"ফিশ ব্যাটার ফ্রাই " তৈরি করার পদ্ধতি।//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।আজ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম "ফিশ ব্যাটার ফ্রাই " তৈরি করার রেসিপি।
প্রথমেই বলি কোনো কোনো মাছের চাষ অর্ধ নোনা জলে হলেও তাদের প্রজনন ও ডিম দেওয়ার কাজ মিঠা জলে সাধারণভাবে এখনো হয় না।তাই ডিম বা ধানি পোনা নোনাজল থেকে সংগ্রহ করার পর তাদের চাষ করতে হয়। সেই মাছগুলোর মধ্যে পড়ে হচ্ছে ভেটকি।
কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি।ভাত,ডাল,তরকারি যাই থাক ; বাঙালির পাতে একটা মাছের পদ না থাকলে খাওয়ার পর্ব সম্পূর্ণ হয় না।রুই, কাতলা, ইলিশ, চিংড়ি, ভেটকি আরো কত কি মাছ রয়েছে বাঙালির মৎস্য তালিকায়। বঙ্গ জীবনের পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে মাছ আর মাছ। এরমধ্যে ভেটকি মাছ আমার ভীষণ প্রিয়। তাই ভেটকি মাছের যেকোনো আইটেমই খুব ভালো লাগে। ভেটকি মাছের ঝাল ই হোক, বা ভেটকি মাছের পাতুরি কিংবা ভেটকি মাছের ফ্রাই হলে তো কোনো কথাই নেই। ভেটকি মাছ নিয়ে অনেক রকম আইটেমই তৈরি করা যায়।তাই জন্য আজ আমি ভেটকি মাছের ব্যাটার ফ্রাই রেসিপিটি তৈরি করে দেখাবো।
ভেটকি মাছের ফিলে ম্যারিনেশন এর জন্য:
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
১. ভেটকি মাছ | ১ কেজি |
২.পুদিনা পাতা | পরিমাণ মতো |
৩.ধনেপাতা | পরিমাণ মতো |
৪.ভিনিগার | ২চামচ |
৫.আদা বাটা | ২ চামচ |
৬.রসুন বাটা | ২ চামচ |
৭. কাঁচা লঙ্কা বাটা | ২ টো |
৮.গোলমরিচ গুঁড়ো | ৩ চামচ |
৯.নুন | পরিমান মতো |
ব্যাটারের জন্য :
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
১.ময়দা | ২কাপ মতো |
২. কর্নফ্লাওয়ার | ২টেবিল চামচ |
৩. বেকিং পাউডার | ½ চামচ |
৪.গলানো মাখন | ১ টেবিল চামচ |
৫. ডিম | ২টো |
৬. ঠান্ডা জল | এক কাপ |
৭.সাদা তেল | পরিমাণমতো |
৮.নুন | পরিমান মতো |
রন্ধন প্রণালী :
প্রথম ধাপ
• প্রথমে বাজার থেকে ভেটকি মাছের ফিলে কিনে আনলাম এবং সেটিকে খুব ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
• এরপর মাছটিকে ভিনিগার দিয়ে কিছুক্ষণ মাখিয়ে রাখলাম প্রায় ২০মিনিট মত।
তৃতীয় ধাপ
• তারপর অল্প পুদিনা পাতা ও ধনেপাতা নিয়ে নিলাম এবং একসাথেই মিক্সিতে মিক্সড করে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
• ২০ মিনিট হয়ে গেলে ভেটকি মাছের ফিলে গুলোতে পুদিনা পাতা ও ধনেপাতা বাটা, রসুন বাটা,আদা বাটা, লঙ্কা বাটা, গোলমরিচ এবং অল্প নুন দিয়ে দিলাম।
পঞ্চম ধাপ
• এরপর উপরিউক্ত সব জিনিস দিয়ে ম্যারিনেশন এর জন্য ৪৫মিনিট মতো রেখে দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
• এবার একটা আলাদা পাত্রে ব্যাটার বানানোর জন্য এক কাপ ময়দা,কর্নফ্লাওয়ার,বেকিং সোডা,এবং নুন সব একসাথে মিশিয়ে নিলাম।
সপ্তম ধাপ
• এরপর দু'চামচ মত গলানো মাখন,২ টো ডিম ফেটিয়ে তার সাথে অল্প ঠান্ডা জল দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিলাম মিশ্রনটিকে। এই মিশ্রণটি আসল। ঠিক করে না ফেটিয়ে নিলে ফ্রাইটা কিন্তু ভালো হবে না। এমনভাবে ফেটাতে হবে যাতে কোনরকম গাট না থাকে।
অষ্টম ধাপ
• এরপর কড়াইয়ের মধ্যে একটু বেশি করে তেল নিয়ে নিলাম।
নবম ধাপ
• তেলটা ভালো করে গরম হয়ে গেলে এবার ফিশ ফিলেট এর পিসগুলোকে ব্যাটারের মধ্যে ডুবিয়ে,একটা একটা করে ছেড়ে দিলাম এবং সোনালি করে ভেজে নিলাম।
দশম ধাপ
• ব্যস তৈরি হয়ে গেল গরম গরম ফিস ব্যাটার ফ্রাই।
ভেটকি মাছের কাঁটা কম হওয়ায় এই মাছের মাংসালো অংশ দিয়ে বিভিন্ন বিদেশি খাবারের আইটেম খুব সহজে রান্না করা যায়। এজন্য হোটেল ও চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এই মাছের চাহিদা খুব বেশি আছে।বিদেশেও এই মাছের প্রচুর চাহিদা আছে। ফলে এই মাছের দাম খুব বেশি।
