শীতকাল মানেই পিকনিক
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে দত্তপুকুর বাগানবাড়িতে কাটানো কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম। আশা করি ভালো লাগবে।
শীতকাল মানেই হলো পিকনিক। শীতের রোদ গায়ে মেখে সকলেই আনন্দ করতে পছন্দ করে । ছোটো ছোটো বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রা সকলেই কিন্তু কমবেশি শীতকালে পিকনিক করে থাকে ।
পিকনিকের আলাদাই মজা ।ছোটবেলায় স্কুল থেকে আগে প্রত্যেক বছর পিকনিকে যাওয়ার চেষ্টা করতাম। তখন একরকম মজা হতো । স্কুল জীবন পার করলে যখন বাড়ি থেকে বা পাড়ার ক্লাব থেকে যখন পিকনিকে নিয়ে যাওয়া হতো, মাঝে মাঝে যাওয়ার চেষ্টা করতাম। এরকম ভাবে প্রতিটা শীতেই পিকনিকের আনন্দটা বেশ উপভোগ করতাম। এখন বিয়ের পর হঠাৎ করে প্ল্যান হয় পিকনিক করতে যাব।
সাথে সাথে একদিনের মধ্যেই বাগান বাড়ি ঠিক করে নিলাম। তার সাথে খাবার লোক ঠিক করে নিলাম এবং খাবার মেনুতে অনেক রকম আইটেম রাখলাম ।এছাড়াও আমার শ্বশুরবাড়ি এবং বাপের বাড়ির সবাই এসেছিল সেই পিকনিকে। আর এই পিকনিকটি হয়েছিল দত্তপুকুর বাগানবাড়িতে। যে বাড়িটি ঠিক করা হয়েছিল সেটি আমাদের শ্বশুরবাড়ি থেকে কুড়ি মিনিট দূরত্বে। বাগানবাড়িটা এত সুন্দর এবং এতটা জায়গা নিয়েছিল যে প্রবেশ করার সাথে সাথে খুব ভালো লেগে গেছিল। এবং দুটো বড় বড় মাঠ ছিল তার সাথে প্রচুর গাছপালা ছিল ।এছাড়া শীতকালীন ফুল গাছ দিয়ে কিছু কিছু জায়গা ঘেরা ছিল।
পিকনিক স্পটে যাওয়ার সাথে সাথে ছেলেরা এবং মেয়েরা দু ভাগে ভাগ হয়ে গিয়ে ছিল। ছেলেরা ক্রিকেট খেলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল আর আমরা ব্যাডমিন্টন খেললাম। তাছাড়াও হাড়িভাঙ্গা, মিউজিকাল চেয়ার খেলেছিলাম ।
পিকনিক হবে আর খাওয়া হবে না তা তো হয় না। তাই যাওয়ার সাথে সাথেই কফি ,চিকেন পকোড়া , প্রন পকোড়া, ডিমের ডেভিল দিয়ে খাওয়া স্টার্ট করলাম। এরপর মেনকোর্স হিসেবে ভাত, মাছ ,বেগুন ভাজা ,চিকেন কষা,মটন কষা,পাপড় ,চাটনি সকল প্রকার খাবার খেয়েছিলাম এবং প্রচুর আনন্দ করেছিলাম। আর সবশেষে বাচ্চারা নিজেদের গান এবং আবৃত্তি পারফরম্যান্স করেছিল। আর এভাবেই পুরো পিকনিকটা বেশ আনন্দ করে সন্ধ্যে হওয়ার আগেই বাড়ি চলে এলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি যদি ভুল না বলি দিদিভাই, তাহলে এই পিকনিকের সময়টা আপনারা কাটিয়েছেন, দাদা বৌদির বিবাহ বার্ষিকীতে। কেননা ক্রিকেট খেলার ব্যাপারটা শুনে কিছুটা আন্দাজ করতে পারলাম । তাছাড়া ঐ দিনটাতে আপনারা যে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন, তা কিন্তু ছবিগুলো দেখেই ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছে।
আপনাদের সবার জন্য শুভেচ্ছা রইল ☺️🙏
আসলেই শীতকালে ঘুরাঘুরি করতে এবং পিকনিক করতে ভীষণ ভালো লাগে। এতো সুন্দর বাগান বাড়িতে সবাই মিলে পিকনিক করার মজাই আলাদা। আপনার শ্বশুর বাড়ির এবং বাবার বাড়ির লোকজন সবাই মিলে বেশ মজা করেছেন বৌদি। ক্রিকেট এবং ব্যাডমিন্টন খেলা আনন্দের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ লেগেছে। টিনটিন বাবুকে বেশ কিউট লাগছে দেখতে। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম পোস্টটি। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
