আদা ও রসুন পেস্ট দীর্ঘদিন মজুদ করে রাখা
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। মাংস রান্নায় আদা ও রসুন পেস্ট এর বিকল্প ব্যবহার আর কোন কিছুতেই হয় না। শুধু মাংসই নয়, রান্না করার আরও অনেক আইটেম রয়েছে যেগুলোতে আদা, রসুন পেষ্ট অবশ্যই লাগে।ছোটবেলায় আম্মাকে দেখেছি আদা ও রসুন পাটায় পিষে নিতে, কিন্তু এখন আধুনিক যুগে পাটায় পিষা একেবারেই উঠে গিয়েছে। সবাই এখন ব্লেন্ডার ব্যবহার করে থাকেন। অবশ্য আমাদের এখানে ফ্রজেন আদা ও রসুন পেস্ট পাওয়া যায়। আমি মাঝে মাঝে কিনে আনি, কিন্তু নিজ হাতে বানানো আর কেনাটার মাঝে অনেক পার্থক্য রয়েছে।কেনাটা দিয়ে তরকারি রান্না করলে আমার নিজ হাতের রান্নার সেই স্বাদটা পাইনা। তাই ঘরেই বেশি বানানো হয়, কিন্তু বারে বারে বানানো খুবই ঝামেলা হয়। তাই আজকে আপনাদের কে একটি প্রসেস দেখাবো কিভাবে আদা রসুন পেস্ট ঘরে দীর্ঘদিন রাখা যায়।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক আদা ও রসুন পেস্ট তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
| উপকরণ | পরিমাণ | 
|---|---|
| আদা | বড় সাইজের ৫/৬ পিচ | 
| রসুন | বড় সাইজের ৫/৬ টি | 
| পানি | হাফ কাপ | 
| সয়াবিন তেল | ২ টেবিল চামচ | 
| চাটনি কাপ | ৯ টি | 
কার্যপদ্ধতিঃ
![]()  | ![]()  | 
|---|
প্রথমেই রসুন গুলোর কোয়া খুলে ৩০ মিনিটের জন্য পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি।পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ছুলতে একটু সুবিধা হয়।
![]()  | ![]()  | 
|---|
এরপর আদাগুলো কুচিকুচি করে কেটে পানিতে ধুয়ে নিয়েছি।
![]()  | ![]()  | 
|---|
রসুনগুলো ছুলে কুচিকুচি করে কেটে নিয়েছি। একটি কথা মনে রাখতে হবে আদা যদি তিন ভাগ হয়, তাহলে রসুন নিতে হবে দুই ভাগ অর্থাৎ রসুন আদার থেকে কম থাকবে।
![]()  | ![]()  | 
|---|
এরপর ব্লেন্ডারে আদা, রসুন ও পানি দিয়ে তেল যোগ করে দিয়েছি।
![]()  | ![]()  | 
|---|
এরপর ব্লেন্ড করে একটি বাটিতে ঢেলে নিয়েছি।
![]()  | ![]()  | 
|---|
এরপর চাঁটনি কাপগুলোতে যতটুকু একবার রান্নার জন্য লাগবে সেই অনুপাতে ঢেলে নিয়েছি।
এবার লিডগুলো লাগিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিয়েছি।
এভাবে দীর্ঘদিন চার থেকে পাঁচ মাস রেখে দিতে পারবেন। আর নরমাল ফ্রিজে প্রায় দুই সপ্তাহ রেখে দিতে পারবেন কারণ এখানে তেল যোগ করেছি। তেল যোগ করলে অনেক দিন থাকে। এরপর ডিপফ্রিজে যেগুলো রেখে দিয়েছি সেগুলো রান্নার এক ঘন্টা আগে বের করে রাখলেই স্ফট হয়ে যায়, আর যদি বের করতে ভুলে যাই তাহলে মাইক্রোওভেনে এক মিনিট দিলেই স্ফট হয়ে যায়।
| Photographer | @tangera | 
|---|---|
| Device | I phone 13 Pro Max | 
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
















আপনি ঠিক বলেছেন আপু আদা রসুন দিয়ে বেশিরভাগ তারকারি রান্না করা হয়। আমার গ্রামের বাড়িতে এখনো আদা রসুন পাটায় পিসে পেস্ট করা হয়। আম্মা বলে উনার নাকি ব্লেন্ড করাটা ভাল লাগে না। যাই হোক আমি ঢাকায় ব্লেন্ড করেই খাই। তবে সংরক্ষণ নিয়ে ঝামেলা হয়। আপনার সংরক্ষণ পদ্ধতি অনেক কার্যকরী মনে হচ্ছে। এখানে দুটি বিষয় স্পেশাল মনে হয়েছে এক. ব্লেন্ড করার সময় তেল ব্যবহার করা দুই. ছোট ছোট চাটনি কাপে প্রিজারভ করে রাখা। খুবই উপকারী একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আমার মনে হয় অনেকেই আপনার এই পদ্ধতি ফলো করবে। ধন্যবাদ আপু।
জ্বী ভাইয়া আপনিও করে দেখতে পারেন পারেন, অনেক উপকারে আসবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই আগে পাটায় পিষে রান্না করা হতো,ঐটা আলাদা স্বাদ ছিলো।প্রযুক্তি এর উন্নয়নে মানুষের এখন আর তেমন কষ্ট করা লাগে না।যাই হোক আমরা সাথে লবন যোগ করি,তাহলে নরমাল চেম্বারে অনেক সময়ই থাকে।তেল যোগ করাটা আপনার কাছ থেকে শিখে নিলাম আপু।ধন্যবাদ
জ্বী আপু একবার করে দেখবেন এই পদ্ধতিতে, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নতুন একটি বিষয়ে ধারণা অর্জন করতে পারলাম আপনার এই পোস্টের মধ্য দিয়ে। যেহেতু আমরা ছেলে মানুষ, তাই এই বিষয়ে এতটা অবগত নয়। আদা আর রসুন এভাবে ব্লেন্ডার মেশিন এর মাধ্যমে সমন্বয় করে রেখে দেওয়া যায় তা আমার জানা ছিল না। আপনার বর্ণনা করে বুঝতে পারলাম অনেক কিছু। রসুন পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছুলতে সুবিধা হয় এটাও জানতে পারলাম আপনার পোষ্টের মধ্য দিয়ে। খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট।
আমারও অনেক ভালো লাগলো মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু আসলে বাটায় পেশার দিন চলে গিয়েছে । কিন্তু আমার মনে হয় যে ব্লেন্ডারের থেকে বাটায় পেশা মসলাগুলোর রান্না স্বাদ অনেক বেশি হয়। আপনার মত আমিও একবারে বেশি করে আদা রসুন পেস্ট করে ফ্রিজে রেখে দেই। কিন্তু তেল ব্যবহার করি না। আজকে নতুন একটি পদ্ধতি শিখতে পারলাম । ধন্যবাদ আপনাকে।
ডিপ ফ্রিজে রাখলে তেল না দিলেও চলে, ধন্যবাদ তোমাকে।
আমার মা তো ব্লেন্ডার করা খুব একটা পছন্দই করেন না। পাটায় পিষে করে নাকি বেশি স্বাদ পাওয়া যায়। তবু মাঝে মাঝে এমন করে ব্লেন্ডার করে ফ্রিজে রাখে। তবে তেল দেওয়ার ব্যাপারটা নতুন জানা হলো আমার। এটা অবশ্যই বলবো এরপর থেকে অ্যাপ্লাই করতে।
একদম ঠিক বলেছেন আমার কাছেও তাই মনে হয় পাটায় পিষে রান্না করার তরকারির স্বাদই আলাদা।
আজকের আপনার পোস্টটি আমাদের অনেক কাজে লাগবে। কারণ এই পোস্টটি অনুসরণ করে অনেক দিন বাটা ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে। যাইহোক খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন,পোস্ট থেকে অনেক কিছু শিখতে পারলাম।
আমারও জেনে অনেক ভালো লাগলো আমার পোস্ট থেকে কিছু একটা শিখতে পেরেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আইডিয়াটি সত্যি দারুণ, অনেকের হয়তো উপকার হবে এবং এভাবে দীর্ঘ দিন ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করতে পারবে। আসলেই প্রযুক্তির কল্যানে আমাদের সব কিছুই পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, এখন আর কেউ পাটায় বেটে মসলা ব্যবহার করেন না, ঠিক তেমনি আদা রসুনের ক্ষেত্রেও হয়েছে। ধন্যবাদ
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার মন্তব্যটি পড়ে।
আদা ও রসুন কিভাবে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখা যায়। সেই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আসলে এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারলাম ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমারও জেনে অনেক ভালো লাগলো আমার পোস্ট থেকে কিছু একটা শিখতে পারলেন, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই আপু অসাধারণ একটি প্রসেস দেখালেন আপনি। যেসব মহিলারা চাকরিজীবী তাদের জন্য এ প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার করা এই প্রসেসে আদা ও রসুন পেস্ট দীর্ঘদিন মজিদ করে রাখা যাবে। দারুন একটি আইডিয়া পেলাম আপু আপনার কাছ থেকে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই প্রসেসটি দেখানোর জন্য।
সত্যিই সুস্বাদু, আপনার কাছ থেকে একটি নতুন রেসিপি পেয়ে আমি খুশি