মজাদার মিষ্টির ভর্তার রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
টাইটেলের নামটি দেখে অবশ্যই অবাক হয়ে গিয়েছেন তাই না? হ্যাঁ বন্ধুরা নামটি আসলেই অবাক করার মত কারণ মিষ্টি দিয়ে আবার কখনো ভর্তা হয় না কি? হ্যাঁ বন্ধুরা মিষ্টি বানাতে গিয়ে আমার বেশিরভাগ মিষ্টি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। একেবারে ভর্তার মত হয়ে গিয়েছিল। তাই এর নামটি দিয়েছি মিষ্টির ভর্তা। তবে যে গুলো বাঁচাতে পেরেছিলাম সেগুলো কিন্তু খেতে দারুন ছিল। আসলে হঠাৎ করে আমি ফেসবুকে scroll করছিলাম তখন আমার পাশে ছোট মেয়ে বসা ছিল। তখন হঠাৎ করে এই মিষ্টির রেসিপিটি দেখতে পাই। তখন আমার মেয়ে বায়না ধরেছে তাকে ঐ মিষ্টি বানিয়ে খাওয়াতে হবে। তখন কি আর করা একটু চেষ্টা করলাম। যদিও মিষ্টি তেমন বানানো হয় না, দু’একবার হয়তো করেছিলাম। তখন অন্য ভাবে তৈরি করেছিলাম। আর আজকে তৈরি করেছিলাম সুজি আর তরল দুধ দিয়ে মিষ্টি। সুজি দিয়ে যে মিষ্টি বানানো যায় তা আমার ধারনাই ছিল না। যাইহোক একটু চেষ্টা করেছিলাম মা ও মেয়ে মিলে।আমার মেয়ের তো খেতে ভালই লেগেছে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আমার মিষ্টির এই ভর্তার রেসিপি টি।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
তরল দুধ | দেড় কাপ |
সুঁজি | হাফ কাপ |
গুঁড়া দুধ | হাফ কাপ |
পানি | ২ কাপ |
চিনি | হাফ কাপ |
এলাচ | ৩/৪ টি |
ঘি | ২ টেবিল চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে একটি হাঁড়িতে ফুল আঁচে তরল দুধ দিয়ে দিয়েছি। এরপর গুঁড়া দুধ দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর দুধের মধ্যে সুজিগুলো দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর চিনি অ্যাড করে মিশিয়ে নিয়েছি।এরপর ঘি অ্যাড করে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর ঘি অ্যাড করে অল্প আঁচে কয়েক মিনিট নেড়ে চেড়ে নিয়েছি।এরপর কিছুটা ঠান্ডা হলে একটি ডো বানিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর হাতের তালুর সাহায্যে এভাবে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিয়েছি। ডান পাশের গুলো আমার ছোট মেয়ে বানিয়েছে।
![]() | ![]() |
---|
এরপর একটি হাঁড়িতে মিডিয়াম আঁচে চিনি গুলো দিয়ে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর পানি দিয়ে দুই তিন মিনিট নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর এলাচ গুলো দিয়ে দিয়েছি। এরপর বলক আসলে বল গুলো দিয়ে মিডিয়াম আঁচে তিন চার মিনিটের জন্য রেখে দিয়েছি।
এরপর চুলার আঁচ বাড়িয়ে আরও তিন চার মিনিট রেখে দিয়েছি।আর আঁচ বাড়িয়ে দেওয়াতে তখনই আমার সর্বনাশ হয়েছে। মিষ্টিগুলো তখনই ভর্তা হয়ে গিয়েছে ৯/১০ টি বাদে। 😢
অবশেষে এই কয়টি পেয়েছি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি নতুন এই ভর্তার রেসিপি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে অবশ্যই বাসায় তৈরি করে দেখবেন। জাস্ট একটু মজা করলাম।😍
