বাংলাদেশের ট্রেন জার্নি, 10% beneficiary to @shy-fox
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে আমি বাংলাদেশের ট্রেন জার্নি নিয়ে একটি অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আপনারা অনেকেই জানেন কিছুদিন আগে আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ট্রেনে জার্নি করেছিলাম।তারকিছু অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
বাংলাদেশে গেলে শুধু ভ্রমণের উপরই থাকতে হয়, কারণ আমার বাড়ি আর আমার হাজবেন্ডের বাড়ি বাংলাদেশের দুই প্রান্তে, দুজন দুই প্রান্তের মানুষ আমরা। আমি ঢাকা বিভাগের, ফরিদপুর জেলার আর আমার হাজব্যান্ড সিলেট বিভাগের। সুতরাং বাংলাদেশে গেলেই এই দুই প্রান্তে যাওয়া আসা করতে করতেই আমাদের টাইম ফুরিয়ে যায়। নরমালি আমরা বাসে করে যাওয়া আসা করি। আবার কোন কোন সময় বিমানেও যাওয়া আশা করি, কিন্তু তা শুধু ঢাকা-সিলেটের মাঝেই সীমাবদ্ধ। ঢাকা থেকে ফরিদপুরে যাতায়তের জন্য বিমানের কোন ব্যবস্থা নেই।তাই খুবই কষ্ট হয় যাতায়াতের জন্য।তবে ঢাকা-সিলেট রুটে যাতায়াতের জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিলাশবহুল বাসের সু ব্যবস্থা রয়েছে, শুধু সময় অনেক বেশি লাগে। যেখানে বিমানের লাগে 45 মিনিট সেখানে বাসে লাগে সাত থেকে আট ঘণ্টা।
ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন।
ট্রেনের ভিতর।
what3words address.
https://w3w.co/nylon.snooping.seatbelt
এবার আসি মূল পয়েন্টে, ট্রেন জার্নি সম্পর্কে। বাংলাদেশের ট্রেন জার্নি সম্পর্কে আমার খুবই খারাপ একটি ধারণা ছিল। প্রায় ১০ বছর আগে একবার ট্রেনে উঠেছিলাম,সিলেট থেকে ঢাকায় এসেছিলাম। কি যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ছিল, ট্রেনের সিট গুলো মোটেও ভাল ছিল না , প্রচন্ড গরম ছিল, টয়লেটের ও সু ব্যবস্থা ছিল না।অনেক সময়ও লেগে ছিল। আমরা যখন ঢাকায় আমার বোনের বাসায় ছিলাম তখন আমার হাজব্যান্ড এসেছিলো আমাদেরকে নিয়ে যেতে সিলেটে, এসে বলছে ট্রেনের টিকিট কেটেছি। আমি শুনে অবাক! কি বলো, তোমার মাথা ঠিক আছে? ট্রেনে কিভাবে যাব? সে বলল এত খারাপ নয়, আমি ট্রেনে এসেছি, এ সি এর ব্যবস্থা আছে। তখন একটু স্বস্তি পেলাম।
ট্রেনের ভিতরে গিয়ে দেখি আসলেই অনেক সুন্দর, সিটগুলোও অনেক ভালো। তবে এর থেকে ভাল অবস্থানে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রায় একমাস আগে টিকিট কেটে রাখতে হবে। আমরা আগে থেকে টিকিট কাটতে পারেনি, মাত্র একদিন আগে টিকিট কেটে ছিলাম ।এ কারণে প্রায় তিনগুণ ভাড়া দিতে হয়েছিল, নরমালি ৩৫০ টাকা করে ভাড়া,আর আমরা সেখানে দিয়েছিলাম ৯০০ টাকা করে। প্রায় ৮ ঘন্টা লেগে ছিল আমাদের জার্নিতে। ভিতরে নানান রকমের খাবারের আয়োজন ছিল, চা-কফি এবং বিভিন্ন ধরনের স্নাক্স, অর্ডার দিলেই তারা দিয়ে যেত। টয়লেটেরও ভালো ব্যবস্থা ছিল, কমোড সিস্টেম ছিল, আর মোটামুটি ক্লিন ও ছিল। ভেবে ভালোই লাগলো বাংলাদেশের ট্রেনের যোগাযোগ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।
বন্ধুরা, এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন, আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে।যারা কখনো ট্রেন জার্নি করেন নি তারা একবার করে দেখুন, আশা করি ভালই লাগবে।
