ইকো পার্ক :ভাস্কর্যে বাংলার ইতিহাস উদ্যান পর্ব -২ //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভাল আছেন।সুস্থ আছেন।আগের দিন আমি ইকো পার্কের ভিতরে ইতিহাসে ভাস্কর্য উদ্যানের কিছু ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম ।আজ আর ও কিছু চিত্রকলা ভাস্কর্যের বাংলার ইতিহাস উদ্যানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ভাস্কর্য শিল্পের ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।
আজ রাজা রামমোহন রায় ,স্বামী বিবেকানন্দ ,বঙ্কিমচন্দ্র বসু, সুভাষচন্দ্র বসু ও আজাদ হিন্দ ফৌজ , লালন ফকির থেকে কাজী নজরুল ইসলাম ও বিদ্রোহের কিছু ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। এখানে ভাস্কর্যের মাধ্যমে বাংলা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এছাড়া এখানে আরেকটি বড় আকর্ষণ প্রতি সন্ধ্যায় ৪৫ মিনিটের বাংলা ও ইংরেজিতে একটি লাইট ও সাউন্ড শো হয়।এখানে শুধু দেশের পর্যটক নয় এছাড়াও দেশের বাইরেও হাজারো প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটক এখানে ঘুরতে আসেন।
উনিশ শতকে বাংলাদেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ,মনস্তাত্ত্বিক,ও বৌদ্ধিক ক্ষেত্রে যে মৌলিক পরিবর্তন সূচিত হয় ইতিহাসে তাকেই বাংলার নবজাগরণ বা নবন্মেষ বলা হয় । প্রাচ্য ও প্রতীকের জ্ঞানদীপ্তির আলোয় এই পর্বে অতীতের পুনর্বধন এর সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি এক ধর্মনিরপেক্ষ বৈশ্বিক প্রগতির ধারণায় উপনীত হয়েছিল ।রামমোহন রায় ছিলেন এই নবজাগরণের প্রথম পুরোধা পুরুষ। বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ ও ইতিহাসের আধুনিক ভারতের জনক হিসেবে অভিহিত রাজা রামমোহন রায় ছিলেন প্রথম ভারতীয় ধর্মীয় সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন সমাজের প্রতিষ্ঠাতা তার সমকালীন রাজনীতি ধর্ম এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।
লালন সাঁই,লালন শা বা লালন ফকির প্রভৃতি নানা নামে পরিচিত ছিলেন বাউল সাধনা প্রধান গুরু লালন। অষ্টাদশ শতাব্দী শেষ ভাগে অবিভক্ত বাংলার কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আদিরুপাত্মক বঙ্গ সংস্কৃতির প্রতিমূর্তি এই লালন ফকির রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামসহ পরবর্তীকালে বহুকবি ও সমাজ ও ধর্ম চিন্তককে তার সাংস্কৃতিক দর্শনে প্রভাবিত করেছিলেন।
এখানে পলাশীর যুদ্ধ ,সাঁওতাল বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহের ইতিহাস এর ছবি যেভাবে ধরা পড়েছে তার পাশাপাশি বাংলা তথা বিশ্ব সিনেমার জগতে অন্যতম নাম সত্যজিৎ রায়ের সিনেমাকেও ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে বিবেচিত ছিলেন সত্যজিৎ রায় ।তিনি সাহিত্য শিল্পজগতে খ্যাতনামা এক বাঙালি ছিলেন ।সত্যজিৎ রায় তার চলচ্চিত্র জীবনে মোট 37 টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন ।চলচ্চিত্র নির্মাণ ব্যাতীত সত্যজিৎ রায় ছিলেন একাধারে কল্পকাহিনী লেখক , চিত্রকর, গ্রাফিক, সংগীত পরিচালক ও চলচ্চিত্র সমালোচক। মূলত শিশু ও কিশোরদের জন্য রচনা করেছিলেন ছোটগল্প ও উপন্যাস। গোয়েন্দা ফেলুদা ও বিজ্ঞানী প্রফেসর শঙ্কু বাংলা সাহিত্যে তার সৃষ্ট দুটি বিখ্যাত চরিত্র।
সুভাষচন্দ্র ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কিংবদন্তি জাতীয়তাবাদী নেতা ।বিতর্কিত প্রতিবাদী দেশপ্রেমিক হিসেবে ভারতের ইতিহাসে তিনি বীর হিসেবে চিহ্নিত । এই ভাস্কর্যে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের গল্প গুলিকে চিত্রিত করা হয়েছে।
এই উদ্যানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মোট ৫২জন মনীষীর প্রতিকৃতি রয়েছে।
ভাস্কর্য বাংলার ইতিহাস উদ্যান পর্ব এখানেই শেষ করলাম। আশা করি এই ভাস্কর্য চিত্রকলা গুলি সকলের ভালো লাগবে।
ইকো পার্ক :ভাস্কর্যে বাংলার ইতিহাস উদ্যান পর্বে আজকের -রাজা রামমোহন রায় ,স্বামী বিবেকানন্দ ,বঙ্কিমচন্দ্র বসু, সুভাষচন্দ্র বসু ও আজাদ হিন্দ ফৌজ , লালন ফকির থেকে কাজী নজরুল ইসলাম ও বিদ্রোহের ভাস্কর্য গুলো অসাধারন ছিল । দেখে এতো ভাল লেগেছে তা ভাষায় বুজানো মুসকিল তবে অমায়িক ছিল । ধন্যবাদ এতো সুন্দর সুন্দর ভাস্কর্য ফটোগ্রাফি শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ।
ইকো পার্ক ভাস্কর্যে বাংলার ইতিহাস উদ্যানে অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন দেখছি। পার্কটি অনেক সুন্দর মনে হচ্ছে। সুন্দর একটি আনন্দময় মুহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল দিদি।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করলেন আপু। ভাস্কর্য বাংলার ইতিহাস উদ্যান তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। কাজী নজরুল ইসলাম, লালন ফকির সবার সম্পর্কে অনেক কিছু তুলে ধরেছেন। তাছাড়া অনেকগুলো প্রতিকৃতি দেখতে পেলাম। এরকম দৃশ্যগুলো সামনাসামনি দেখতে পেলে খুব ভালো লাগতো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর স্মৃতিচারণ গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রত্যেকটি প্রতিফলক ছিল অসম্ভব রকম সুন্দর, আমরা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই ভাস্কর্য সম্পর্কে জানতে পারলাম বা দেখার সৌভাগ্য হলো। লাইটিং এর কারনে দারুণ আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে।