শের-ই-পাঞ্জাবে কিছুটা সময়
নমস্কার বন্ধুরা,
কিছুদিন আগে মন্দারমনি গিয়েছিলাম ।তার কিছু কিছু ছবি আমি আপনাদের সাথে আগের পর্বে ভাগ করে নিয়েছিলাম। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে কোলাঘাট শের ই পাঞ্জাব ধাবার খাবারের কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নেবো ।
আমি আগে বলেছিলাম যে কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আমার বোন পড়াশোনা করছে ।সেই সূত্রে মাঝে মাঝেই কোলাঘাট যাওয়া হয় কিন্তু দীঘা বা মন্দারমনি যাওয়ার পথে এই কোলাঘাট কিন্তু থামতেই হয় ।কারণ কলকাতা থেকে কোলাঘাট দু'ঘণ্টার রাস্তা হলে আবার কলকাতা থেকে দীঘা যেতে আরো দু ঘন্টা লাগে । তাই যখনই যাওয়া হোক না কেন সকাল হোক বা দুপুর ব্রেকফাস্ট বা লাঞ্চ করার জন্য একবার হলেও কোলাঘাট থামতেই হয়।
এই কোলাঘাটে অনেক হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং ধাবা রয়েছে। কিন্তু লোকে এই শের-ই-পাঞ্জাবে খাওয়ার জন্য প্রচুর মানুষ আসে। কারণ এখানকার খাবারের টেস্ট ভীষণ সুন্দর হয় এবং খেতেও খুব ভালো লাগে ।তাই অনেক রেস্টুরেন্ট ধাবা থাকা সত্ত্বেও বহু মানুষ এখানে ঘুরতেও আসে আবার খেতেও আসে।
আমরা যেহেতু একটু বেলা করে বেরিয়েছিলাম, তাই আমাদের লাঞ্চ করার জন্য এখানে থামতে হয়েছিল। আমরা লাঞ্চের জন্য চিকেন থালি অর্ডার করেছিলাম। ১০ মিনিটের মধ্যে খাবার এসে যাওয়ার পর যখন এই চিকেন থালি খেতে শুরু করেছিলাম আমি বলে বোঝাতে পারবো না যে কতটা টেস্ট ছিল । প্রত্যেকটা খাবার আইটেম দারুণ ছিল। খাবারের মধ্যে ছিল ভাত, আলু ভাজা ,পটল পোস্ত ,পেঁপে দিয়ে চিংড়ির তরকারি, আর ডাল তার সাথে ছিল দুই পিস চিকেন। খাবারের টেস্ট এত ভালো ছিল যে খাবার আসার সাথে সাথে আমরা খুব তাড়াতাড়ি খেয়ে নিয়েছিলাম ।এবং আমাদের খুব ভালো লেগেছিল। আর হ্যাঁ একটা কথা না বললেই নয় সেটা হচ্ছে এখানকার খাবারের টেস্টের সাথে দামটা একটু বেশিই নেয় সবকিছুতে। তবুও খাবার যখন ভালো হয় তখন মনে হয় যে দামি হলেও কোনো ব্যাপার নয়।
এরপর এখান থেকে লাঞ্চ করে আমরা মন্দারমনি দু'ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে গেছিলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দিদি এখন তো সবাই আসলে খাবারের টেস্টের কথাই চিন্তা করে আর যেখানে খাবারের টেস্ট ভালো সেখানে লোকজনের ভিড় জমবে এটা স্বাভাবিক তাছাড়া তারা মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই খাবারটা পরিবেশন করে। যাইহোক দুপুরের লাঞ্চে অনেক কিছুই অর্ডার করেছিলেন আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন দিদি যেই খাবারের টেস্ট অনেক বেশি হয় সেই খাবার বেশি দাম দিয়ে কিনে খেলেও খুব একটা আফসোস হয় না। শের-ই-পাঞ্জাবে কিছুটা সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো দিদি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলেই দিদি খাবারের মান ভালো হলে দাম কোনো ব্যাপার নয়। যখন কোনো রেস্টুরেন্টের খাবারের মান ভালো হয়, তখন সেই রেস্টুরেন্টের জনপ্রিয়তা এমনিতেই বৃদ্ধি পায়। সুনাম ধরে রাখতে পারলে সেই রেস্টুরেন্টের জনপ্রিয়তা দিন দিন আরো অনেক বৃদ্ধি পায়। যাইহোক চিকেন থালি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে দিদি। শের-ই-পাঞ্জাবে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
ঠিক বলেছেন দিদি, আসলে আমরা বাঙালিরা অনেক ভোজন প্রিয় মানুষ হয়ে থাকি। যেখানে খাবার একটু বেশি সুস্বাদু হয় সেখানে আমরা বেশি দাম হলেও খেয়ে থাকি। আপনার অনেক চমৎকার একটি সময় অতিবাহিত করেছেন দিদি আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
এই মাঝরাতে খাবারগুলো দেখে অনেকটা লোভ লাগছিল দিদিভাই। আর যেভাবে বর্ণনা দিলেন, মনে মনে যেন অনেকটা আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুললাম।
শুভেচ্ছা রইল 🙏