শীতের পড়ন্ত বিকেলে বর্তির বিল
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে বর্তির বিলের ঘোরার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি ভালো লাগবে ।
আজ মনের অবস্থা খুবই অস্থির।হয়তো বুঝতে পারছেন কেন । সত্যি বলতে কি পোস্ট করবো বুঝে উঠে পাচ্ছিলাম না। কারণ পোস্ট করার মত মানসিকতাই নেই। সারাদিন শুধু টিভির চ্যানেলে খবর দেখে যাচ্ছি।
আজ তাই ফোন ঘেটে গ্যালারি তে দেখলাম বর্তির বিলে ঘোরার কিছু ছবি রয়েছে ।যেগুলো আপনাদের সাথে আগে ভাগ করিনি। সেটাই আজকে ভাগ করে নিলাম।
আমি যে সময় বর্তির বিলে গেছিলাম সেই সময়টা ছিল শীতকাল। আজ থেকে তিন বছর আগে। তখন শীতকালীন প্রকৃতির ফটোগ্রাফির প্রতিযোগিতা ছিল এই আমার বাংলা ব্লগে। সত্যি বলতে কলকাতায় থেকে শীতকাল যতটা উপভোগ করা যায় তার থেকে বেশি উপভোগ করা যায় একটু ফাঁকা জায়গায় বা গ্রামের দিকে থাকলে। তবুও অংশগ্রহণ করেছিলাম ।তার জন্যই বর্তির বিলে গিয়েছিলাম।
বর্তির বিল জায়গাটা নীলগঞ্জের দিকে ।যেহেতু আমার এখন নীলগঞ্জের কাছাকাছি বিয়ে হয়েছে ।তাই এখন মাঝে মাঝে যাওয়া হয়। কিন্তু যখন ব্ল্যাকসের সাথে পরিচয় ছিল না ,তখন মাত্র দুবার গিয়েছিলাম। এই জায়গাটা আমার ভীষণ ভালো লাগে ।আর যতদূর চোখ যায় তত দূরে শুধু জমি আর জমি ।এখানে যখন গিয়েছিলাম তখন শীতকালীন সবজি বাঁধাকপির চাষ হচ্ছিল । সবথেকে যেটা ভালো লাগে সেটা হচ্ছে সরিষার ক্ষেত ,সরিষার ক্ষেত দেখতে ভীষণ ভালো লাগে ।
তাছাড়াও শহর থেকে গ্রামের দিকে গেলে একটা আলাদাই প্রশান্তি কাজ করে। এই ইট কাঠের দেয়ালে যারা থাকে তারা বোঝে এই গ্রামে থাকার মর্ম ।এদের জীবনটাই যেন একদম আলাদা হয় ।শহুরে মানুষের থেকেও এদের মানসিকতাও অনেক আলাদা হয়।
আমি যখন গিয়েছিলাম তখন প্রায় আর সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। আর সন্ধ্যার সময় আস্তে আস্তে ফাঁকাও হয়ে যায়। কারণ এখানে খুব কম মানুষজন থাকে ।কিন্তু এই জায়গাটা এখন এত জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ার জন্য হয়তো অনেক মানুষ এখানে বসবাস করছে। তবুও এই জায়গাটা আমার বরাবরই প্রিয় ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর।দেখে খুবই ভালো লাগলো।শীতের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা।প্রতি শীতেই আমি কোনো না কোনো যায়গায় ঘুরতে যাই।ঘুরতে যেতে আমার খুবই ভালো লাগে।
দাদার পোস্টে একসময় বর্তির বিল এবং তার পাশাপাশি কয়েকটা এরিয়ার ফটোগ্রাফি দেখেছিলাম। জায়গাটা সত্যি খুব সুন্দর দেখতে। ছোট দাদার সাথে পরিচিত হওয়ার আগেই দুবার গিয়েছেন। আর এখন যেহেতু কাছাকাছি আছেন সেই হিসেবে তো বারবার যেতে পারবেন। ফটোগ্রাফিগুলো দেখে মনে হচ্ছে অসম্ভব সুন্দর জায়গাটা।শীতকালে প্রকৃতি খুবই সুন্দর লাগে। কারণ চারদিকে সরষে ফুল, বিভিন্ন রকম শাক সবজির বাহার দেখা যায়। আর আপনার ফটোগ্রাফিতে সেগুলো দেখতে পাচ্ছি দিদি।
শীতের সময় এরকম জায়গা গুলোতে ঘুরতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি দেখছি ছোট দাদার সাথে পরিচিত হওয়ার আগে এই জায়গাটাতে দুই বার গিয়েছেন। এটা জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো দিদি। এখন তো মনে হচ্ছে আরো অনেকবার যেতে পারবেন যেহেতু জায়গাটা কাছাকাছি। সরিষার ক্ষেত দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। শীতের সময় যখন চারপাশে সরিষার ক্ষেত দেখা যায় তখন দেখতে খুবই ভালো লাগে। শীতের সময় গ্রামের সৌন্দর্য যেন অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়। খুব ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট।
আসলেই এমন অস্থির সময়ে কাজে মনোযোগ দেওয়া যায় না। সারাক্ষণ শুধু নিউজ দেখতে ইচ্ছে করে। যাইহোক বর্তির বিল জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। আপনাদের পোস্টের মাধ্যমে বর্তির বিলের সৌন্দর্য মাঝেমধ্যে দেখা হয়ে থাকে। এমন পরিবেশে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে বৌদি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তির বিলের ছবিগুলো দারুণ উপভোগ করলাম, এই জায়গাটা আমাদের কাছেও খুবই পরিচিত দিদিভাই। তবে সত্যি বলতে গেলে কি, আমাদের মনের অবস্থাও ভালো নেই দিদিভাই।