আমার স্টার রাইটার
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
আমার ছোট মেয়েটা তার স্কুলে স্টার রাইটার হয়েছে।এটি ছিল আমার জন্য বড় একটি পাওয়া। আসলে নিজের সন্তানেরা ভালো কিছু করে দেখালে তা বাবা-মায়ের জন্য যে কত আনন্দের তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।মেয়েটি যখন স্কুল থেকে এসে আমাকে বলেছিল তখন আমি ভালোভাবে বুঝতে পারিনি বিষয়টি।পরে যখন স্কুল থেকে এই মেসেজটি পেয়েছি তখন বিষয়টি ক্লিয়ার হয়েছি।খুবই ভালো লাগছিল তখন। আসলে বিষয়টি হচ্ছে তাদেরকে একটি খাতা দেওয়া হয়েছিল একটি স্টোরি লেখার জন্য এবং ওই খাতায় কিছু ফটো এ্যাড করা হয়েছিল।আর স্টোরিটির নাম ও মেইন ক্যারেক্টারটি বলে দেওয়া হয়েছিল। ওই ফটো দেখে দেখে নিজেদের মতো করে স্টোরি লিখতে হবে। তাদের ক্লাসে মোট ৩০ জন স্টুডেন্ট ছিল। তার মধ্য থেকে দুজন স্টুডেন্টকে স্টার রাইটার বানানো হয়েছে অর্থাৎ যাদের লেখা সবচেয়ে ভালো হয়েছে, যাদের লেখার বিষয় বস্তু টিচারের ভালো লেগেছে তাদেরকে বানানো হয়েছে।
মেয়ের গলায় একটি মেডেল পড়িয়ে ফটো তুলেছে।সাথে রয়েছে যে স্টোরি সে লিখেছিল।
আরেকটি জিনিসও আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এখানে তারা সরাসরি যে উইনার হয়েছে তার নাম ঘোষণা করেনি। যে উইনার হয়েছে তার স্টোরিটা সকলকে পড়ে শুনিয়েছে এবং যে মনে করবে এটা তার লেখা তখন ঐ সময় তাকে টিচারের কাছে উঠে যেতে হবে।এরপর টিচারের কাছে আসা দেখেই সকলেই বুঝতে পারে কে উইনার হয়েছে।বিষয়টি সত্যি আমার অনেক ভালো লেগেছে। টিচার যখন স্টোরি পড়তে থাকে তখন ওই মুহূর্তে সকল স্টুডেন্ট খুবই এক্সাইটেড থাকে। মনে মনে ভাবতে থাকে তার স্টোরি টিচার পড়বে হয়ত। যাইহোক নিয়ম অনুযায়ী দুজন স্টুডেন্টকে তারা বাছাই করে। তার মধ্যে আমার মেয়েটিও ছিল।
গতকাল প্যারেন্টস মিটিং ছিল। তখন টিচার আমার মেয়ে সম্পর্কে বলল সে খুব ভালো করছে। আর দুর্বল যে পয়েন্টগুলো আছে সেগুলো আমাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলল কিভাবে সেই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠতে হবে। এ ছাড়া আরও একটি বিষয় ভালো লেগেছে যে টিচার তার হ্যান্ড রাইটিং এর খুবই প্রশংসা করেছিল। টিচার বলল মেয়ের হাতের লেখা এক্সিলেন্ট। আর তার লেখাগুলো আমাকে দেখালো। এই ফাঁকে আমিও একটি ফটোগ্রাফি নিয়ে নিলাম। মেয়ের প্রশংসা শুনতে বেশ ভালই লাগছিল।
ছোট মেয়ের হ্যান্ড রাইটিং।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আমার মেয়েদের জন্য দোয়া করবেন ।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
ওয়াও আপু! লিটল চ্যাম্প কে আমার পক্ষ থেকেও অভিনন্দন ও শুভকামনা। এভাবেই ছোট ছোট এচিভমেন্ট থেকেই শুরু হোক, আর নিজের সফলতার ঝুলি পূর্ণ হোক এমন অগণিত এচিভমেন্ট এ! এমন মুহূর্ত মা হিসেবে আপনার জন্য যেমন আনন্দের, তেমনি বাচ্চার জন্যও ভীষণ অনুপ্রেরণার 🥰
হ্যাঁ প্রতিটা সন্তানের সফলতা যেন বাবা-মায়ের অন্যতম খুশির কারণ। ৩০ জন স্টুডেন্টের মধ্যে দুজনকে স্টার দেয়া হয়েছে আর তাদের মধ্যে আপনার মেয়ে একজন যেটা সত্যি ভালো সংবাদ। তার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আর হ্যাঁ তার হ্যান্ড রাইটিং কিন্তু অসাধারণ সুন্দর।
