সুস্বাদু ঘুগনি রেসিপি//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁককে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।বাঙালির একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও নিত্য দিনের পদ হলো ঘুগনি।ঘুগনি সাধারণত সকালে জলখাবার কিংবা সন্ধ্যাবেলার জলখাবার হিসেবে বিশেষ জনপ্রিয়।বিশেষ করে এই ঘুগনি কলকাতা এবং উড়িষ্যায় বহুল পরিচিত একটি রেসিপি। ঘুগনি স্ট্রিটফুড হিসেবেও যথেষ্ট পরিচিত। টক ঝাল স্বাদে ভরা ঘুগনি সাধারণত ঘুগনি বিক্রেতারা শালপাতার বাটিতে পরিবেশন করে থাকে। তবে যেকোনো ধরনের ঘুগনি হোক না কেন পরিবেশনের সময় ওপর থেকে লঙ্কা কুচি ,শসা কুচি ,পেঁয়াজ কুচি , ভাজা গুঁড়া মসলা এবং তেঁতুল জল দিয়ে দেওয়া হলে তার স্বাদ যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায়।আজ আমি সকলের সঙ্গে ঘুগনি তৈরির রেসিপিটি ভাগ করে নিচ্ছি।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক রেসিপিটি।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
১. ঘুগনি মটর | ৩০০ গ্রাম |
২. সাদা তেল | পরিমাণ মতো |
৩. তেজ পাতা | ২ টো |
৪ গোটা জিরে | ১ চামচ |
৫. হলুদ গুঁড়ো | পরিমাণ মতো |
৬. লঙ্কা গুঁড়ো | পরিমাণ মতো |
৭. আদা-রসুনের পেস্ট | ৩ চামচ |
৮. পেঁয়াজ | ১টা |
৯. কাঁচা লঙ্কা | ২ টো |
১০. লবণ | ১ চামচ |
১১. চিনি | ১ চামচ |
১২. চানা মশলা | পরিমাণ মতো |
রন্ধন প্রণালী :
প্রথম ধাপ
• প্রথমে 300 গ্রাম মত ঘুগনি মটর নিয়ে প্রায় চার পাঁচ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখেছিলাম। তারপর সেই মটরটাকে প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
• এরপর পরিমাণমতো তেল কড়াইতে দিলাম।
তৃতীয় ধাপ
• তেল হালকা গরম হয়ে এলে গোটা জিরে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ
• এরপর পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কাটলাম এবং আদাও বেটে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
• জিরে দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে কুচি কুচি করে রাখা পিঁয়াজ ও দিয়ে দিলাম এবং হালকা লাল লাল করে ভেজে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
• তারপর আদা পেস্টের সাথে রসুন পেস্ট ও হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করলাম।
সপ্তম ধাপ
• তারপর সেই মিশ্রণটিকে কড়াইতে ঢেলে দিলাম এবং কষিয়ে নিলাম।
অষ্টম ধাপ
নবম ধাপ
• মিশ্রণটি একটু টেনে এলে তাতে ওই সেদ্ধ করে রাখা মটর গুলোকে ঢেলে দিলাম।
দশম ধাপ
• এরপর একটু জল দিয়ে দিলাম। তারপর একটু ভালো করে ফুটিয়ে নেওয়ার পর চানা মশলা দিয়ে দিলাম।
একাদশ ধাপ
• আর কিছুক্ষণ পর পরিমাণ মতো লবণ এবং চিনি দিয়ে দিলাম।
দ্বাদশ ধাপ
• এরপর কিছুক্ষণ ঢেকে রাখলাম ।ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল ঘুগনি রেসিপি ।
ধন্যবাদ
সুস্বাদু ঘুগনি রেসিপি দেখে তো আমার জিভে জল চলে এলো।কারণ অনেকদিন ঘুগনি রেসিপি খাইনি। প্রতিটি ধাপ চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
দিদি ঘুগনি রেসেপি টা বেশ চমৎকার করে রেসেপি করছেন ৷কিন্তু আসলে ঘুগনি নাম আজ প্রথম শুনলাম ৷তবে দেখে বুঝতে এই ঘগনি কে আমাদের এই দিক ছোলা বা মটর কালাই বলা হয় হয়তো বা ৷
ধন্যবাদ দিদি। আমি এতদিন জল দেওয়ার সময় তেতুল জল দিতাম।আজ সঠিক পদ্ধতি টি জানলাম।
ওয়াও দিদি সুস্বাদু ঘুগনি রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এলো। আপনার মতো এভাবে কখনো ঘুগনি তৈরি করে দেখিনি।আপনার টা দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই বাসায় তৈরি করব।ধন্যবাদ দিদি এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঘুগনি সবসময় হাই প্রেওরিটি পায় আমার কাছে টিফিনের মধ্যে , সে সন্ধ্যে , সকাল যখনই হোক না কেনো। আর আপনি ধাপে ধাপে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন ও করেছেন।
ঘুগনি আমার ও খুব ভালো লাগে।একদিন খাওয়ার ইচ্ছে রইলো।।
অও,ঘুগনি রেসিপি দেখেই খেতে মন চাইছে দিদি।খুব সুন্দর কালার হয়েছে, সেই টেস্টি হয়েছে বোঝা যাচ্ছে।শালপাতায় খাওয়ার মধ্যে মজা আছে অন্যরকম।সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন, ধন্যবাদ দিদি।
ঘুগনির নাম অনেক শুনেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি আপু। যাক আপনার আজকের রেসিপি দেখে শিখে নিলাম কিভাবে ঘুগনি তৈরি করতে হয়। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন যে কেউ দেখেই রেসিপিটি তৈরি করতে পারবে। ঘুগনির কালারটা কিন্তু বেশ হয়েছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে কতটা মজা হয়েছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এইদিকে এটাকে ঘুমনি বলে দিদি। এটা রোজার সময় ইফতারিতে বহুত চলে। আমরা তো মুড়ির সাথে মাখিয়ে খেয়ে থাকি। এতে মুড়ি নরম হয়। আবার ঝাল মুড়িতেও ব্যবহার করে খাওয়া হয়। আপনার এই রেসিপিটি সত্যি দারুণ দিদি।