এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।খুশির মুহূর্তকে এখন ধরে রাখতে সবাই ছবি তোলে । পুরোনো দিনের মানুষরা স্মৃতি রোমন্থন করতে এখনো মাঝে মাঝে অ্যালবাম খুলে বসে।বিশেষ করে সাদা কালো ছবিগুলো। গত দশকেও ছিল সাদা কালো ছবি। রঙিন ছবির চল কিন্তু খুব বেশি দিন আগের নয়। এখন তো চাইলেই হাতের মোবাইলেই কিংবা ক্যামেরায় ছবি তোলা যায়।আগে কিন্তু সে উপায় ছিল না। স্টুডিওতে গিয়ে তুলতে হত ছবি। এখন যুগ কত এগিয়ে গেছে আমরা চাইলেই যেকোনো সুন্দর মুহূর্ত ধরে রাখতে নিজেদের ফোনের ক্যামেরা কত সহজেই ব্যবহার করতে পারি । সেরকমই নিজের তোলা কিছু ছবি আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
বাবুঘাট
এই ছবিটি বাবুঘাট থেকে তোলা, আমার খুব পছন্দের জায়গা। যেহেতু আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা পড়েই যাচ্ছে সেই জন্য সূর্য ও তাড়াতাড়ি ডুবে যাচ্ছে।পড়ন্ত বেলায় সূর্যের আলো গোধূলিলগ্নে যখন জলের উপর লালচে রঙের আঁকিবুকি কাটে,ঠিক সেইসময় নদীর ঘাটে এই রকম দৃশ্য বসে উপভোগ করার আনন্দ একদম অন্যরকম।
ফুল কে না ভালোবাসে আর আমার তো গোলাপ ফুলের মধ্যে গোলাপি রঙের গোলাপ সবচেয়ে বেশি প্রিয় ।আর এই গাছটি আমারই বাড়ির ছাদে নিজের হাতে লাগানো একটি গাছ। যখনই গাছটিতে প্রথম ফুল ধরে সেই সময়ের ছবি ।
বিশ্ববাংলা গেট।
কলকাতার নতুন ঠিকানা বিশ্ববাংলা গেট। নীচে শহর, দুইদিক দিয়ে দেখা যাচ্ছে দিগন্তরেখা।তার সাথে এটা একটা ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট ও।
পুরীর সমুদ্র
সমুদ্রের প্রতি আমার একটা অমোঘ আকর্ষণ আছে সেটা অস্বীকার করতে পারি না। আর প্রত্যেক বাঙালির কাছে সমুদ্র ভ্রমণের জন্য প্রিয় জায়গা হল পুরী। আজ থেকে তিন বছর আগে পুরীর সমুদ্রের ছবি।
শোলার জাহাজ
আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন আমাদের হাতের কাজ বলে একটা আলাদা সাবজেক্ট থাকতো যেখানে আমরা সেলাই থেকে শুরু করে উলের জিনিস বানানো, ঘরের টুকিটাকি শৌখিন জিনিস বানানো সবকিছু শিখতাম। সময়ের সাথে সাথে এই বিষয়গুলো এখন বাদ পড়ে গেছে। আমার বোন যখন ক্লাস সিক্সে পড়তো তখনই হাতের কাজটি পরীক্ষার জন্য বানাতে হয়েছিল। তখন আমি আর বোন মিলে বানিয়ে ছিলাম।
শরতের আকাশে মেঘের খেলা
শরতের আকাশ দেখতে কার না ভালো লাগে। আর এই নীল আকাশ হল স্বাধীন ইচ্ছার সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব, যার অর্থ আশাবাদ, অন্তর্জ্ঞান, স্বাধীনতা এবং সীমাবদ্ধতা ও বিধিনিষেধ ছাড়া জীবনযাপন ।
দিঘার সামুদ্রিক মাছ
এই ছবিটা দীঘা থেকে তোলা।আজ থেকে পাঁচ বছর আগে গিয়েছিলাম। আর এই ছবিটা তোলার একটাই কারণ ছিল সেই বার আমি প্রথম কাঁকড়া খেয়েছিলাম🤭।
ডিভাইস | Vivo v5s |
---|---|
লোকেশন | কোলকাতা |
ক্রেডিট | @swagata21 |
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
এখন ক্যামেরা মানুষের হাতের মধ্যেই থাকে সেজন্য এখন আর ছবি তুলতে খুব ঝামেলার কিছু না, আর এটার চল শুরু হয়েছে বেশিদিন হয়নি। যাইহোক আপু আপনি প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে জাস্ট অসাধারণ লাগলো। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে, সূর্য মামার অস্ত যাওয়ার দৃশ্য, এবং আপনার ছাদ বাগানের প্রথম গোলাপ ফুল, আপনার বোনের বানানো নৌকাটি অসাধারণ হয়েছে আপু। পাঁচ বছর আগের কাকড়ার ছবি আপনার কাছে এখনো আছে শুনে বেশ অবাক হলাম 😳।
দিদি একদম ঠিক বলেছেন রঙিন ছবির চল কিন্তু বেশি দিন আগের নয়। ছোটবেলায় দেখেছি ছবি তুলতে হলে স্টুডিওতে যেতে হতো কিন্তু এখন যুগ কতটা পরিবর্তন হয়েছে আমরা ইচ্ছে করলে যেকোনো সময় সুন্দর মুহুর্ত গুলো ক্যামেরায় বন্দী করতে পারি। যাই হোক আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি দেখতে অসাধারণ হয়েছে। তার মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বালুঘাটের সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য,তিন বছর আগের পুরীর সমুদ্রের ছবি আর শরৎ এর আকাশের সুন্দর দৃশ্য। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমরাই হয়ত সর্বশেষ প্রজন্ম যাদের ছবি ফোনে তোলা হয়নি।প্রত্যেকটি ছবি অসাধারণ হয়েছে, দেখেই চোখ জুড়িয়ে যায়।ঢেউ এর ছবির টাইমিং টা খুবই ভাল হয়েছে,তীরে এসে ভেঙ্গে যাওয়ার ঠিক আগের মুহুর্তে ক্যাপচার করেছেন।ধন্যবাদ দিদি দৃষ্টিনন্দন ফটোগ্রাফ গুলো শেয়ার করার জন্য।
