সরস্বতী পুজোর আগের দিন ঘরে ডেকোরেশন//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে সরস্বতী পুজোর আগের দিন ঘরে যে ডেকোরেশন করেছিলাম তারই কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
প্রথমেই সবাইকে সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা জানাই।যেহেতু আজ সরস্বতী পূজা ছিল তাই কাল রাত থেকেই বিশাল আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছিল।আর এই আয়োজন বিগত তিন বছর ধরে আমরা ভাইবোনেরা মিলে একসাথে করি। সরস্বতী পুজোর আগের দিনে ঘর সাজানোর যে কি আনন্দ তারই কিছুটা মুহূর্ত আপনাদের সাথে সাথে ভাগ করবো আজকে। যখন স্কুলে পড়তাম তখন স্কুলে সরস্বতী পুজোর আগের আগের দিন থেকে কাজ করতাম, এখন সেই দিন গুলোকে খুব মিস করি।
যাই হোক আমাদের জয়েন্ট ফ্যামিলি আমি আগেই বলেছিলাম।তাই সরস্বতী পুজোর দুদিন আগে থেকেই ঘর সাজানোর কাজ শুরু হয়ে গেছিল। একদিন ঘর পরিষ্কার করতে চলে যায় আর একটা দিন ঘর সাজাতে। আর সব ভাইবোন ঘর সাজাতে শুরু করেছিলাম পুজোর আগের দিনকে।
ভাইবোনরা আমার থেকে অনেকটাই ছোটো।আর আমাদের কাজ শুরু হয়েছিল গতকাল সন্ধ্যা থেকে।রাত তিনটা পর্যন্ত কাজ চলেছিল,এত দেরি হওয়ার একটাই কারণ সেটা হল কাজের থেকে কথা বেশি আর হাসাহাসি এইসবই চলতে থাকে।
প্রথমেই আমরা মা সরস্বতীকে যেখানে বসে পুজো করা হবে সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ড করার জন্য একটা ব্যানার নিয়ে এসেছিলাম। ওই ব্যানারটিকে কালো কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছিলাম।
এরপর ঠাকুরের পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ডটা সাজানোর জন্য কয়েকটা সোলার প্লেট কিনে নিয়েছিলাম। তারপর প্লেটটিকে ভালো v টাইপের কেটে নিয়েছিলাম। দেখতে ঠিক এই রকম হবে।
সোলার বাটি গুলোকেও এই ভাবে কেটে নিয়েছিলাম আর তার সাথে ব্যানারে চারপাশটা ও নীল রঙের কাগজ সরু করে কেটে লাগিয়ে নিয়েছিলাম ব্যানারের চারপাশ দিয়ে।
তার সাথে ব্যানারের চারপাশ দিয়ে কয়েকটা বাটি লাগিয়ে দিয়েছিলাম চারদিক দিয়ে।
এরপর সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য প্লেটের উপর গোল করে নীল রঙের কাগজ কেটে নিয়েছিলাম,যাতে ওই কাগজটা বাটি ও প্লেটের মধ্যে চেপে আটকে দিতে পারি।এই ভাবে আটকে নিয়ে সোলার প্লেটের উপর বাটিটা বসিয়ে দিয়েছিলাম।তার সাথে দেখতেও খুব সুন্দর লাগছিলো।
তারপর আমরা ব্যানারটির মধ্যে প্লেট বাটি গুলো সাজিয়ে সাজিয়ে রেখে দিলাম।
এইভাবে সবাই মিলে হাতে হাত লাগিয়ে ঠাকুর বসার ব্যাকগ্রাউন্ডটা সাজিয়ে নিয়েছিলাম।আমরা ঘর সাজানোর জন্য দুপুর থেকে কাগজ দিয়ে অনেকগুলো পাখি,ফুল এবং নৌকা বানিয়ে রেখেছিলাম এই হলো সেই গুলো।
এরপর ঘরের চারপাশ দিয়ে দড়ি দিয়ে ওই পাখি ও নৌকাগুলো লাগিয়ে দিলাম। আর কাগজের ফুল গুলো দেওয়ালে লাগিয়ে দিলাম।
এরপর ব্যানারের পাশ দিয়ে টুনি লাইট লাগিয়ে নিয়েছিলাম যাতে আরো সুন্দর লাগে।আর কালোর উপর হলুদ লাইট দিয়েছিলাম তার জন্য আরো ভালো লাগছিল।
সব মিলিয়ে এইভাবে আমরা আমাদের সরস্বতী পুজোর আগের দিনকে ঘরটাকে এই ভাবে সাজিয়েছিলাম।