আসলেই সন্তানের সাফল্যে বাবা মায়ের কি পরিমাণ যে আনন্দ হয় তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। খুব ভালো লাগছে রিহার অর্জন দেখে। চমৎকার ছিল আইডিয়াটি। নিজেদের গল্প শুনলেই বুঝতে পারবে গল্পটি সে লিখেছে। তাছাড়া প্যারেন্টস মিটিং এ ওর প্রশংসা করেছে জেনে ভালো লাগলো। ওর হাতের লেখা আসলেই খুব চমৎকার। এত ছোট বাচ্চার এত সুন্দর হাতের লেখা সচরাচর দেখা যায় না। আশা করি বড় হলে আরো ভালো হবে।
সন্তানের সাফল্য মায়ের মনকে আনন্দিত করে।ছোট মেয়ের এমন সাফল্য দেখে আমার ও ভীষণ ভালো লাগলো আপু। আপনার মেয়ের হাতের লেখা মাশাল্লাহ খুব সুন্দর। বড় হলে আরো সুন্দর হবে এমনটাই আশাকরি। মেয়ের জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা। আর পরিবারের সবাই কে নিয়ে আপনি ভালো থাকবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি আপু।
সন্তানের প্রশংসা শুনলে বাবা মা সত্যি অনেক খুশি হয়ে যায়। আর আপনার ছোট মেয়ের সফলতা দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। আশা করছি সে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আর স্টোরি সবাইকে পড়ে শোনানোর পর যখন বিজয়ী নিজে বুঝতে পারে সে বিজয়ী হয়েছে এই ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে। আর আপনার ছোট মেয়ের হাতের লেখা সত্যিই অনেক সুন্দর।
আমরা সন্তানদের জন্য অনেক পরিশ্রম করি। যখন এত সুন্দর সুখবর পাওয়া যায় তাহলে মা বাবার জন্য সবচেয়ে খুশির দিন হয় সেই দিন গুলো। আমরা প্রত্যেক মা-বাবারা চাই সন্তান তাদের মা বাবার মুখ উজ্জ্বল করুক। আপু আপনার মেয়ে স্টার রাইটার হয়েছে জেনে আমার অনেক ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে যে আমার সন্তান স্টার রাইটার হয়েছে। মেয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। যখন স্কুলের পক্ষ থেকে কিংবা বাইরের লোকজন নিজের সন্তানের প্রশংসা করে। তখন নিজেকে অনেক বেশি গর্বিত মনে হয়।
আসলে সন্তানেরা যখন সফল হয়,তখন মা বাবার আনন্দের সীমা থাকে না। আপনার ছোট মেয়ের হাতের লেখা খুবই সুন্দর। ৩০ জনের মধ্যে ২ জন স্টার রাইটার হয়েছে, এটা মোটেই সহজ নয়। দোয়া করি এভাবেই যেন অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে এবং আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ বিষয়টা জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো । দারুন অ্যাচিভমেন্ট। আসলে নিজেদের বাচ্চারা ভালো কিছু করলে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে। প্যারেন্টস মিটিংয়ে ওর প্রশংসা শুনে আপনার নিশ্চয়ই অনেক ভালো লেগেছে। আমার নিজের কাছেই ভীষণ ভালো লাগছে। রিহার হাতের লেখা তো মাশাল্লাহ বেশ ভালই হয়েছে। সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো ওর অর্জন দেখে। অনেক বড় হও এই দোয়া রইলো।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।