কলকাতায় না গিয়ে কলকাতার অনেকটা জিনিস আমি আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে দেখতে পেলাম দিদি। কোনদিন যদি যায় তাহলে কলকাতার বিশ্ব বাংলা গেট চিনতে পারবো। সামুদ্রিক মাছ অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে আমি কাঁকড়া দেখে অনেক ভয় পাই আপনি নাকি কাঁকড়া খেয়েছেন। জানিনা কাঁকড়া খেতে কেমন ধন্যবাদ দিদি অনেক কিছু শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
দিদি, আপনার এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি দেখে রীতিমত চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বাবুর ঘাট থেকে তোলা পড়ন্ত বিকেলে গোধলিলগ্ন আবার শরতের আকাশে দেখছি, নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভেসে বেড়াচ্ছে। খুবই চমৎকার চমৎকার মুহূর্তে ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করেছেন। এছাড়াও প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ দিদি, এই সুন্দর সুন্দর এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
দিদি আপনি ঠিকই বলেছেন আগে ছবি তুলতে হলে আমাদের কে স্টুডিও তে গিয়ে আমাদের ছবি তুলতে হতো। এখন তথ্য প্রযুক্তির কারনে খুব সহজ হয়ে গিয়েছে। আপনার তোলা প্রথম ছবি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি আর আপনার ছোট বোন মিলে চমৎকার একটি জিনিস তৈরি করেছিলেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে দিদি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন কিছুদিন আগেই ছবি তোলাও সহজ ছিল না। আর তুললেও হয়তো অতটা ভালো হতো না। আর এখন তো আমরা আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে যেকোনো সময় যে কোন জায়গার ছবি তুলতে পারি। আপনার তোলা সব গুলো ফটোগ্রাফি আমার ভালো লেগেছে। বিশ্ব বাংলা গেট আমি এর আগেও একটা ব্লগ ভিডিওতে দেখেছিলাম আজকে আবার আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
সিনেমা কার্টুন এগুলোতে পুরীর সমুদ্র দেখেছি।আজ আপনার পোস্টেও দেখে ফেললাম।
ফটোগ্রাফিগুলো আসলেই সুন্দর ছিল।ফুলটা বেশ আকর্ষণীয় লাগছিল।
শুভ কামনা রইলো।
দিদি একদম ঠিক বলেছেন আগের মানুষ স্মৃতির রোমন্থন করার জন্য পুরোনো দিনের এ্যালবাম খুলে বসতো। আমাদের বাড়িতেও অনেক পুরোনো দিনের এ্যালবাম আছে সেগুলো আমার বড় কাকিমা সংগ্রহ করে রেখেছেন, যেখানে আমাদের বাড়ির সবার ছোটবেলার ছবি রয়েছে যেগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। এখন আমরা এ্যালবাম ব্যবহার করা ভুলেই গেছি হাতের ফোনটিই হলো আমাদের এ্যালবাম যখন যা মন চাইছে তাই ক্যামেরা বন্দী করে রাখছি। বিশ্ববাংলা গেট টি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে আর এটা জেনে ভালো লাগলো যে এটি একটি ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপনার হাতের তৈরি শোলার তৈরি জাহাজ টি এক কথায় অসাধারণ,যা সত্যিই অনেক প্রশংসনীয়। আমাদেরও স্কুল থেকে হাতের কাজের জিনিস তৈরি করে নিয়ে যেতে হতো যে যা বানাতে পারে সেগুলো বাড়ি থেকে বানিয়ে নিয়ে যেতাম খুবই ভালো লাগতো। দিদি আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল। সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি।
দিদিকে আজ অনেক দিন পর ফটোগ্রাফি পোস্ট করতে দেখলাম ৷ আসসেই সময়ে এখন কত বদলে গেছে ভাবা যায় ৷ এখন তো প্রতিক্ষন আধুনকি প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয় ৷ তবে দিদি এখন স্টুডিও দোকান তেমন আর চলে না৷
যা হোক দিদি ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুন করেছেন ৷ প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখার মতো ছিল ৷ সেই গোধুলি লগ্নে সূর্যাস্ত পরীর সমুদ্রের ঢেউ অসাধারন ছিল ৷ তবে দিদি প্রতিটি ফটোগ্রাফি দূদান্ত ছিল৷ ধন্যবাদ দিদি এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি উপহার দেওয়ার জন্য ৷