ময়দানে কাটানো কিছুটা মুহূর্ত।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে কিছুটা সময় ময়দানে কাটানোর মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
কয়েকদিন আগে আমি ময়দান গিয়েছিলাম ।ময়দান কলকাতার সব থেকে বৃহত্তম নগরাঞ্চলীয় উদ্যান ।এটি বিশাল বড় একটি মাঠ ।যেটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেন্স, কলকাতা রেসকোর্স ,নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, রয়েল ক্যালকাটা গলফ ক্লাব ও বেশ কয়েকটি ফুটবল স্টেডিয়াম এই মাঠের অংশ । ভারতের জাতীয় গ্রন্থাগার এই ময়দানের মাঠের কাছে অবস্থিত ।এখানে এত গাছপালা এবং এত খোলামেলা জায়গা তাই জন্য এটিকে 'কলকাতার ফুসফুস' বলা হয়। এককথায় ময়দান কলকাতার অন্যতম প্রধান সংস্কৃতিক কেন্দ্র।
আমি সপ্তাহে একদিন হলেও ঘুরতে যাই। আমার খুব ভালো লাগে ।আর বিশেষ করে প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসতে খুব ভালো লাগে। যেহেতু আমি কলকাতায় থাকি সেহেতু আমার প্রকৃতির কাছাকছি আসা হয়ে ওঠে না কারণ এখানে যেখানেই তাকাই না কেন চারিদিকে শুধু ফ্ল্যাট বাড়িতেই পরিপূর্ণ। এর আগেও আমি বহুবার ময়দানে এসেছি। আসলেই কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে বারবার গেলেও আমার নতুন ভাবে জায়গাটাকে ভালো লাগে ।এখানে বিকেলের দিকে আসলেই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। কিন্তু আমি একটু দেরি করে গিয়েছিলাম কিন্তু দেরি করে গেলেও সূর্য তখন প্রায় ডুবে গেছে বললেই চলে। এত সুন্দর চারিপাশটা লাগছিল তখন না দেখলে বিশ্বাস হবে না। তখনও ময়দানের মাঠে অনেক ছেলে ফুটবল খেলছে ।আসলেই এখানে সময় কাটানোর জন্য অনেকে আসে ।অনেকে তো আবার সকালবেলা প্রাতঃভ্রমণের জন্যও এখানে আসে। বিকেলবেলাও অনেকে এখানে সময় কাটায় ।এখানে আসলে যে কারোর ভালো লাগবে। আমি বেশ অল্প সময়ই এখানে ছিলাম ।সেই ছবিগুলোই আজকে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।
যেহেতু একদমই কম সময় ছিলাম তাই ময়দান থেকে বেরিয়ে কাছাকাছি অফিস পাড়ায় গেলাম। অফিসপাড়া এই কারণেই বলা হয় এখানে সমস্ত অফিস এই জায়গাটিতে রয়েছে ।তাই জন্য এই জায়গায় প্রচুর খাবার দোকান রয়েছে ।খুব কম দামে ভালো মানের খাবার রয়েছে। না খেলেও হয়তো বিশ্বাস হবে না ।আমি এখানে এসে খুব নামকরা একটি দোকানে ঢুকলাম ।দোকানটির নাম হচ্ছে আহেলি এক্সপ্রেস। এখানের প্রত্যেকটি খাবার ভীষণ রকম ভালো ।বেশিরভাগ ফুড ব্লগার এখানে এসে ফুড ব্লগ করে। এতটাই ভালো মানের একটি খাবারের দোকান ।আমি এখানে এসে চিকেন সুপ অর্ডার করেছিলাম ।এখানে চিকেন সুপের সাথে চারটে ব্রেড দেয় । সুপের পরিমাণ অনেকটা বেশি ।তার সাথে বিশাল বড় একটি চিকেনের পিস দেয়। দাম খুবই কম কিন্তু ভীষণ ভীষণ ভালো খেতে। আর আমার সুপ খেতে খুব ভালো লাগে। তো আমার মত এরকম যারা স্যুপ খেতে ভালোবাসে তাদের জন্য খুবই ভালো একটি জায়গা।
যাই হোক সব মিলিয়ে খুব কম সময়ের মধ্যে খুব ভালো একটা সময় কাটিয়ে বাড়ি চলে এসেছিলাম।
কলকাতার মাঝে এমন একটা ময়দান সত্যি দারুণ একটি বিষয়। এটি আবার কলকাতার ফুসফুস শুনে বেশ ভালো লাগল। এতে করে বোঝা যাচ্ছে জায়গা টা কত সুন্দর। এবং অফিস পাড়ার সহজলভ্য খাবারের বিষয়টি আপনার পোস্ট থেকে জানতে পারলাম। যাইহোক সবমিলিয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন দিদি।।
