চাঁদনি চকে ঘোরাঘুরি।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে চাঁদনি চকে কাটানোর কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
দুদিন আগে আমি চাঁদনী চকে গিয়েছিলাম ফোনের কভার কিনতে ।আমি আগেই বলেছিলাম চাঁদনী চক এমন একটা মার্কেট যেখানে সমস্ত ধরনের ইলেকট্রনিক্স জিনিস খুব কম দামে পাওয়া যায় ।এমনকি ফোনের কভার থেকে শুরু করে নানান ধরনের লাইট, কম্পিউটার ,যা যা ইলেকট্রনিক্স জিনিস আছে সবই মোটামুটি পাওয়া যায় ।আমি বেশিরভাগ সময়ই যাই ফোনের কভার কেনার জন্য ।এবারও তাই গিয়েছিলাম। ফোনের কভার কিনলে আমি ফ্লিপ কভারই কিনি কারণ ফোন আমি খুব যত্নে রাখতেই ভালোবাসি। একটা ঘটনা না বললেই নয় ।আমি আগে ফোন কিনতে খুব ভালবাসতাম ।একটা ফোন আমি এক দেড় বছরের বেশি ইউজ করতাম না।২০১৭তে আমি ভিভো v5s এর ফোন কিনেছিলাম ।
কিন্তু অদ্ভুতভাবে যখন আমি vivo র ফোনটা কিনি তারপর থেকেই ফোন কেনার ইচ্ছেটা আমার চলে যায়। আমি নিজেও জানিনা কেন এরকম হয়েছিল। যতই মার্কেটে নতুন নতুন ফোন আসতো তাও আমার নিজের ফোনটাই খুব ভালো লাগতো। খুব যত্নের মধ্যেই রাখতাম আমি সেই ফোনটা ।আজকে পাঁচ বছর দু মাস হতে যায় এখন ও এই ফোনটাই ইউজ করি, এমনকি এই ফোনটা একদিনের জন্য হ্যাং ও করেনি। এর মাঝখানে আমার কাছে আইফোন রয়েছে ।তার সাথে ভিভো v২১ রয়েছে ।কিছুই ব্যবহার করি না সবই পড়ে আছে। আমি নিজেও জানিনা এই পুরোনো ভিভোর ফোনটাকে কেন ছাড়তে পারছি না ।এখন শুধু মনে হয় যতদিন না আমার এই ফোনটা খারাপ হচ্ছে ততদিন কোনো ফোনই ইউজ করবো না। এই পুরনো ফোনেরই উপরের টেম্পার্ড গ্লাসটা ভেঙে গিয়েছিল। সেই উপরের টেম্পার্ড গ্লাস লাগালাম ।তার সাথে ফ্লিপ কভার কিনলাম ।আবার সেই আগের মত নতুন হয়ে গেল। সত্যিই না দেখলে বুঝবে না কেউ যে ফোনটা পুরনো ।কারণ এতটাই যত্ন করে আমি ফোনটাকে রেখেছি। যাইহোক সবাই তো এই ফোনটা নিয়ে খুব হাসাহাসিও করে। কিন্তু তাতে আমার কিছু যায় আসে না। অদ্ভুত একটা মায়া জন্মে গেছে আমার এই ফোনটার প্রতি। যাই হোক আমার ফোনের ফ্লিপ কভার কিনলাম ।তার সাথে বোনের ফোনের ব্যাক কভার কিনলাম ।
ফ্লিপ কভার কিনে ফেরার পথে ভাবলাম কফি খেয়ে আসি। আর যেহেতু আমি বিকেলবেলার দিকে বেরিয়েছিলাম আর বিকেলবেলা একটু চা বা কফি না খেলে একেবারেই আমার হয় না ।তাই একটি ক্যাফেতে গেলাম । এখানের কফি দারুন ভাবে বানায়। এখানে কফির স্পেশালিটি হচ্ছে কফির উপরে চকলেট গুড়ো দিয়ে দেয়।অসাধারণ লাগে খেতে। আর তার সাথে আমি বড়া পাও নিলাম। আর একটা কোল্ড কফি নিলাম । এটা একটা কম্বো ছিল। এই ক্যাফেটা ভেজ ক্যাফে ।সমস্ত রকমের স্ন্যাকস জাতীয় খাবার পাওয়া যায়। প্রত্যেকটা খাবার এখানে খুব ভালো খেতে। আমি বেশিরভাগ সময় এখানে এলে পাস্তা আর না হলে এই বড়া পাও খাই ।
