কলকাতা বইমেলা //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ অনেকদিন পর বইমেলার পোস্ট করছি । অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম এই পোস্টটা করবো করবো কিন্তু করা হয়ে উঠছিল না। আজ আমি বইমেলাতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।
বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের মিলন মেলা।সারাদেশ থেকে আসা লেখক, কবি,সাহিত্যিক,সাংবাদিক সর্বস্তরের মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে এই বইমেলা প্রাঙ্গণ।কলকাতা বইমেলা বিশ্বের বৃহত্তম অবাণিজ্যিক বইমেলা। কলকাতা সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এই মেলা একটি বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী ।এই মেলাতে হিন্দি থেকে শুরু করে উর্দু ,সংস্কৃত অন্যান্য ভারতীয় ভাষার বই ও এই মেলায় পাওয়া যায় ।কলকাতা বইমেলা বর্তমানে কলকাতার অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মেলা বলা যেতে পারে।
![WhatsApp Image 2022-04-22 at 11.41.17 PM (1).jpeg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTWDU9BompKUJNcVM7QJm4uSTEsQYFuQEGP1P3htAfe4i/WhatsApp%20Image%202022-04-22%20at%2011.41.17%20PM%20(1).jpeg)
![WhatsApp Image 2022-04-22 at 11.41.17 PM (2).jpeg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmc3EFyszcZshCWoESu2vBb67bXJ6jaH247u7zU9FicvTf/WhatsApp%20Image%202022-04-22%20at%2011.41.17%20PM%20(2).jpeg)
এবছরের বইমেলা শুরু হয়েছিল ২৮ শে ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ই মার্চ পর্যন্ত ।আমাদের বাড়ি থেকে বইমেলা দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। মোটামুটি আধঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় ।আগে এই কলকাতা বইমেলা সায়েন্স সিটিতে হত। কিন্তু বিগত চার পাঁচ বছর ধরে এই বইমেলা সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে হচ্ছে। করোনা সংক্রমনের জন্য ২০২১ সালে হতে পারেনি। এই বছর কলকাতা বইমেলা ৪৫ বর্ষে পা দিল। আর এই বছর মেলায় ৬০০ টি স্টল ছিল।
এবছর বইমেলাতে আমি দুবার গিয়েছিলাম। প্রথম দিন আমি আমার খুব কাছের মানুষদের সাথে গিয়েছিলাম ।প্রথম দিন সত্যি কথা বলতে একটা বই কিনিনি। শুধু প্রিয় মানুষদের সাথে সময় কাটাতে আর পুরো মেলাটা ঘুরে দেখতেই গিয়েছিলাম।প্রথমদিন মেলার কিছু ছবি আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি। সেদিন খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত আমি কাটিয়েছিলাম ।
তনুজাদির দেওয়া প্রিয় উপহার ❤️❤️
বইমেলা যাবো আর বই কিনবো না সেটা কখনোই সম্ভব নয়। তাই দ্বিতীয় দিন আবার গিয়েছিলাম সেদিন অনেকগুলো বই কিনেছিলাম ।সেই দিনের ছবি এবং বইগুলো আপনাদের সাথে পরের পর্বে ভাগ করে নেবো।
অনেক সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফী গুলো। বাহ ছবিতে তো দারুন লাগছে তোমাকে। ওই দিন অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম।মেলাতে
গেলে আগে খাবারের ছবি দিতে হয়। খাবার ছাড়া কি মেলা জমে।
শুধু আমাকে না তোমাকেও খুব মিষ্টি লাগছে।
খাবার ছাড়া মেলা জমে না ঠিক ঠিক । পরের পর্বে দিয়ে দেবো ছবি গুলো 🤭🤭
ছবি গুলো সুন্দর ছিল । বইমেলায় একটি ব্যাক ড্রপ ব্যানার দেখতে পেলাম। কোলকাতা বুক ফেয়ার। ভাল লেগেছে। ৬০০ টি স্টল মানে অনেক বড় মেলা। মূলত যারা একটু বই পড়তে ভালাবসে তারাই বই মেলার দিকে ছোটে। বৌদিভাই এর দেয়া উপহার টি খুবি দারুন । ভাল থাকবেন বোন । শুভেচ্ছা।
২৮ শ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ই মার্চ পর্যন্ত হওয়া কলকাতার এই বইমেলা যে পৃথিবীর বৃহত্তম বাণিজ্যিক মেলা সেটা আমার জানা ছিল না আপু। ঠিকই বলেছেন যেকোনো বই মেলায় লেখক কবি সাহিত্যিক দের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। কলকাতা বইমেলায় গিয়ে আপনারা অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। তনুজা বৌদির দেয়া উপহার শেষবেলায় বইটি অনেক সুন্দর ছিল আপু।
সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো।আর বই মেলায় খাবার এর ও মেলা ছিলো।
হ্যাঁ তা ছিল, পরে দেবো সেই ছবি গুলো🤭।
এই পোস্টে আমাদের সেই ছবিগুলো দেখা থেকে বঞ্চিত করা ঠিক হয়নি। ওই ছবিগুলো দ্রুত শেয়ার করার জোর দাবি জানাই। 🤭🤭
আমিও দাবি জানাচ্ছি 😂। সব দোষ ওর 🤭🤭।
হাহাহা।। এখন সব দোষ @blacks ভাইয়ের। 🤣🤣
বইমেলায় খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছিলেন যেটা অনেকদিন পর আমাদের সাথে শেয়ার করলেন তবুও অনেক ভালো লাগলো। আপনার বই মেলায় ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা গল্প পড়ে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
বইমেলাতে প্রিয় মানুষদের সাথে অনেক আনন্দময় সময় পার করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে এবং খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন তনুজা বৌদির দেওয়া উপহারটি আমার কাছে অনেক মূল্যবান মনে হয়েছে এবং ভাল লেগেছে। আপনার জন্য সুস্থতা কামনা করছি।
আপনাদের ওইখানে বইমেলায় আপনার কাটানো সময়টুকু পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি সুন্দর সময় কাটানোর পাশাপাশি বই মেলায় কিছু আলোকচিত্র আমাদের সাথে অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনাদের একসাথে দেখতে পেয়ে সত্যিই ভাল লাগলো। কারণ আপনাদের দুজনকে একসাথে দেখে মনে হচ্ছে আপনারা সময়টা বেশ উপভোগ করেছেন। আর বৌদির দেওয়া উপহারটি একেবারে অমূল্য।
একদম ঠিক বলেছো দিদি এই উপহারটি আমার কাছে সত্যিই অমূল্য।অনেক ধন্যবাদ দিদি তোমাকে।
আপনি বইমেলায় খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন। সেটা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আসলে বইমেলায় গেলে আসলে খুবই ভালো লাগে।