অবশেষে গজালো বিচি থেকে চারাগুলো
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
কিছুদিন আগে আমার একটি পোস্টে শেয়ার করেছিলাম যেখানে চারা তৈরির জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছিলাম।বিচিগুলো পটে বুনে রেখেছিলাম চারা গজানোর জন্য। বুঝলাম না এবার চারাগুলো গজাতে কেন এত দেরি হচ্ছে? এর আগে প্রায় দু এক সপ্তাহের মধ্যেই চারাগুলো গজিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার প্রায় তিন সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে তারপরও সবগুলো বিচি থেকে এখনো চারা উৎপন্ন হয়নি। অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম, অবশেষে তাদের মুখ দেখলাম। তবে মোটামুটি সব ধরনের বীজ থেকেই চারা উৎপন্ন হয়ে গিয়েছে, শুধুমাত্র বাকি রয়েছে লাউ, সিম সহ আরও কিছু চারা । যদিও দেখেছি একটি সিম ইতিমধ্যে উঠে গিয়েছে। আশা করছি বাকি গুলোও দ্রুত উঠে যাবে।
আমার গজানো চারাগুলোর মধ্যে রয়েছে টমেটো, কাঁচা মরিচ, ঢেঁড়স,শঁসা ও বরবটি। এখন শুধু অপেক্ষায় রয়েছি লাউ,বোম্বাই মরিচ, পেঁপের। আসলে বিচি থেকে যখন চারাগুলো গজায় তখন এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। খুবই ভালো লাগে যখন ছোট ছোট চারা গুলো মাথা বের করে দাঁড়িয়ে উঠে। আমি তো খুব উপভোগ করি এই মুহূর্তটি। দুটি মুহূর্ত আমি খুব উপভোগ করি।যখন বিচি থেকে চারাগুলো গজায়, আর যখন এরা ফল দেয়। তখন মনে দারুণ এক প্রশান্তি আসে। যাইহোক চলুন তাহলে এক নজরে দেখে নেয়া যাক আমার গজানো চারাগুলো।
উপরে রয়েছে বরবটি, কাঁচামরিচ, টমেটো,ঢেঁড়স, শসা ও সিম।
এখন আমাদের এখানে বেশ ভালো একটা ওয়েদার চলছে। ১৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা ছিল আজ। চারা গুলো আরেকটু বড় হলেই সেপারেট করে নিয়ে যাব বাগানে। এছাড়া আরো বাকি রয়েছে লাল শাক, ডাঁটা শাক ও লাই শাকের বীজগুলো মাটিতে বুনার। খুবই তৃপ্তি পাওয়া যায় নিজ বাগানের শাকসবজি গুলো তুলে খাওয়ায়।
এর আগে আপনাদের দেখিয়েছিলাম অনেকগুলো ফুলের চারা এনেছে আমার হাজব্যান্ড এবং বলেছিলাম যখন বাগানে নিয়ে যাব তখন আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজকে তার ফটোগ্রাফিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
সরাসরি মাটিতে লাগাইনি।এটি কাঠের ডেকোরেশন করা বড় একটি বস্তু , টব বলা যেতে পারে। অর্ডার করে কিনে আনা হয়েছিল। বেশ ভালই লাগে যখন কালারফুল ফুলগুলো ফুটে উঠে।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
এ কদিন আগেই না শুনলাম আপনাদের বীজ লাগানোর কথা। এত তাড়াতাড়ি চারাও হয়ে গেল। আসলে এসব কিছুই হলো পরিশ্রমের ফল। বেশ দারুন একটি বিষয়।আর আনন্দ পাওয়ার ই কথা। একেবার সন্তানের মত করে বীজ থেকে চারা গুলো কে গজানো। বেশ ভালো লাগলো আপু।
একদম ঠিক বলেছেন আপু ,সন্তানের মত করে বীজ থেকে চারা গুলো কে গজানো।ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ দেখে ভালো লাগল আপু। আপনি বিভিন্ন শাক সবজির বীজ রোপন করেছেন এবং ইতিমধ্যে চারা বের হয়ে গেছে। বীজ থেকে যখন চারা অঙ্কুরিত হয় তখন দেখতেই বেশ সুন্দর লাগে। দেখে মনে হয় নতুন আরেকটা কুড়ির আগমন হলো পৃথিবীতে। আরেকটু বড় হলে চারগুলো বাগানে নিয়ে যাওয়ার পর রোপণ করলে আশাকরি খুব দ্রুতই বড় হয়ে যাবে। এবং আপনার বাগানের পরবর্তী পোস্ট গুলো দেখতে পারব।