আমি খুব সহজ পদ্ধতিতে ফিস বাটার ফ্রাই তৈরি করে দেখালাম কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন।
ফিশ ব্যাটার ফ্রাই এর সাথে আমার একটি নিজস্বী।
ঠিকি বলেছেন আপু অন্যান্য তরকারি কয়েকদিন খেলেই কেমন অরুচি লাগে আর মাছ যেন প্রতিদিন দিলেও এর স্বাদ কুমে না এই জন্যই হয়তো বলা হয় মাছে ভাতে বাঙালি।।অসাধারন সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে ধাপ গুলো খুব গুছিয়ে করেছেন।শুভ কামনা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা দেখতে crispy এবং সুস্বাদু বোন. এখন মাছের মরসুম এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার উপযুক্ত সময়। আপনার জন্য শুভকামনা।
দেখতো যেমন ক্রিসপি লাগছে খেতে কিন্তু আরো সুন্দর।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও বেতিক্রম একটি রেসিপি দেখলাম আজকে। অনেক সময় এবং নিজের ক্রিয়েটিভিটি খাটিয়ে রেসিপিটি দিয়েছেন যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এই সুন্দর রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি আমি অন্যরকম একটা রেসিপি দেওয়ার।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ভেটকি মাছের রেসিপি টা আমার কাছে খুবই চমৎকার লেগেছে। ভেটকি মাছ দিয়ে যে এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করা যায় তা আমার জানা ছিল না ।প্রতিটি ধাপ আপনি চমৎকার ভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। যেটা দেখে খুব সহজেই আপনার রান্নার প্রণালী বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু ভেটকি মাছ দিয়ে অনেক রকমেরই রেসিপি তৈরি করা যায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার ফিস ব্যাটার ফ্রাই রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে। রেসিপির ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধাপে ধাপে খুব সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। আর আপনার পোষ্টের মার্ক ডাউন এর ব্যাবহার অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
চেষ্টা করেছি পোষ্টের মার্ক ডাউন যতটা সম্ভব সুন্দর করা যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মাছের এইসব ফ্রাই আমার খুব পছন্দের। খেতে খুব ভালো লাগে। অনেকদিন খাওয়া হয় না এসব। ভেটকি মাছের ফিলে দিয়ে দারুন একটা রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। ভাজা দেখেই খাওয়ার ইচ্ছা জাগছে। ভালো হয়েছে আপনার ফিশ ব্যাটার ফ্রাই করার পদ্ধতিটা।
আমারও এই ভেটকি মাছের ব্যাটার ফ্রাই খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি খুব সহজভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছি অবশ্যই একবার করে দেখবেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ভেটকি মাছ ফ্রাই করার রেসিপি আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। চিকেন হোক বা ফিস হোক যেটাই ফ্রাই করা যায় সেটা খেতে অনেক মজা লাগে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছিল একটু টেস্ট করতে পারলে মনের তৃপ্তি হত 😋
হাহাহা🤭 তাহলে তো আপনার সাথে আমার মিল আছে বলতেই হয়। ফ্রাই করা ফিস বা চিকেন আমারও ভীষণ ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর হয়েছে আপু আপনার রেসিপিটি। আপনার রেসিপিগুলো বরাবরের মত সুন্দর হয় এবং ধাপে ধাপে উপস্থাপনা সুন্দরভাবে করে থাকেন।
আসলে আপু ঠিক কথাই বলেছেন। আমরা বাঙালি হলাম মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ খেতে বাঙ্গালীরা কোন দ্বিধাবোধ করে না।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি কথা মাছ খেতে বাঙ্গালীরা কোনো দ্বিধাবোধই করে না।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।