তারাপীঠের তারা মন্দিরে পর্ব -৩

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন। গত পর্বে আমি তারাপীঠে পূজো দেওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিয়েছিলাম । আজ আমি তারাপীঠের পাশাপাশি কিছু মন্দিরে যাওয়ার মুহুর্তগুলোভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।


আগের পর্বে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে পুজো দিয়ে এসে ব্রেকফাস্ট করে আবার হোটেলে গিয়েছিলাম তারাপীঠে আশেপাশে জায়গাগুলোতে ঘুরবো বলে রেডি হওয়ার জন্য, কিন্তু হোটেলে ঢুকে আমার আর শরীর দিচ্ছিল না সত্যি কথা বলতে আর তাকাতে পারছিলাম না এত ঘুম পাচ্ছিল । ভালো করে তিরিশটা মিনিটও ঘুমিয়েছি কি ঘুমাইনি সবাই এসে ডাকাডাকি করতে আরম্ভ করে দিয়েছে বেরোনোর জন্য।আর আমার অবস্থা তখন এমন হয়েছিল এই কথাটা শুনেই না করে দিয়েছিলাম প্রথমে।কিন্তু যাই হোক ঘুরতে এসে এইটুকু তো মানিয়ে নিতেই হবে ঘুম চোখে রেডি হয় আমাকে আবার বেরোতে হলো, সত্যি কথা বলতে লাগে ঘুরতে তো সবারই খুব ভালো লাগে যেহেতু আগের রাত একেবারেই পুরো জাগা ছিলাম তাই একটু কষ্ট হয়ে গেছিল কিন্তু রেডি হয়ে যখন বেরোলাম তখন ফুল এনার্জি নিয়েই বেরোলাম।মন্দির থেকে ফেরার পথে আমরা একটা গাড়ি ঠিক করে নিয়েছিলাম,যে গাড়িটা করেই আমরা তারাপীঠের সাইড সিন গুলো ঘুরবো বলে ভেবেছিলাম। হোটেল থেকে বেরোতে বেরোতে নটার জায়গায় সাড়ে দশটা বেজে গেল😜 ।প্রথমেই আমরা জগতমহিনীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে যে সিংহ দুয়ার নির্মিত হয়েছে সেখানে গিয়েছিলাম ।এই মন্দিরটির আদল একেবারে পুরীর মন্দিরের মতো ,ভীষণ সুন্দর এবং সাজানো-গোছানো একটি মন্দির । মন্দিরটা ভিতরে একদম শান্ত পরিবেশ।

WhatsApp Image 2022-11-22 at 2.01.20 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-11-22 at 2.11.32 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-11-22 at 2.01.18 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2022-11-22 at 2.01.19 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-11-22 at 2.01.24 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-11-22 at 2.18.52 PM.jpeg


আমাদের হাতে যেহেতু সময় একদমই কম ছিল তাই জন্য খুব তাড়াতাড়ি মন্দিরগুলো দেখেছি। এখানে এত সুন্দর সুন্দর মন্দির রয়েছে যে অনেকটা সময় নিয়ে দেখলে বেশ ভালোই লাগবে। মন্দির থেকে বেরিয়ে দেখলাম মন্দিরের আশেপাশে অনেকগুলি ছোট ছোট দোকান রয়েছে যেখানে খুব সুন্দর সুন্দর এবং খুব ইউনিক জিনিস বিক্রি হচ্ছে। সেখানে একটি দোকান থেকে আমি দুটো একতারা কিনেছিলাম।আমাদের এই জায়গা গুলো এতটাই ভালো লেগেছিল তাই খুব একটা তাড়াহুড়ো করে দেখতেও পারছিলাম না, কিন্তু তারপরও এই মন্দির থেকে বেরোনোর পথে সবাই ভাবলাম যে চা খাবো। কারণ এখানে গুড়ের চা বিক্রি হচ্ছিল তাই টেস্ট করার খুব ইচ্ছা হল যে কেমন হয় খেতে তার জন্য আবার সবাই মিলে চা খাওয়ার জন্য দাঁড়ালাম। তো আমি গুড়ের চা নিলাম খুব একটা ভালো লেগেছে তা নয় ,মোটামুটি লাগল খেতে। যাই হোক টেস্ট তো করা হলো ।অলরেডি ততক্ষণে যে গাড়ি নিয়েছিলাম সেই গাড়ির কাকু বলতে লেগে গেছে যে আমরা এরকম ভাবে দেরি করতে থাকলে আর হয়তো কিছুই দেখা হবে না। তারপর আবার পরবর্তী জায়গা গুলো দেখার জন্য গাড়িতে উঠলাম ।