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপু পোস্টের টাইটেল পড়ে তো অবাক হয়ে যাচ্ছিলাম।পরে সবটা পড়ে বুঝলাম মিষ্টি ই বানিয়েছেন। কিন্তু চুলার আঁচ বাড়িয়ে দেয়াতে ৯ টি বাদে সব ভর্তা হয়ে গিয়েছিল। তবে মিস্টিগুলো কিন্তু চমৎকার ই হয়েছে।খেতে ও দারুন মজার হওয়ার কথা।ছোট মেয়ের মিষ্টি বানানো ও খুব সুন্দর হয়েছে। ভালো লাগলো দেখে।ধন্যবাদ আপু রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই নামটি দেখে আমিও একটু অবাক হয়েছি মিষ্টি আবার কিভাবে ভর্তা হয়। তবে আপনার মনে হয় একদিক থেকে ভালোই হয়েছে ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি তৈরি হয়ে গিয়েছে আর ভিন্ন ধরনের নামও দিয়েছেন।
সত্যি আপু টাইটেল দেখে আমিও অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তবে যাই বলুন না কেন আপু যে কয়টা মিষ্টি বেঁচেছে সেগুলো কিন্তু দেখতে ভালোই লাগছে। আসলে মিষ্টি তৈরি করা আমার কাছে খুবই কঠিন মনে হয়। আমিও কখনো ট্রাই করিনি। তবে আমার ছোট বোন বেশ ভালো মিষ্টি বানাতে পারে। ছোট মামনির আবদারে আপনিও মিষ্টি বানিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো আপু।
আসলেই আপু টাইটেলটা দেখে প্রথমে অবাক হয়েছি। মনে মনে ভাবছিলাম যে, মিষ্টি দিয়ে কি ভর্তা বানানো যায়! এই ভর্তা রেসিপিটি দেখে কিন্তু অনেক লোভনীয় লাগছে আপু গরম ভাতের সাথে খাইতে নিশ্চয়ই অনেক স্বাদ লাগবে।অনেক সুন্দরভাবে এবং সুন্দর করে ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু এই সকাল সকাল আপনার ভিন্ন এক নাম মিষ্টি আবার ভর্তা ৷যা হোক খেতে নিশ্চয়ই ভালো ছিলো৷ সত্যি আজকে আপনার কাছ অন্যরকম এক মিষ্টির ভর্তার রেসেপি দেখলাম ৷ অনেক ভালো লাগলো দেখে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু৷ ভালো থাকবেন !!!
আমিতো ভেবেই পাচ্ছি না মিষ্টির আবার ভর্তাও তৈরী করা যায় পরে দেখলাম জাল বাড়িয়ে সর্বনাশ করে মিষ্টির নাম পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে । খেতে কেমন হয়েছিল ? ভালোই হয়েছে আপনার মাধ্যমে সর্বনাশা মিষ্টির ভর্তা রেসিপি শিখতে পারলাম এভাবে কখনো ট্রাই ই করবো না ।
ফেসবুকে মাঝেমধ্যে এমন সুন্দর সুন্দর রেসিপি দেখা যায় কিন্তু সেগুলো তৈরি করতে গেলে আর ওদের মত হয় না। আপনার মিষ্টির রেসিপি প্রথম দিকে তো বেশ পারফেক্টটি মনে হচ্ছিল। শেষে হয়তো রান্না বেশি হয়ে গিয়েছে জন্য এরকম ভর্তা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যে কয়টি পেয়েছেন সে কয়টি কিন্তু বেশ লোভনীয় লাগছে।ছোট মেয়ে খেতে পেরেছে তাই অনেক।
প্রথমে রেসিপির নামটি দেখে আমিও একটু অবাক হয়েছিলাম মিষ্টির ভর্তা। ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। মজাদার ও সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি তো ক্যাপশন দেখে ভাবলাম, ভর্তা রেসিপির প্রতিযোগিতা চলছে, আপু তাই মিষ্টির ভর্তা নিয়ে হাজির হয়েছেন 😜। দারুণ ক্যাপশন ছিলো আপু। সরি, আমিও একটু মজা করলাম। তবে প্রথমবার বলেই কতগুলো ভর্তা হয়ে গেছে। পরের বার আশা করছি হবে না এবং আমরা হয়তো শীঘ্রই আবারো এমন মিষ্টির রেসিপি আপনার থেকে দেখতে পাবো।
মজাদার মিষ্টির ভর্তার রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এতো মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার কারার জন্য অনেক ধন্যবাদ। একদম ইউনিক রেসিপি হয়ে।