পহেলা বৈশাখে চায়ের আড্ডায়
নমস্কার বন্ধুরা,
প্রথমেই সকলকে জানাই শুভ নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা। প্রত্যেকের নতুন বছর খুব ভালো কাটুক এবং সকলেই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন ।এই কামনাই করি।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম উৎসব পয়লা বৈশাখ। এই দিনটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির কাছে ভীষণই স্পেশাল। পয়লা বৈশাখের সঙ্গে জড়িয়ে বাঙালির আবেগ, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি।পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ নতুন বছর প্রত্যেক বাঙালির কাছেই অনেকটা আবেগ জুড়ে থাকে ।এই দিনটাতে ছোটোবেলায় খুব মজা করতাম। কারণ মা বলতো নতুন বছর, নতুন ভাবে সবকিছু শুরু হবে ।এই দিনটাতে কোনো বকাবকি করা যাবে না। ওই দিন নতুন জামা কাপড় পড়তাম। তারপর এই দিনে প্রতিটা দোকানে গণেশ লক্ষ্মীর পুজো হতো ।তার জন্য প্রতিটা দোকানে কিছু কিনলেই মিষ্টি আর ক্যালেন্ডার দিতো ।এখন ও দেয়।তাই ছোটোবেলায় সকাল বেলা উঠেই একটু পড়াশুনা করে কাকার সাথে বাজারে যেতাম।তখন একটা আলাদা আনন্দই কাজ করতো। সে জিনিসটা এখন একটু কমে গেছে। তবুও যেহেতু একটা নতুন বছর শুরু হচ্ছে তাই একটা ভালো লাগা তো কাজ করেই ।
সব মিলিয়ে এই বছরটা আমার শ্বশুরবাড়িতে প্রথম পয়লা বৈশাখ বলে কথা ,তাই অনেক সকাল সকাল উঠে গিয়েছিলাম, তাড়াতাড়ি স্নান করে পূজো দিয়ে নতুন জামা কাপড় পড়ে সকলকে প্রণাম করে দিনটা শুরু করলাম ।প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে ঘুরতে যাওয়া হয় ,কিন্তু এই বছর সেভাবে কিছু প্ল্যান করা ছিল না। তবুও দাদাকে বলেছিলাম যে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ।আর এই ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্ল্যান সব সময় আমারই থাকে কারণ আমি খুব ঘুরতে পছন্দ করি ।
প্রথমে ঠিক হয়েছিল যে নিউটাউন কফি হাউস যাব বিকেল বেলা। কিন্তু দুপুরবেলা ঠিক করা হয় যে কাছাকাছি কোথাও চা খেয়ে আসবো। যখন কাছাকাছি যাওয়ার কথা হয়েছিল তখনই ভেবেছিলাম যে তাহলে আমি কলকাতায় বাপের বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে পারবো ।তাই সন্ধ্যা নাগাদ চা খেতে গিয়েছিলাম খুব কাছে একটি জায়গায়।
শুধু চা খাওয়া বললে ভুল হবে তার সাথে ঘোরাও হয়ে গেছিল। আর এই জায়গাটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। কারণ অনেকটা জায়গা জুড়ে এই চা খাওয়ার জায়গাটা। পুরোটাই আম বাগানের উপর। বিভিন্ন জায়গায় বাঁশের ঘর বানিয়ে রাখা হয়েছে ।তাছাড়াও বাগানের মাঝখানে চেয়ার টেবিলের ব্যবস্থা রয়েছে ।
পরিবেশটা খুবই সুন্দর তবুও কালকে খুব গরম থাকার খুব একটা হাওয়া দিচ্ছিল না। তাই একটা জায়গায় বসে চা আর ফিশ ফিঙ্গার অর্ডার করেছিলাম। যেহেতু খুব কম সময় হাতে নিয়ে বেরিয়েছিলাম তার মধ্যে কলকাতায় যেতে হতো। তাই তাড়াতাড়ি চা খেতে খেতে অল্প কিছুক্ষণ গল্প করে খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছিলাম। আর তার মধ্যে কালকে দিদিভাই ও বেরিয়েছিল। দিদিভাই বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ।তাই অনেকদিন বের হতে পারিনি।কালকে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ঘুরতে বেরিয়েছিল ,তাই আরো ভালো লেগেছিল। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়ে আবার কলকাতা চলে গিয়েছিলাম ।ওখানেও সবার সাথে খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছিলাম ।তার অনুভূতি আমি পরে কোনো একটি পর্বে আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
দিদি ভাই বাংলা নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই আপনাকে।খুব চমৎকার লাগলো এই জায়গাটি আমার কাছে।দুই দিদিকে একসাথে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। বড় দিদির সুস্থতা কামনা করছি।বিশেষ দিনে ঘোরাঘুরি ও সামান্য খাওয়া-দাওয়ায় মনটা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দিদি অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