WhatsApp Image 2022-11-22 at 2.02.06 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-11-22 at 2.02.07 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-11-22 at 2.01.31 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-11-22 at 2.02.08 PM.jpeg

এরপর আমরা তারাপিঠের ভারত সেবা আশ্রমে গিয়েছিলাম ।এই আশ্রম সকাল আটটা থেকে বারোটা এবং বিকেল চারটে থেকে রাত নটা অবধি মন্দির খোলা থাকে। আর এই ভারত সেবাশ্রমে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

WhatsApp Image 2022-11-22 at 2.01.27 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-11-22 at 2.19.59 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-11-22 at 2.01.27 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2022-11-22 at 2.01.25 PM (1).jpeg



কিন্তু এই আশ্রমে আমরা এই আশ্রম পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘুরে বেরিয়ে এলাম। এরপর আরো দুটো মন্দিরে গেছিলাম সেই মন্দির গুলো পরের পর্বে ভাগ করে নেবো।



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

Sort:  

গুড়ের চা হয় এটাই তো আজ শুনলাম। তবে কি জানো তো দিদি বেশিরভাগ সময় আমি যখন ঘুরতে যাই তখন হোটেলেই শুয়ে থাকি। আমি বুঝিনা ঘুরতে গেলেই আমার এত কেন ঘুম পায়। যাইহোক তোমার মাধ্যমে তারাপীঠের তারা মন্দিরে কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখলাম।

 2 years ago 

কোথাও ঘুরতে গেলে সময় যে কিভাবে অতিবাহিত হয়ে যায় সেটা আসলেই বুঝতে পারা যায় না। চমৎকারভাবে মন্দির এর কিছু দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন তবে এবার হাতে বেশি করে সময় নিয়ে বেশি বেশি ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন দিদি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দিদি।

 2 years ago 

অনেক দিনের ইচ্ছে আছে তারাপীঠ যাওয়ার। দেখি মা কবে নিয়ে যান 🙏। না ঘুমিয়ে আমি হলে ঘুরতেই পারতাম না তেমন। আপনি তবু ভালোই ঘুরেছেন দিদি। সবথেকে ভালো লেগেছে একতারা কেনা দেখে। আমিও এটাই কিনতাম নিশ্চিত । আর গুড়ের চা কখনো খাই নি। সামনে পরলে মিস করবো না। অবশ্যই টেস্ট করে দেখবো। এমন ঘোরাঘুরির পোস্ট গুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগে আমার 😊। খুব মজা করে সবটা দেখলাম।

 2 years ago 

হোটেল থেকে বেরোতে বেরোতে নটার জায়গায় সাড়ে দশটা বেজে গেল😜

প্রথমেই বলতে চাই সানগ্লাস পড়ে আমাদের মিষ্টি দিদিকে কিন্তু দারুণ লাগছে। দাদা দেখে কিন্তু এবার পাগল হয়ে যাবে😜। যাইহোক দিদি আগের রাত যেহেতু জেগে ছিলেন তাইতো রেডি হয়ে হোটেল থেকে বের হতে দেরি হয়েছে। কিন্তু কোথাও ঘুরতে গেলে সত্যি সময় নিয়ে যেতে হয়। না হলে বেশ তাড়াহুড়ার মধ্যে পড়তে হয়। গুড়ের চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা জেনে ভালই লাগলো। যদিও কখনো খাওয়া হয়নি। তবে একদিন ট্রাই করে দেখতে হবে। মন্দিরের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। সেই সাথে মন্দিরের বাহিরের ছোট ছোট দোকান গুলো দারুন ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন দিদি। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

