তাই মনে হচ্ছে পাতলা ডাল করলে মনে হয় আরো বেশি মজা হতো, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আম দিয়ে ডাল রান্না করে খেতে দেখেছি অনেককেই। কিন্তু আমি কখনো খাইনি। কিভাবে রান্না করে জানতাম না। আপনার রেসিপির মাধ্যমে আজকের শিখে নিলাম। আম দিয়ে ডালের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমি একবার বাসায় রান্না করে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
হ্যাঁ ট্রাই করে দেখো, কিন্তু ঘন করে না বানিয়ে পাতলা করে বানিয়ে দেখবে। আমার মনে হয় পাতলা করলে বেশি মজা হবে, অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
স্বপন ভাইয়ের রেসিপিটি আমিও দেখেছিলাম। সত্যি বলতে এটা আমার মায়ের পছন্দের একটি রেসিপি। আমের সময় আমাদের বাড়িতে মাঝে মাঝেই এটা রান্না হয়। আর খেতেও খুব একটা খারাপ লাগে না। সেই সুদূর ইংল্যান্ডে বসে আপনি যে বাঙালি খাবার খাচ্ছেন ভাবতেই ভালো লাগছে। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া ডাল দিয়ে যে টক আম রান্না করা যায় এই বিষয়ে আমার কোন ধারণা ছিল না। ওনার রেসিপি দেখে আমার খুব ইচ্ছে হলো, তাই বানিয়ে দেখলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এই রেসিপিটি আমার খুবই পছন্দের, বিশেষ করে ডাল এভাবে রান্না করলে খেতে খুব সুস্বাদু হয়। আর যদি সেটা কাঁচা আম দিয়ে রান্না করা হয় সেটা তো খেতে বেশ ভালো লাগে। একটু টকটক খেতে সেজন্যই খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে।
জি ভাইয়া টক আমের জন্য এই রেসিপিটা অনেক মজা হয় ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামাঞ্চলে কাঁচা আমের সময় ডাল রান্না করলে আম থাকবেই ।আর ডাউল সাথে আম খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে আমার কাছে ।আপনার রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে ।
ধাপগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার তো কোন ধারনায় ছিলনা যে টক আম দিয়ে ডাল রান্না করা যায়। খুবই মজার হয়েছিল রেসিপিটি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঁচা আমের জুস,কাঁচা আমের ভর্তা এবং কাঁচা আম দিয়ে মসুর ডাল রান্না আমার খুবই পছন্দের খাবার। প্রতিবছর কাঁচা আমের ঋতুতে সব সময় আমরা মসুরের ডালের সাথে কাঁচা আম দিয়ে রান্না করি। তবে এবার কাঁচা আমের বাকি সব খাবার খাওয়া হলেও।মসুরের ডালের সাথে কাঁচা আমের তরকারি খাওয়া হয়নি। দেখি এখনো তো সময় আছে চেষ্টা করব খাওয়ার।তবে অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলে কাঁচা আম দিয়ে যে মসুরের ডাল রান্না করা যায় এ ধারণাই আমার ছিলনা, স্বপন ভাইয়ের পোস্টটি দেখে ধারণাটি পেয়ে গেলাম এবং খুবই মজার ছিল, ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
কাঁচা আম দিয়ে ডাল রেসিপি ওয়াও অসাধারন একটা রেসিপি করলেন আপু। দেখেই তো জিভে জল চলে আসলো। কাঁচা আম দিয়েছেন বলে একটু টক টক ভাব হয়েছে। আমার কাছে একটু টক রান্না খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনার রান্না টা আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার কাছেও টক জাতীয় খাবার খুবই ভালো লাগে, অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
কাঁচা আম দিয়ে ডাল ভুনা অনেক মজা। আমার আম্মু মাঝে মাঝে কাঁচা আম দিয়ে ডাল ভুনা করে। টক টক ঝাল ঝাল অন্যরকম একটা মজা লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে আম্মুর হাতের রান্না খুব মিস করছি আপু। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ কাঁচা আম দিয়ে ডাল রান্নার মজাদার রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপু আপনিও এখন বানিয়ে ফেলুন, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
কাঁচা আম দিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি ডালের রেসিপি করেছেন। আপনার করা রেসিপি আমার কাছে সম্পূর্ণ আলাদা লেগেছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু সত্যিই অসাধারণ ছিল।আমি নিজেও এই রেসিপি করে দেখব কেমন লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।