আমি ভিডিওর মাধ্যমে ঘরের পুরো ডেকোরেশন এর ছবি দেখালাম। আপনাদের সবার কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু।
ধন্যবাদ
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে অনেক সুন্দর ডেকোরেশন করতে হয়তো আপনাদের । ভাই ও বোনেরা সবাই মিলে একসাথে বসে ডেকোরেশন করছেন অনেক মজা হচ্ছে নিশ্চই । খুব সুন্দর ভাবে আপনি ডেকোরেশন গুলো করেছেন ছোট ছোট করে দেখতে ভালো লাগছে।
হ্যাঁ দিদি আমরা সব ভাই-বোন মিলে একসাথে ঘরের ডেকোরেশনের কাজ করি। আর সত্যিই খুব আনন্দ হয় একসাথে কাজ করতে। অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
দিদি আপনি সরস্বতী পুজোর আগের দিন ঘরে ডেকোরেশন করেছেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম নিখুঁত ভাবে পুরো কাজটি সম্পুর্ন করেছেন আপনার প্রশংসা করতে হয় এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা করছি
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে এত সুন্দরভাবে প্রশংসা করে পাশে থাকার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার পক্ষ থেকে আপনাকে সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা রইল। আপনারা সরস্বতী পূজার ডেকোরেশন টা খুবই সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলেছেন ।বিশেষ করে রঙ্গিন কাগজ গুলো ব্যবহার করাই দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লাগছে । পুজো মানেই অন্যরকম আনন্দ ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
আপু সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ঘরে সুন্দর একটু ডেকোরেশন করেছেন। বেশ সুন্দর লাগছে রুম টি। আপু আপনি অনেক সুন্দর করে ঘরে সৌন্দর্য তৈরি করেছেন। সত্যি অসাধারণ হয়েছে আপু। আমার পক্ষ থকে আপনার জন্য সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি কি চমৎকার সাজিয়েছো পুরো ঘরটা। মন এবং চোখ দুটোই ভরে গেল যেন। সবচেয়ে চমৎকার লাগছে মা স্বরস্বতীর পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড টা। এককথায় দুর্দান্ত ছিল ওই টুকুর ডেকোরেশন। আর তোমার সাথে আমিও একমত, স্কুল-কলেজের সরস্বতী পুজোর দিন গুলোকে খুব মিস করি এখনও। বন্ধুরা মিলে কত ছোটাছুটি কত হই হুল্লোর। আজ সব শুধু মিষ্টি একটা স্মৃতি হয়ে আছে।
হ্যাঁ সত্যি ছোটবেলায় সরস্বতী পুজোর আগের দিনগুলো কত আনন্দে কাটতো। পুজোর কত কাজ করতে হতো স্কুলে । সেই দিনগুলো খুব ভালো ছিল। আর আমরা যখন বাড়িতে এই ভাবে সাজিয়ে পুজো করি তখনও খুব আনন্দ হয় ।
অনেক সুন্দর সাজিয়েছেন পুরো ঘরটা। আমার মনে হচ্ছে এই সম্পূর্ণ সাজ সাজাতে অনেক সময় লেগেছে। বিশেষ করে রঙিন কাগজের সব ডিজাইন এবং সোলার বাটি গুলো কেটে ডিজাইন করেছেন এগুলো আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। আপনি নিজে ডেকোরেশন গুলো করছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। এরকম একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে। আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
খুবই সুন্দর।
অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনার কাছে আমাদের বাড়ির পূজার ডেকোরেশনটা ভালো লেগেছে শুনে। অনেক ধন্যবাদ দাদা।