১০০ বছরের পুরোনো মিত্র কাফেতে।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে ১০০ বছরের পুরোনো মিত্র কাফেতে কাটানো কিছুটা সময় ভাগ করে নিলাম।
এক কথায় বলা যেতে পারে পুরনো কলকাতার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে এই মিত্র ক্যাফে। ১৯১০ সালে শ্রী সুশীল রায় মিত্র ক্যাফে দোকান চালু করেন। মিত্র কাফে নাম করনের উদ্দেশ্য এই দোকানে যারা আসেন তারা সকলেই বন্ধু( মিত্র ). সেই সময়ে দোকানটি যেমন ছিল এখনও তাই আছে। তবে সেই সময় খাবারের ভ্যারাইটি খুব একটা বেশি ছিল না, কিন্তু এখন খাবার এর গুনমানে দোকানের সুনাম বাড়তে থাকে ।অনেক নামকরা অভিনেতা-অভিনেত্রী ,গায়ক-গায়িকা ,শিল্পপতি নিয়মিত মিত্র কাফেতে আসা যাওয়া করে। বিভিন্ন কলেজ ছাত্র ছাত্রী অফিস ফেরত গণ্যমান্য ব্যক্তি নিয়মিত যাওয়া-আসা করে আজও।
এখানে ফিস কবিরাজি হোক বা ফিশ ফ্রাই, ব্রেন চপ এই নাম গুলো শুনলে যে কোনো খাদ্য রসিক বাঙালির জিভে জল চলে আসবে। এই মিত্র কাফে দোকানটি অনেক বছরের ,আর কথায় আছে না পুরনো জিনিসের জৌলুস কখনো কমেনা। বরং সোনার মত চকচক করে ।এটা যে শুধুমাত্র কথার কথা নয় তা একাধিকবার প্রমাণ করেছে এই শহরের এক কাফে। ১০০বছরের বেশি সময় ধরে খাদ্য রসিক বাঙালির মনে প্রাণে রয়েছে এই মিত্র কাফে।এছাড়াও এখানে প্রণ রোল থেকে শুরু করে চাইনিজ খাবার, চিলি ক্রাব অক্টোপাস গার্লিক ও রয়েছে।এখানের প্রত্যেকটি খাবারের আইটেম খুব ভালো ।আমি এখানে এসে সবার প্রথমে অফিস ডায়মন্ডফ্রাই,ডিমের ডেভিল অর্ডার করেছিলাম।
এখানে খাবারের একটা বিশেষত্ব হল যে কোনো মাছের আইটেম এখানে খুবই ভালো।এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে ফিসফ্রাইতে অল্প মাছ থাকে। কিন্তু এই জায়গায় মাছের পরিমাণ অনেকটা বেশি থাকে এবং টেস্টও খুব ভালো হয়।
বাঙালিয়ানাতে ভরপুর এই দোকানটি স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার এবং চপের জন্য শহরবাসীর কাছে একরকম স্বর্গ বললেও কোনও ভুল হবে না।
খাবারের বর্ণনা শূনে জিভে জল এসে গেল । আপাতত গ্রামে অবস্থান করছি বিধায় হোটেল রেস্তোরার খাবার থেকে দুরেই এসেগেছি প্রায় । তারপরেও কখনো বাইরে গেলে খাবার মিস হয়না । কলকাতার পুরনো হোটেল সম্পর্কে আপনার বর্ণনাটি ভাল লেগেছে ।
বাঙালি তবে খাবারের বর্ননা শুনে জিভে জল আসবে না তা কি করে হয়,বলেন।আর যদি থাকে ছবি তাহলে তো কোন কথাই নাই। ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
কি বলেন 100 বছরের পুরনো ক্যাফে। এটা শুনেই তো আমি অবাক। তাছাড়া এখানে মাছের আইটেম গুলো ভালো পাওয়া যায় জেনে ভালো লাগলো। ফিস ফ্রাই গুলো কিন্তু দেখতে মনে হচ্ছে বেশ ভালো হয়েছে খেতে। আপনার এরকম পোস্টগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।
আসলে দিদি একদম ঠিক বলেছেন ফিস ফ্রাইতে মাছের পরিমাণ কম থাকলে খেতে খুব একটা ভালো লাগে না। আপনার লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পারলাম ১০০ বছরের পুরোনো মিত্র কাফেতে খাবারের মান খুব ভালো। এই কাফের ইতিহাস জানতে পেরেও খুব ভালো লাগলো। আপনার আনন্দঘন মুহুর্তটুকু শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ব্রেন চপএই নামটি প্রথম শুনলাম দিদি।আসলে বাইরের খাবার তেমন খাওয়া হয় না তো সেইজন্য।আপনি তো দেখছি কলকাতার সব রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফেতেই খেয়েছেন।নতুন নতুন জায়গায় গেলে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়।খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন ,ধন্যবাদ দিদি।
পুরনো হোটেলের বর্ণনা পড়ে মনে হচ্ছে আপনি হোটেলে দারুণভাবে সময় কাটিয়েছেন এবং উপভোগ করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।