স্বাধীনতা দিবসের দিন।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে স্বাধীনতা দিবসের দিন ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
১৫ই আগস্টে হঠাৎ করেই ঠিক করলাম বিকেল বেলা ঘুরতে যাবো। আর সেদিনকে দুপুর- দুপুর সময়ে ব্ল্যাকস আমাদের বাড়িতে এসেছিল ।আসলে আমার বোন ওকে ডেকেছিল প্রজেক্টের কিছু জিনিস বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। কারন আমার বোন আর ব্ল্যাকস দুজনই একই সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করছে ,তাই বোনের কিছু অসুবিধা হলেই ব্ল্যাকস সেটা খুব ভালো করে ওকে বুঝিয়ে দেয় এতে আমার বোনের অনেকটাই সুবিধা হয়। যাই হোক এই কারণেই সেদিন আমার বাড়িতে ওর আসা বলতে গেলে।
বোনের কাজ মোটামুটি ছটার সময় কমপ্লিট হয়ে যায়। যেহেতু এত তাড়াতাড়ি ওর কাজটা হয়ে গেছিল তো ভাবলাম কোথাও ঘুরতে যাবো। সত্যি কথা বলতে আমি আগেই বলেছিলাম আমি কখনো প্রি প্ল্যান করে কোথাও বেরোই না সেদিনও ঠিক তাই, ব্ল্যাকস বলছিল যে বাড়ি চলে যাবে কিন্তু আমার কিছুটা সময় ওর সাথেই থাকতে ইচ্ছা করছিল তাই জন্য ওকে বললাম কোথাও ঘুরে আসার জন্য তাতে ও রাজি হয়ে গেল ।আর আমার তো বরাবরই ঘুরতে যেতে খুবই ভালো লাগে ।তো আমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে গেলাম কারণ আর দেরি করলে দুজনেরই বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যেত। তাই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ আমি ,বোন , আর ব্ল্যাকস বেরিয়ে গেলাম।
আমার ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা হলে নিউটাউনের দিকেই যেতে ইচ্ছা করে খুব ।কারণ ওখানকার পরিবেশ , রাস্তাঘাট আমার খুব ভালো লাগে। তাই নিউ টাউন এ বিশ্ববাংলার কাছাকাছি একটি জায়গায় আমরা ঘুরতে গেলাম ।জায়গাটি ভীষণ সুন্দর বিশেষ করে বাচ্চাদের খুব ভালো লাগবে সেখানে যেতে। যেহেতু ছুটির দিন ছিল সেহেতু সেদিন খুব ভিড় ছিল। এছাড়া ও সেদিন ১৫ ই আগস্ট উপলক্ষে ফাংশন হচ্ছিল। কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে গান শুনলাম ।এছাড়াও সেখানে নানান রকম থিমের উপর খাবার দোকান রয়েছে ।সেখান থেকে আমরা মোমো আর চিকেন ফিঙ্গার খেলাম। তারপর আমি চা আর বোন কফি খেলাম।প্রত্যেকটা খাবারের টেস্ট এখানে খুবই ভালো। এবং বেশ কিছুক্ষণ ওখানে বসে আড্ডা দিলাম কারণ ওখানকার পরিবেশটাই ভীষণ সুন্দর।
গল্প করতে করতে কখন যে নটা বেজে গিয়েছিল খেয়ালই ছিল না।তাই ভাবলাম বাইরে থেকে খেয়েই বাড়ি ঢুকবো। তাই আর ওখানে বেশিক্ষণ থাকলাম না ,বাড়ি আসার পথে একটি সি ফুড রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। তারপর সেখানে নিজেদের পছন্দমত খাবার অর্ডার করলাম। মঙ্গোলিয়ান ফিস ,বিরিয়ানি ,চিকেন আর মটন সবশেষে ভার্জিন মজিটো নিলাম। এই ড্রিঙ্কসটা আমার আর ব্ল্যাকসের ভীষণ ফেভারিট। এখানে প্রত্যেকটা খাবার দারুণ খেতে ছিল।এভাবেই আমরা স্বাধীনতা দিবসের দিনটা আনন্দ করে কাটালাম।
ছোটদাদা এবং আপনার বোনের সাথে ঘুরে ভালো সময় কাটিয়েছেন আপু বোঝাই যাচ্ছে। আর প্লান করে না ঘুরতে যাওয়ার চেয়ে হুটহাট এভাবে ঘুরতে গেলে বেশি মজা হয়। ইচ্ছামতো ঘুরা যায়। আর অনেক রাতে বাড়ি ফিরে আসলে খাওয়া-দাওয়া করে করাই ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