আপু ময়দার স্থানটি দেখতে বেশ সুন্দর এবং বড়সড়ো একটি জায়গা। আমার তো দেখি খুব ভালো লাগছে। ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে সন্ধা কালীন ছবি গুলো আমার বেশ ভালো লাগে। আবছা আলোতে আপনাকেও খুব সুন্দর লাগছে আপু। আপনাকে ধন্যবাদ যে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
খাওয়া দাওয়া ঘোরাঘুরি ফটোগ্রাফি সবকিছু মিলিয়ে ময়দানে ভালো একটি কোয়ালিটি ফুল সময়ে কাটিয়েছেন, এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য।
ময়দান কে কলকাতার ফুসফুস বলা হয় আজ জানতে পারলাম দিদি। গোধূলী বেলার আকাশটা দারুণ। এরকম মুহূর্তটা উপভোগ করার মতো। বুক ভরে শ্বাস নেয়া যায়। আহেলি এক্সপ্রেস এর খাবারের মান ভালো দেখেই বুঝা যাচ্ছে। খাবারটা ভালো হয়েছে দিদি
খাওয়া-দাওয়া ফটোগ্রাফি এবং ময়দানে কাটানো মুহূর্ত সত্যি অসাধারণ ছিল। আসলে ময়দান জায়গাটিতে অনেক ভালো লাগলো। সেখানে কম দামে কাপড় পাওয়া যায়। আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন, না খেলে বুঝতে পারব না। যাইহোক আপু আজকের দিনটি অনেক আনন্দ সাথে পালন করেছেন, ভালো লাগলো।
দিদি আজকে আপনার মাধ্যমে খুবই সুন্দরভাবে ভারতের ময়দান সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে পারলাম।যে সকল তথ্য জেনে খুবই ভালো লাগছে।এছাড়াও আপনি ময়দানে খুবই সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। যা ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আসলে সূর্যাস্তের সময় এরকম খোলা মাঠ থেকে সূর্যাস্ত দেখতে খুবই ভালো লাগে।ময়দানে কাটানোর এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে এবং অসাধারণ কিছু ছবি দিয়ে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দিদি।
খোলা প্রান্তরে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন ফটোগ্রাফি গুলা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সেই সাথে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন বিশেষ করে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় নম্বর ফটো সব থেকে বেশি জোস হয়েছে।
ইডেন গার্ডেনের নাম এর আগে বহুবার শুনেছি । দেখেছি শুধু খেলার মাঠটুকু, এর চারিপাশে যে এত সৌন্দর্যের ছড়াছড়ি তা ছিল আমার অজানা । ফটোগ্রাফিতে সন্ধ্যার আমেজ আমার খুব ভাল লেগেছে । গাছের ফাঁকে ফাঁকে স্ট্রিট লাইটের ছাটা যেন রংধনুর আভা তৈরি করেছে ।
আহেলি এক্সপ্রেসের সাইনবোর্ডটিও ছিল চমকপ্রদ "চট করে ভাবুন, কী খাবেন"
বুকজতে পারছি সব মিলিয়ে দারুন সময় পার করছেন আজ বিকেলে ।
আনন্দময় মুহুর্ত গুলো ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি ।
আমাদের চট্টগ্রামের ফুসফুস বলা হয় সি আর বি কে।অনেকটা এমন ই দেখতে।এসব জায়গায় গেলে মনটাই ভালো হয়ে যায়।
এই সুন্দর জায়গাটি দেখে সত্যি মুগ্ধ হলাম আপু। জায়গাটির পরিবেশ সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে এই জায়গাটির নাম "কলকাতা ফুসফুস" একেবারে সার্থক হয়েছে। ইট পাথরে ঘেরা প্রকৃতির মাঝে এই অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা জায়গাটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটা বুঝতেই পারছি। শুভকামনা রইল আপু।