অবশ্যই পরবর্তী পোস্টগুলো দেখতে পারবেন ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
তিন সপ্তাহ পর চারা গজালো,আসলেই অনেকটা সময় লেগে গিয়েছে আপু।আপনার বাগান বরাবরই আমার কাছে ভালো লাগে।নিজ হাতে কোনো কিছু লাগিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা তেমনি মনে পরিতৃপ্তি মেলে।ফুলগুলি অসাধারণ হয়েছে আর চারাগুলি দেরিতে বের হলেও বেশ পুষ্ট মনে হচ্ছে।ধন্যবাদ আপু।
তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
কিছুদিন আগে আপনার বীজ লাগানোর পোস্টটি দেখেছিলাম। প্রায় তিন সপ্তাহ পর চারা গজালো। চারা গজানো এবং ফল দেওয়া এই মুহূর্তগুলো আমাদের মনকে আসলেই প্রশান্ত করে। কারণ অনেক পরিশ্রম এবং ধৈর্যের পর আমরা এই মুহূর্তগুলো পাই। আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে ভালো লাগলো আপু। ফুল গাছ গুলো খুব সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করে লাগিয়েছেন।
বীজ থেকে চারা উৎপাদন করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। অনেক সময় অপেক্ষায় থাকতে হয় কখন ছোট ছোট চারা গজাবে। অবশেষে বেশ কিছু চারা গজিয়েছে দেখে ভালো লাগলো আপু। আশা করছি আরও বাকি সব চারা গুলো খুব দ্রুতই গজিয়ে যাবে। ফুলের গাছগুলো দেখতেও কিন্তু বেশ সুন্দর লাগছে আপু। আশা করছি প্রত্যেকবারের মতো এবারও আপনার সখের বাগান ফসলে ভরে উঠবে। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু।
বাহ আপু আপনিও যে শাক সবজির চাষাবাদ করতে ইচ্ছুক এটা শুনে বেশ ভালোই লাগতেছে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি লাউ শাকের গাছ বের হতে একটু সময় লেগে যায়। টমেটো কাঁচা মরিচ ঢেঁড়স শসা ইত্যাদি সবজিগুলো চড়াই ইতি মধ্যেই গজিয়ে দিয়েছে আর শুধুমাত্র বাকি রয়েছে লাউ,বোম্বাই মরিচ, পেঁপের চারা গজানো আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এগুলো বেরিয়ে যাবে। সেই সাথে আপনি আপনার বাগানে টবের উপর করা সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি আমার কাছে আজকে ভীষণ ভালো লেগেছে আপু।
আসলেই আপু বিচি থেকে চারা গজালে অনেক আনন্দ লাগে মনের মধ্যে। তাছাড়া নিজের বাগানের টাটকা সবজি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। সবগুলো গাছ যখন বড় হবে, তখন আসলেই আনন্দের সীমা থাকবে না। কাঠের টবটি দেখতে তো খুবই সুন্দর। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।
সব সময় কি আর একই রকম ভাবে চারা গজাবে। ছোটচারাগুলোর যখন মাথা বের হয় তখন দেখতে খুব ভালো লাগে। আমিও এর আগে এরকম চারা গাছ লাগিয়েছিলাম। অনেক ধরনের গাছের চারা লাগিয়েছেন দেখছি। তাছাড়া ফুলের টবটিতে ফুল লাগানোর কারনে খুব সুন্দর লাগছে। ফুল পুরোপুরি ফুটলে আরো বেশি ভালো লাগবে বোঝা যাচ্ছে।
আপু, আপনার আগের একটা পোস্ট পড়েছিলাম যেখানে মাটিতে বীজ লাগানোর প্রসেস চলছিল। তবে আসলেই অনেকটা সময় লেগে গেল সেগুলো থেকে চারা বের হতে। যাইহোক, আপনার এই উৎসাহ এবং কঠোর পরিশ্রম দেখে অনেক বেশি অবাক হচ্ছি। আমরা তো এত সুযোগ পাই তাও এসব গাছ লাগানোর প্রয়োজন মনে করি না। তবে আপনি বিদেশের মাটিতেও এইসব গাছ লাগিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন যে, চেষ্টা করলে সবকিছু সম্ভব। আশা করি, আপনার বাকি গাছ গুলোও আস্তে আস্তে মাথা উঁচু করে উঠবে।