সবমিলিয়ে খুব কম সময়ের মধ্যে চাঁদনী চক থেকে কেনাকাটি করে কফি খেয়ে বাড়ি চলে এলাম।
মোবাইলটি আসলেই অনেক ভালো তা না হলে পাঁচ বছর ধরে ইউজ করছেন একবারও হ্যাং হয়নি। এতো ভালো মোবাইল হওয়ার কারণেই এই মোবাইলের প্রতি মায়া জন্মে গিয়েছে। এজন্য এটি ছাড়তে পারছেন না। যাইহোক কাভারগুলো খুব সুন্দর ছিল। তাছাড়া খাবার গুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। সব মিলিয়ে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন চাঁদনী চকে।
এই চাঁদনী চকের নাম অনেক শুনেছি।দেখেও তাই মনে হচ্ছে।আমার ও আপনার মতোই অভ্যাস,ফোন বদলানোর।
চাঁদনি চকে ঘোরাঘুরি করেতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ফোন ঠিক করা বোনের ফোনে কাভার কেনা। চমৎকার চমৎকার খাবার খাওয়া দেখতে অসাধারণ লাগলো। আপনি ঠিকই বলেছেন একটি ফোন যত্ন সহকারে ব্যবহার করলে নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তাকে ছাড়তে মন চায় না। চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে দিদি।
কফির উপরে যখন চকলেটের গুড়া দিয়ে দেয় তখন কফি থেকে চকলেটের একটা দারুন স্মেল আসে আর সেটা কফির টেস্ট বাড়িয়ে তোলে। যদিও আমার কাছেও চকলেটের ফ্লেভারটা বেশ ভালো লাগে তবে সবার টেস্ট তো আর একরকম নয়। যাইহোক আপনার কাটানো সময় গুলো অনেক সুন্দর ছিল দিদি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলেই কিছু কিছু জিনিসের প্রতি অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে।কাভারটা বেশ কিউট।খাবার গুলো দেখে বেশ লোভ হচ্ছে। ধন্যবাদ আপু
চাঁদনী রাতে খুবই সুন্দর সময় পার করেছেন। সত্যি চাঁদনী রাতে ঘোরাঘুরি করতে খুবই ভালো লাগে। অনেক সুন্দর সময় পার করলেন, দেখে ভালো লাগলো শুভকামনা রইল।
অনেক মজার ছিলো চাঁদনী বেড়ানোর অভিজ্ঞতা।তবে খাবার গুলো নিশ্চই খুবই ভালো ছিলো।খুব সুন্দর হয়েছে মিষ্টি।
চলো তাহলে একদিন এই খাবার গুলো খেয়ে আসি 🤭❤️।
সত্যিই পুরোনো জিনিসের প্রতি আলাদা রকমের মায়া থাকে।যেটা চাইলে ও ছাড়া যায় না।আপনার ফোনটি একদম নতুনের মতো লাগছে।সুন্দর ছিল অভিজ্ঞতাটি,ধন্যবাদ দিদি।
দিদি টানা আপনার আর রাখিবন্ধনের পাঁচটি পোস্ট দেখেছি। আজ ভিন্নধরনের একটি পোস্ট দেখতে পেলাম। চাঁদনি চকে ঘোরাঘুরি করেতে গিয়ে অনেক কোয়ালিটি সময় কাটিয়েছেন পাশাপাশি হালকা খাওয়া দাওয়া করেছেন। কফিটা দেখতে খুব সন্দর লাগছে নিশ্চয়ই খেতেও অনেক টেস্ট ছিল।আজকে আপনার পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন দিদি।
পাঁচ বছর ধরে নতুনের মত ফোন চলে আসছে জেনে খুবই অবাক হলাম। তবে এই ফোনের মডেলটা দেখতে খুবই সুন্দর। চাঁদনী চকে গিয়ে ফোনের কভার কেনা ও রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।