পুলি পিঠা দিয়ে একটি ব্যতিক্রমী রেসিপি (10% beneficiary @ shy-fox)
আসসালামুআলাইকুম ,
সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালই আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি পুলি বা চই পিঠা দিয়ে একটি ব্যতিক্রমী রেসিপি নিয়ে। এই পিঠাটিকে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন নামে ডাকে ।গতকাল আমি আমাদের ডিসকর্ড চ্যানেলে এই পিঠাটির ছবি দিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এর নাম কি?অনেকেই অনেক নাম দিয়েছেন, এর মধ্যে আমাদের @rme দাদা বলেছেন কুল পিঠা, কারণ এটি দেখতে নাকি কুল বরই এর মত। যাইহোক নাম কোন বিষয় না বিষয়টা হলো এর স্বাদ। এই পিঠাটি অনেকেই দুধ চিনির সিরায় ভিজিয়ে স্বাদ নিয়ে থাকেন, কিন্তু আজ আমি দেখাবো একেবারেই ব্যতিক্রমী একটি প্রক্রিয়া, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে, মূলত সিলেট বিভাগের লোকেরা এই প্রক্রিয়ায় এই পিঠার স্বাদ গ্রহণ করে থাকে।
আমি এখানে ফ্রোজেন পুলি পিঠা ব্যবহার করেছি রেসিপিটি তৈরি করতে। এখানে বাংলাদেশের নানান রকমের পিঠা ফ্রোজেন আকারে পাওয়া যায়, তার মধ্যে রয়েছে তেলের বা ভাজা পিঠা, ভাপা পিঠা,লবনের পিঠা, পুলি পিঠা ইত্যাদি।
এই ফ্রজেন পিঠা এভাবে প্যাকেট করা থাকে।
প্যাকেট থেকে বের করেছি।
পিঠাটিকে আলু ভাজির মত ঝুরি ঝুরি করে কেটে নিয়েছি।
এখন দেখা যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ লাগবে:
পিঠা | ৫/৬ টি ঝুরি করে কাটা |
---|---|
পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
কাঁচামরিচ গোল করে কাটা | ৩ টি |
ধনেপাতা কুচি | হাফ কাপ |
হলুদ | হাফ চা চামচ |
তেল | দুই টেবিল চামচ |
লবন | স্বাদমত |
নিচে কার্যপ্রণালী টি দেওয়া হল:
প্রথমেই পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা কেটে নিয়েছি। এরপর একটি ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কাঁচামরিচ, লবন ও হলুদ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে ২/৩ মিনিট হালকা আঁচে নেড়ে নিয়েছি ।এরপর কাটা পিঠা গুলো এর মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে। প্রক্রিয়াটি একটু টাইম নিয়ে করতে যেন নরম না থাকে। এভাবে ৭/৮ মিনিট নাড়তে হবে । ৭/৮ মিনিট পরে যখন একটু শক্ত হয়ে যাবে তখন ধনেপাতা দিয়ে রেসিপিটি শেষ করতে হবে ।হয়ে গেল আমার মজাদার পুলি পিঠার ব্যতিক্রমী একটি রেসিপি।
ধাপগুলো নিম্নে দেখানো হলো:
পরিবেশনের জন্য এনেছি।
এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।এটি বিকাল বেলার একটি মজাদার নাস্তা, আশা করি আমার এই আয়োজন আপনাদের ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ,
@tangera
আমি তানজিরা, ব্রিটিশ-বাংলাদেশী , বিবাহিতা, দুই সন্তানের জননী। বর্তমানে ইংল্যান্ডে বসবাস করছি।বাংলা আমার মাতৃভাষা, বাংলাকে ভালোবাসি , ভালোবাসি আমার জন্মভূমিকে ,ভালোবাসি মাটি ও মানুষকে ।বাগান করতে ভালোবাসি যা আমার একমাত্র প্রধান সখ,ভালোবাসি ভ্রমণ করতে ও রান্না করতে।
পিঠাকেও এভাবে অন্য একটি রেসিপিতে পরিণত করা যায়। অসাধারণ খুব সুন্দর রেসিপি। না জানি খেতে কেমন হয়েছে।
খেতে অনেক মজা, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
🙂
পিঠা দিয়েও যে তরকারী রান্না করা যায়, তা আগে জানা ছিলো না আপু। আজকে বেশ সুন্দর সুন্দর বিষয় শিখতে পারছি। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, এটি আমিও জানতাম না সিলেটে এসে শিখেছি।তবে এটি একটি তরকারি নয়, এটি একটি মজাদার নাস্তা।
ও আচ্ছা, তবে এর স্বাদ মনে হয় অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে
আসিলেই একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি খাবার আগে কোনোদিন দেখি নাই।দেখে মনে হচ্ছে খাবারটা অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ তোমার মন্তব্যের জন্য।
পিঠা দিয়ে মজার রেসিপি।দেখেই খেতে মন চাইছে।নতুন স্বাদ খুঁজে পাওয়া যাবে।অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।ধন্যবাদ আপনাকে নতুন আঙ্গিকে রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
তোনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
এটা অনেক জোস ছিল। পুলি পিঠা কে তোকে একেবারে টুকরো টুকরো করে দিলেন। এরকম রেসিপি আমি আসলে জীবনে কখনো দেখিনি এবং স্বাদ নেয়া হয়নি। তবে মনে হচ্ছে খুব মজা হবে কারণ ছোট ছোট সাইজ বাড়াতে এবং কিছু উপকরণ মেশাতে পুলি পিঠার স্বাদ অনেক বেড়ে যাবে। ধন্যবাদ এবং বাসায় চেষ্টা করে দেখব
জি ভাইয়া, অনেক মজা, একদিন বানিয়ে দেখবেন।
আমি আসলে রান্না ঘরে যাই না। তবে শেয়ার করতে পারি। দেখি কি বলে।
ধনেপাতা পেঁয়াজ কুচি দিয়ে আপনি যে ব্যতিক্রমধর্মী পুলি পিঠার আয়োজন করেছেন তার সত্যিই আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে আমি এটা কখনো খাইনি আশা করি করে দেখবো।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে, খেয়ে দেখবেন অনেক মজা।
চই পিঠা এভাবে পেকেট করা পাওয়া যাই এটা আমি প্রথম দেখলাম। আর আজকের আপনার এই পুলি পিঠা দিয়ে একটি ব্যতিক্রমী রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এই দেশে নানান ধরনের পিঠা প্যাকেট জাত পাওয়া যায়।