দারুন কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন দিদি, আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালোলাগে ঘুরতে যাওয়ার সময় টা ,কখন যে সময় শেষ হয়ে যায় , বলা যায়না , তবে সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে সারাদিন ঘুরাঘুরির পর ও ক্লান্তি হলে ও বুঝা যায়না , কারণ ঘুরতে গেলে দারুন একটা এনার্জি কাজ করে , ভালো লাগলো।

 2 years ago 

অনেক ভাল লাগলো দিদি কিছু ছবি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। মন্দিরের ছবি অনেক ভাল লাগলো। রাত জাগলে আসলে পরের দিন উঠতে একটু দেরি হয়েই যায়। তবে আপনকে কিন্তু দারুন লাগছে দিদি।🥰😍😍😍 সবাইকে নিয়ে সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন আশাকরি।মন্দিরের বাইরের দোকানগুলোর ফটোগ্রাফি ও আপনি তুলে ধরেছেন, ভাল লাগলো। মাটির কাপে চা খাওয়ার মজাই অন্য রকম। সবকিছু মিলিয়ে অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ দিদি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

শরীর ক্লান্ত থাকলে বেশ ঘুম পায়।কষ্ট হলেও সুন্দর কিছু দেখতে আসলেই ভালো লাগে।প্রত্যেকটি ছবি দারুণ ছিল।আর গুড়ের চা আমি কখনো খায়নি, দিদি খাঁজাগুলিতে কত পোকা হাঁটছে।আমার কাছে লক্ষ্মী মায়ের মূর্তিটি অদ্ভুত সুন্দর লেগেছে।ধন্যবাদ দিদি।

 2 years ago 

দিদি আপনার আমি তারাপীঠ ভ্রমণের তিনটা পর্ব ই আমি পড়েছি, তবে এতো ক্লান্তি নিয়েও যে মন্দির গুলোতে ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন এটাই তো অনেক কিছু। মজার ব্যাপার হচ্ছে গুড়ের চা আমি আমি এই প্রথম শুনলাম তবে আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে স্বাদ নেওয়ার।

 2 years ago 

খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে এই মন্দিরটি অনেক সুন্দর। দেখে খুবই ভালো লাগলো। ফটোগুলো অসাধারণ হয়েছে এবং গুড়ের চা আমারও খুবই প্রিয়। আপনার চা খাওয়া মুহূর্ত সত্যি অসাধারণ ছিল।

 2 years ago 

আসলে ৬ দিন হয়ে গেছে কারো পোস্ট সেভাবে পড়ে উঠতে পারিনি। তাই তোমার করা এত সুন্দর পোস্টটা আমার দৃষ্টিগোচর হয়ে গেছে। সে কারণে প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করলাম। তারাপীঠে গিয়ে আমি কখনো এই সাইট সিন গুলো উপভোগ করিনি। আসলে অনেকটাই ছোট ছিলাম।তাই এগুলো করেছিলাম কিনা তাও সঠিক মনে নেই।যতদূর সম্ভব করিনি। শুধু মায়ের পুজো দিয়ে চলে এসেছি। আর তখন হয়তো এত কিছু ছিল না। কত পরিবর্তন হয়ে গেছে সব। আর এখন অনেক উন্নত হয়েছে।মানুষের থাকার ব্যবস্থা আরও ভালো হয়েছে। আর আরেকটা কথা বলি,তোমার মুখটা এখানে তোমার মায়ের মতনই লাগছে। সেটাই লাগার কথা।মায়ের ছাপ রয়েছে মেয়ের মুখে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 60704.11
ETH 2452.38
USDT 1.00
SBD 2.62