প্লান করে ঘুরতে যাওয়ার থেকে আমার মনে হয় যে হুটহাট ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। ব্লাক দাদাকে পেয়ে হুট করে ঘুরতে গিয়ে অনেক মজা করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ছুটির দিনে যেকোনো জায়গাতেই অনেক ভিড় থাকে। তার ওপরে তো আবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল। আর খাবারগুলো যে বেশ মজাদার ছিল নাম শুনেই বুঝতে পারছি। প্রিয়জনের সঙ্গে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন দিদি। ভালো থাকবেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আপনারা খুবই সুন্দর একটি দিন উপভোগ করেছেন। এই দিনটিতে সুন্দর জায়গায় ভ্রমণ করেছেন। বিশেষ করে ছোট দাদার সাথে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং আপনার ছোট বোনকে সাথে নিয়ে আনন্দময় মুহূর্ত ছিলো। দেখতে দেখতে রাত নয়টা বেজে গেল যার কারণে আপনারা এখানেই খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করলেন, খুবই ভালো লাগলো।
দিদি ১৫ই আগষ্টের খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে সেয়ার করলেন। রাস্তা গুলো খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। দেখে ভাল লাগলো। সর্বশেষ খাবরের ফটোগ্রাফিটা দেখে অসাধারন কিছু মনে হলো। ধন্যবাদ দিদি।
হঠাৎ ঘুরতে বের হয়ে ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন দিদি। কোথাও হঠাৎ ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। ব্ল্যাকস দা ও আপনার দিদির সাথে অনেক সুন্দর একটি দিন পার করেছেন।
দিদি তুমি আসলেই বেশ সৌভাগ্যবতী । আমার জীবনের একটা শেষ ইচ্ছে আছে , যেটাতে তোমার রাজকুমার অতপ্রত ভাবে জড়িত । খুবই সাধারণ একটা ইচ্ছা , ছোট দাদা ও বড় দাদার সঙ্গে বসে এক কাপ কফি খাওয়ার। তোমার মুহূর্ত জেনে ভালোই লাগলো । বেশ ভালো লাগলো জেনে যে , তোমার ছোট বোন কম্পিউটার সাইন্সে পড়ছে । তার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
এই মানুষ গুলোর সাথে আড্ডা মারতে বসলে আপনার এক কাপ কফিতে মন ভরবে না শুভ দা। মিনিমাম তিন কাপ কফি তো খেতেই হবে।
জীবনে যতবার প্ল্যান করে কিছু করতে গিয়েছি ততবারই হোচট খেয়েছি। তাই হুটহাট যা হয় সেটাই ভালো। ঘোরাঘুরির ব্যাপারটাও তাই। নিউ টাউনের আশেপাশের পরিবেশ সত্যিই চমৎকার। এবার ওদিক দিয়ে অনেক বার ঘুরেছি । যাই হোক অল্প ঘোরাফেরা তারপর খাওয়া দাওয়া সব মিলিয়ে বিন্দাস একটা মুহূর্ত ছিল।
নিউটাউনের জায়গাটি বাংলাদেশের হাতিরঝিলের মত লাগছিল। হাতিরঝিলে ও ঠিক একই রকম পরিবেশ। অসাধারণ একটি চমৎকার মুহূর্ত কাটিয়েছেন ছোট দাদা ও আপনার বোন কে নিয়ে। আপনার জন্য শুভকামনা।
আপু স্বাধীনতা দিবসের দিন আপনারা সবাই মিলে খুব সুন্দর ভাবে সময় কাটিয়েছেন। এই দিনটি উদযাপন বেশ ভালো লাগে আপু। ঘোরাঘুরি শেষে আপনারা খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে আরো ভালো লাগলো। আসলে ঘোরাঘুরির বিশেষ একটা অংশ হলো খাওয়া দাওয়া 😁। আমার মতে 😁।