নন্দনে কাটানো কিছুটা সময়।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে নন্দনে ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
নন্দন, পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত একটি সরকারি প্রেক্ষাগৃহ ও চলচ্চিত্র উৎকর্ষ কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চলচ্চিত্র-সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দ্যেশ্যে ১৯৮৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক নন্দন প্রতিষ্ঠিত হয়। নন্দনের সুদৃশ্য স্থাপত্যবিশিষ্ট ভবনটির দ্বারোদ্ঘাটন করেছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। নন্দনের প্রতীকচিহ্নটিও তিনিই অঙ্কন করেন।বেশ কয়েক মাস আগে আমি নন্দনে গিয়েছিলাম । নন্দন হল কলকাতার অন্যতম প্রধান সংস্কৃতি কেন্দ্র ।শুধু কলকাতা শহরই নয় সমগ্র পূর্ব ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র । আমি যেদিন গেছিলাম সেদিন রবিবার ছিল। আর রবিবারে এখানে প্রচুর ভিড় থাকে। তার মধ্যে এখানে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪ দিনের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তার জন্য আরো ভিড় ছিল ।আমি সেদিন এই অনুষ্ঠানের কথা না জেনেই, এমনি ঘোরার জন্যই গিয়েছিলাম ।কিন্তু এখানে এসে এত সুন্দর একটা সময় উপভোগ করলাম না দেখলে বোঝা যাবে না ।আমি যখন প্রথমে নন্দনে গেলাম তখন সবে সবে সন্ধ্যে হচ্ছে ।খুব সুন্দর লাগছিল ওখানে ঘুরতে।
যেহেতু এটি একটি চলচ্চিত্র কেন্দ্র এখানে খুব ছোট ছোট নাটক হয়। এছাড়া এখানে সিনেমাও হয়। সেই দিনকে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট নাটক হচ্ছিল যেটি ফ্রিতেই দেখা যাচ্ছিল। শুধুমাত্র অনুষ্ঠান উপলক্ষেই এই এটি ব্যবস্থা করা হয়েছিল ।আমরা সেদিনকে ওই নাটক দেখার জন্য হলের ভিতরে ঢুকেছিলাম এবং কুড়ি মিনিটের জন্য বসে একটি নাটক দেখে বেরিয়ে গেছিলাম। খুবই ভালো একটি নাটক হচ্ছিল ।এরকম অনেকগুলো ছোট ছোট নাটক হচ্ছিল ।আমি একটাই দেখেছিলাম। চলচ্চিত্র ছাড়াও নিয়মিত বিভিন্ন সেমিনার ও হয় এখানে।কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এর প্রধান অনুষ্ঠান স্থল নন্দন ।কলকাতা -নন্দন রবীন্দ্রসদন সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণের একটি অংশ। যেখানে চারটি অডিটোরিয়াম শুধু সেমিনার ও সাংবাদিক সম্মেলনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।