দিদি আপনাকে চায়ের আড্ডায় দেখে অনেক ভালো লাগলো।পহেলা বৈশাখে চায়ের আড্ডায়, আসলে প্রথমে আপনাদের সিদ্ধান্ত ছিল,নিউটাউন কফি হাউস যাওয়ার কিন্তু পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পাল্টানো হয়েছে। আপনারা সবাই মিলে চায়ের আড্ডায় চা খেয়েছেন অনেক ভালো লাগলো আমার কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেক গরম ছিল দিনটি। আপনারা একটি জায়গায় বসে অর্ডার করেছিলেন চা আর ফিশ ফিঙ্গার অর্ডার করেছিলাম। তাড়াহুড়ো করে অল্পের মধ্যে খেয়ে উঠে গিয়েছিলেন কলকাতায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে। অনেক সুন্দর মধুময় সময় কাটিয়েছেন অসংখ্য ধন্যবাদ।
বৌদি বেশ ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর মুহূর্তটা দেখে।সেই সাথে আরো ভালো লাগলো টিনটিন বাবুকে দেখে। যদিও পরিবেশটা গরম ছিল তারপরও বাইরে আসলে মনের ভিতরে
অন্যরকম আনন্দ কাজ করে।তনুজাবৌদি অসুস্থ শুনেখারাপ লাগলো।চা আর ফিশ ফিঙ্গার দেখে মনে হচ্ছে অনেক টেস্টি ছিল।সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝেশেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ বৌদি আপনাকে।
আপনাকেও জানাই শুভ নববর্ষ এর শুভেচ্ছা বৌদি।সকলের জীবন আনন্দে ভরে উঠুক নতুন বছরে সেটাই কাম্য।এছাড়া তনুজা বৌদির দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করছি।আমবাগানের মধ্যে সুন্দর পরিবেশে আপনারা সময় কাটিয়েছেন।এইভাবে প্রকৃতির মাঝে চা খাওয়ার মজাই আলাদা, ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ মজার জায়গা তো!!
আম বাগানের মধ্যে এরকম চায়ের আড্ডা। চায়ের আড্ডার ঘরটাও কিন্তু বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে। কিন্তু সমস্যা হলো এত গরমের মধ্যে সুন্দর জায়গাতে গিয়েও বিরক্ত লাগে।
এটা ঠিকই বলেছেন গরমের মধ্যে সুন্দর জায়গাতেও বিরক্তি লাগে ।
আমাদের বাংলাদেশে তো এই রীতি এখন একেবারেই নেই। এখন তো হালখাতাও আর হয় না পহেলা বৈশাখে। সবাই মিলে ঘোরাঘুরি এবং চা খাওয়ার প্ল্যানটা বেশ দারুণ ছিল দিদি। যদিও সাথে ফিস ফিঙ্গার ও অর্ডার করেছেন। আম বাগানের নিচে এমন সুন্দর চায়ের দোকান সত্যি প্রশংসা করতেই হয়। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে মূহুর্ত টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
পরিবারের সবাই মিলে পহেলা বৈশাখের দিন সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন দিদি। হ্যাংআউটে দাদার মুখের শুনেছিলাম এই জায়গাটার কথা। আপনার পোস্টে দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আম বাগানের মধ্যে চমৎকার একটি জায়গা তৈরি করা হয়েছে। সবাই মিলে দারুন মুহুর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। খাবারের ফটোগ্রাফিগুলো বেশ লোভনীয় ছিল। সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
বেশ ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর এই মুহূর্তটা দেখে। আরো ভালো লাগলো টিনটিন বাবু আপনাদের সাথে ছিল। যাইহোক প্রচন্ড গরমের মুহূর্তে একঘেয়েমিতা মনে হয় বাইরে পরিবেশের। তবে চা খাওয়ার অনুভূতিটা দারুন ছিল। যেহেতু অল্প সময়ের জন্য বের হয়েছিলেন তার মধ্যে যতটুকু সময় অতিবাহিত করেছেন আশা করি অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন তখন। সুন্দর এই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ্! জায়গাটা তো খুব সুন্দর। আম বাগানের মধ্যে কতো সুন্দরভাবে বাঁশের ঘরগুলো তৈরি করেছে। এমন জায়গায় সময় কাটাতে আসলেই খুব ভালো লাগে। গতকালকে স্পেশাল হ্যাংআউট এর সময় দাদার মুখ থেকে শুনেছিলাম যে আপনারা চায়ের আড্ডায় গিয়েছেন। অনেক দিন পর তনুজা বৌদিও বাহিরে ঘুরতে বের হয়েছে, এটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। খাওয়া দাওয়া এবং গল্প গুজব করে আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বৌদি। আসলে পহেলা বৈশাখের দিন একটু ঘুরাঘুরি না করলে চলে না। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দুই বৌদিকে এক সাথে দেখে ভীষণ খুশি হলাম। পহেলা বৈশাখে চায়ের আড্ডায় বেশ আনন্দ করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। জায়গাটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এধরনের পরিবেশ এ সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। টিনটিন বাবুকে দেখতে কিউট লাগতেছে। সবার জন্য দোয়া এবং শুভ কামনা রইলো।