ধন্যবাদ,
@tangera
ট্রেনের জার্নি সম্পর্কে খুব সুন্দরভাবে আপনি বর্ণনা দিয়েছেন পড়ে ভালো লাগলো ।আমি কখনও ট্রেনে চড়েনি তবে একবার চরতে গিয়েও চলতে পারিনি ইচ্ছা আছে একবার ট্রেনে চড়ার।
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে মন্তব্যের জন্য।
বাংলাদেশের ট্রেন জার্নি করতে বেশ ভালোই লাগে আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন আপনার বাংলাদেশের ট্রেন জার্নি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপু আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো । আপনি দশ বছর আগে ট্রেনে উঠে ছিলেন কিন্তু আমার ট্রেনে ওঠার সৌভাগ্য এখনো হয়নি। ট্রেনের ভিতরে এত সুন্দর ভিআইপি জায়গা রয়েছে সেটি আমার জানা ছিল না আপনার পোস্টটি খুবই চমৎকার ছিল আপনি আপনার ভ্রমণ জীবন সম্পর্কে খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পোস্টটি তুলে ধরেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপু,আমি এখনো ট্রেন জার্নি করি নি,কারণ দরকারও হয় নি।আর আপনার এই ভ্রমণ কাহিনি পড়ে ভালোই লাগলো যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি লাভ করতেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মধ্যবিত্ত লোকজনের জন্য ট্রেন ভ্রমণ খুবই সাশ্রয়ী।ঢাকা থেকে সিলেট ট্রেন ভ্রমণ করেছি এবং বেশ উপভোগ করেছি। তবে ফরিদপুর থেকে কোন ভিআইপি ট্রেন না থাকায় আপনাকে একটু কষ্ট করতে হয়। আপনার যাত্রা শুভ হোক।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু ১০ বছর আগে আপনার সেই ট্রেনের পচা জার্নির অভিজ্ঞতা আমারও ছিলো। তারপর থেকে ট্রেনের জার্নি আমার জন্যও একটি ভীতিকর ছিল। কিন্তু আমি প্রথম যখন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসি তখন থেকে আমার ট্রেনের জার্নির অভিজ্ঞতা পাল্টে গিয়েছে। তারপর আমি রাজশাহী থাকা অবস্থায় নিয়মিত ঢাকা রাজশাহী ট্রেনের যাতায়াত করেছি। খুবই চমৎকার ছিল ট্রেনের জার্নি। এবারের ট্রেনের আপনাদের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল শুনে খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু তোমাকে।
ট্রেন জার্নি সব থেকে পছন্দের আমার ।বাস বলো যাই বলো ।ট্রেনের জার্নিই সব থেকে স্বস্তিকর ।আপনার ট্রেন জার্নির মুহূর্ত শেয়ার করেছেন ভাল লেগেছে ।ধন্যবাদ জার্নি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আপু আপনি ট্রেইন জার্নি নিয়ে খুব ভালো অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।আপু আমি তেমন ট্রেইনে চলাফেরা করতে পারি না। আমার অনেক বেশি ভয় লাগে। কারণ ট্রেইংনে উঠার সয়ম অনেক কষ্টে উঠতে হয়।তবে আপু আপনার ট্রেইন জার্নি অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জেনে খুব ভালো লেগেছে।
আপনার জন্য অনেক ভালোবাসা ও দুআ রইলো আপু।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ট্রেন জার্নি খুবই আরামদায়ক। ক্লান্তি খুব কম লাগে অন্যান্য জার্নির চেয়ে। আপনার বর্ণনা করা ট্রেন জার্নিটা খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