সেদিন একটা ভীষণ মজার ঘটনা ঘটেছিল যেটা আপনাদের সাথে ভাগ না করে পারলাম না। এই যে আম গাছটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ।আমার এই আম গাছটি দেখে সেদিন ভীষণ ভালো লেগেছিল। এই গাছটিতে এত আম ধরে ছিল ছবিতেই বোঝা যাচ্ছে ,যেই সামনে দিয়ে যাচ্ছিল সেই আম গাছটার দিকে তাকাচ্ছিল । আসলেই এই গাছে প্রত্যেকটা ডালেই ভর্তি আম।আমরাও দেখছিলাম এই গাছটি ,আর দেখতে দেখতে ভাবছিলাম যদি কিছু আম নিতে পারতাম । ঠিক এটা ভাবার আধঘন্টা পরেই হঠাৎ করে এই গাছের একটা ডাল ভেঙে পড়ে যায় । ব্যাস আর দেখে কে প্রায় সব লোক হুরমুড়িয়ে চলে আসে এই গাছের আম নেওয়ার জন্য। আমি বেশ কয়েকটা আম নিতে পেরেছিলাম🤭। যাই হোক এই ভাবে আম নেওয়ার মজা কিন্তু আলাদা।
এই নন্দনের সামনে সেদিন হস্তশিল্প মেলা বসেছিল সেই হস্তশিল্প মেলার ছবি পরের পর্ব ভাগ করে নেবো ।
অনেক সুন্দর পরিবেশ।দেখি একবার যেতে হবে।
হ্যা যাবো একদিন ❤️।
কেন জানি পড়ার আগেই মনে হচ্ছিলো এর সাথে সত্যজিৎ রায়ের কোন সংযোগ খুজে পাব। সত্যি পেয়েও গেলাম। এমন একটি সংস্কৃতিক লালন ভুমি স্থানের ব্যপারে জানতে পেরে বেশ ভাল লাগলো।
শেষটায় বিড়ালের ভাগ্যে ছিঁকা ছেড়ার মত অবস্থা।
লোভনীয় আমগুলোর স্বাদ শেষ পর্যন্ত নেওয়ার সুযোগ হলো।
বাহ,দিদি আপনি বলতে না বলতেই আম গাছের ডাল ভেঙে পড়লো।আর আপনি 5 টি আম কুড়িয়ে ও নিলেন।দারুন মজার ছিল বিষয়টি।অবশ্য এইরকম মজার ঘটনা কম ঘটতেই দেখা যায়।ভালো লাগলো আপনার মজার বিষয়টি পড়ে,ধন্যবাদ দিদি।
আম নেওয়ার ঘটনাটি বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে,কারণ গাছে অনেক আম দেখলে মনে হয় যেন যদি আম কুড়াতে পারতাম। সুন্দর একটা অনুভূতি মনের মধ্যে জেগে ওঠে। আপনার যে ভাবনার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা বাস্তবায়ন হয়েছে তাই আপনার লাকি কপাল। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।
সত্যি দারুণ একটা জায়গা, দেখার মতো। আপনার ফটোগ্রাফি এবং নন্দন সম্পর্কে কথাগুলো বেশ দারুণ একটা আগ্রহ তৈরী করেছে, সেটা একবার কাছ হতে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করছি দিদি। কিন্তু এই আমগুলো দেখেতো লোভটা আরো বেড়ে গেলো, হি হি হি। কাসুন্দি দিয়ে কাঁচা আমের ভর্তা, দারুণ স্বাদের হয় কিন্তু।
নন্দন সিনেপ্লেক্সে যে দিদি আপনি ভালোই সময় অতিবাহিত করেছেন তা কিন্তু আপনার হাসিমাখা মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে । বেশ ভালোই বর্ণনা দিয়েছেন, সিনেপ্লেক্স সম্পর্কে । তাছাড়াও গাছের ডাল ভেঙ্গে যাওয়াতে সবাই সবাই হুড়মুড়িয়ে গিয়ে আম সংগ্রহ করার ব্যাপারটাও বেশ মজার ছিল দিদি ।
শুভেচ্ছা রইল।
অনেক সুন্দর একটি জায়গা। এই জায়গায় একদিন যেতে চাই। বেশ মিষ্টি লাগছে দেখতে
হ্যা হ্যা একদিন যাবো। সত্যি খুব সুন্দর জায়গা। অনেক অনেক ভালোবাসা নিও 😘❤️
আমার মনে হয় সৃষ্টিকর্তা আপনার মনের ইচ্ছা পূরণ করানোর জন্য আমের ডালটি ভাঙ্গিয়ে দিলেন আর আপনি সেখান থেকে আম কুড়ালেন অনেক আনন্দের একটি মুহূর্ত। সত্যজিৎ রায় আমার প্রিয় একজন রাইটার ও চলচ্চিত্রকার।