শীতকালে সত্যি ই চারিদিকে পিকনিকের আয়োজন পরে যায়।আপনি বাবার বাড়ি,শ্বশুর বাড়ির সবাইকে নিয়ে চমৎকার পিকনিক আমেজে সময় কাটিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।সবাইকে খুব সুন্দর লাগছে।দারুন দারুন খেলা, বিভিন্ন আয়োজনে সবাই খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। বাসা থেকে পিকনিক স্পটটি ২০ মিনিটের পথ।তবে তো কোন ঝামেলা ছাড়া খুব সহজেই চলে গেলেন।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি।
আশা করি দিদি ভালো আছেন? শীতকাল মানেই পিকনিক আপনি ঠিক বলেছেন । সবাই মিলে শীতে পিকনিক করার আনন্দটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। দুই পরিবার মিলে চমৎকার মুহূর্ত কাটিয়েছেন। খেলার আয়োজন করা হয়েছে বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। পিকনিক করার জায়গাটাও বেশ সুন্দর। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দুর্দান্ত ছিলো। সবাই মিলে এত চমৎকার সময় কাটানো অনুভূতি হৃদয়ের মাঝে থেকে যাবে সারা জীবন। পিকনিকে চমৎকার মুহূর্ত কাটানো অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সত্যিই শীত মানেই দারুণ আনন্দ করা এবং তার সাথে সাথে পিকনিক উপভোগ করা। সেই স্কুল জীবন হতেই দারুণভাবে এই বিষয়টি উপভোগ করে আসছি। বেশ দারুণ জায়গা এটা, ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝা যাচ্ছে, দুই পরিবারের মিলন মেলায় দারুণ উপভোগ্য সময় কাটিয়েছেন নিশ্চয়। এই সুন্দর মুহুর্তে খাওয়া দাওয়া কিংবা হৈ হুল্লোহ হবে না তা কি করে হয়, হি হি হি । অনেক ধন্যবাদ দিদি শেয়ার করার জন্য।
শীতকাল আসলে মানুষের ভ্রমণ করতে বেশি মন চায়,নতুন নতুন গরম জাতীয় খাবার খেতে আর গরম কাপড় পরতে ভালো লাগে। ছোট থেকেই যেন নতুন অনুভূতি খুঁজে পাই শীতকাল আসলে। এমনভাবে আজকের পোস্ট সাজিয়েছেন যেখানে পিকনিকের আয়োজন আর ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি, সবমিলেই ছিল কিন্তু অসাধারণ।
শীত আসলেই পিকনিকের একটা অবস্থা তৈরি হয় কথাটা ঠিক। এই বছরে শীতের শুরুতেই এলাকার বন্ধুদের সঙ্গে একদিন পিকনিক করেছি। আপনারা পরিবারের সবাই মিলে পিকনিক করছেন। আর এই বাগানবাড়িটা বেশ সুন্দর দেখছি। সবাই মিলে বেশ দারুণ সময় কাটিয়েছেন দিদি। খাওয়া দাওয়া খেলাধুলা মজা মাস্তি সবকিছুই ছিল দেখছি।
কপালে লাল টিপ আর সিথি ভর্তি সিঁদুর দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো দিদি। আপনাকে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। শীতকাল মানেই পিকনিকের আয়োজন। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছেন বুঝতেই পারছি। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো দিদি।
টাইটেলে পিকনিকের কথা দেখেই প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে পোস্টে ঢুকলাম । এমন নিরিবিলি পরিবেশে এত সুন্দর ফ্যামিলি পিকনিক সত্যিই মজার ছিল আমার মনে হচ্ছে। জীবন তো একটাই, পরিবারের সাথে হাসি আনন্দে পার করাটাই আসল মজার।
প্রত্যেক বছর এই শীতে আমরাও পিকনিক করি। এইতো আগামী ২৪-২৫ তারিখের দিকে গ্রামে যাব। প্ল্যান আছে বড় বড় হাঁস কিনে আনব চর থেকে তারপর সেটা দিয়ে পিকনিক করব।