ডায়ান্থাস নামে এই সুন্দর ফুলটি বহুবর্ষজীবী হলেও শীতের মৌসুমী ফুল হিসেবেই আমাদের দেশে এর চাষ হয়ে থাকে। ডায়ান্থাস বা পিক ফুল দেখতে অনেকটা কারনেশনের মতো। চাষ পদ্ধতি সহজ, আমাদের দেশের আবহাওয়ায় সচ্ছিদ্র উর্বর দো-আঁশ মাটি এর চাষে বেশ উপযোগী।গোলাপি রঙের খুব সুন্দর নকশা কাটা এই ফুল দেখতে বড্ড মনোরম।

এন্টিরিনাম বহুবর্ষজীবী হলেও শীতকালীন মৌসুমী ফুল হিসাবে চাষ করা হয়। সমতল অঞ্চলে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর এবং পাহাড়ি অঞ্চলে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে চাষ করা হয়।

জবা ফুল হল মালভেসি গোত্রের অন্তর্গত একটি চিরসবুজ পুষ্পধারী গুল্ম, যার উৎপত্তি পূর্ব এশিয়াতে।বাগানের গাছ হিসেবে জবাকে গ্রীষ্মমণ্ডল এবং উপগ্রীষ্মমণ্ডল অঞ্চলে সর্বত্র ব্যবহার করা হয়। যেহেতু জবা ১০°সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না, তাই নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে জবা গাছকে গ্রীনহাউসে রাখা হয়। জবা গাছের বিভিন্ন রকমের সংকর প্রজাতি আছে, যাদের ফুলের রঙ সাদা, হলুদ,কমলা, ইত্যাদি হতে পারে।

শীতকালীন ফুলের মধ্যে ডালিয়া খুব বিখ্যাত। বর্ণবৈচিত্র্য ও বড় আকারের জন্য খুবই জনপ্রিয়। ডালিয়া গাছের উচ্চতা ১০০থেকে ১৫০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। ডালিয়া ফুল বিভিন্ন রংয়ের হয়। এই ফুলের নামকরণ হয়েছিল সুইডেনের আন্দ্রেডালের নামানুসারে।এই ডালিয়া ফুলের কালারের আকর্ষণ চারপাশের পরিবেশকে অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর করে তোলে।

গ্যালার্ডিয়া অ্যাস্ট্রোভ পরিবারের একটি উদ্ভিদ। এই ফুলের জন্মস্থান আমেরিকা। বন্য অঞ্চলে, মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মে। গাইলার্ড ডি চেরেন্টনের নামে নামকরণ করা এক জনহিতৈষী যিনি আঠারো শতকে বসবাস করেছিলেন এবং উদ্ভিদবিদ্যার বিকাশে দুর্দান্ত অবদান রেখেছিলেন।বাহ্যিকভাবে, এই ফুলগুলি ক্যামোমাইল বা জেরবেরার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। উচ্চতা 60 সেন্টিমিটারে পৌঁছায়।

জিনিয়া (বৈজ্ঞানিক নাম Zinnia elegans ইংরেজি নাম: Zinnia) মূলত এর বাহারী রঙের ফুল হিসেবে সুপরিচিত । Asteraceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি বিরুৎ প্রজাতির উদ্ভিদ। জিনিয়া সাদা , হলুদ , লাল , বাদামী , বেগুণী , কমলা , সবুজ হরেক রঙের হয়ে থাকে ।

পিটুনিয়া ফুল দেখতে অনেক সুন্দর। বর্তমানে এটা আমাদের দেশে নিয়মিত চাষ করা হচ্ছে। এই ফুলের নজরকাড়া রঙ এবং সৌন্দর্য পাগল করে সবাইকে। পিটুনিয়া ফুল নানান রঙের আছে। যেমন সাদা, গোলাপি, লাল, হলদে, বেগুনি ইত্যাদি।

ধন্যবাদ