রথের মেলায় পর্ব -২।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে রথের মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত এবং তার সাথে কিছু হাতের কাজ আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।ভাগ করে নিলাম।
রথযাত্রা মানেই রথের মেলার মজা।রথযাত্রা। এই যুগ্ম শব্দটির সঙ্গে বাঙালির ছেলেবেলার নস্টালজিয়া যেন ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত।কলকাতার রথযাত্রা মানে রাস্তার ধারে ধারে ছোটোদের ছোটো ছোটো রথ টেনে নিয়ে যাওয়া। সেই ছোটো রথের এক একটির এক এক বাহার। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের দিনগুলি সকলেই দারুণ উপভোগ করেন।আমি আগের দিন বলেছিলাম যে মেলায় আমি অনেকক্ষণ ঘুরে ছিলাম এবং অনেক সুন্দর সুন্দর হাতের কাজের ছবি তুলেছিলাম। প্রত্যেকটি হাতের কাজ এত নিখুঁজ ছিল নিজের চোখে না দেখলে সেটা বোঝাই যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে এই মানুষেরা নিজেদের কাজ নিয়ে এখানে এসেছেন।সেই সকল মানুষেরই নিজের হাতে করা কাজগুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।
চট এবং দড়ির তৈরি গণেশ।
এছাড়াও এখানে আলাদা করে একটি মাঠে বাচ্চাদের জন্য খেলার ব্যবস্থা ছিল।
রথের মেলায় গিয়েছি আর কিছু খাব না তা তো হয় না। এমনিতেও ওইখানে খাবার স্টল খুবই কম বসেছিল। হাতেগোনা দু তিনটে। আমি একটি মাত্র স্টল থেকেই ঘুগনি ,মোমো আর লস্যি খেয়েছিলাম।
রথের দিন পাঁপড় ভাজা খাওয়া বাঙালির যেন এক অলিখিত নিয়ম। বাড়িতে তো বটেই এই দিন রাস্তাতেও শুধু পাঁপড় ভাজা নিয়ে বসেন দোকানিরা। কলকাতার বিভিন্ন স্থানে রথ উপলক্ষে মেলা বসে। সেই মেলায় পাঁপড় বিক্রি যেমন হয় তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হয় জিলিপি। জিলিপি পাঁপড় না খেলে অন্তত বাঙালির রথযাত্রা সম্পুর্ণ হয় না বলে আমার মনে হয়।
রথযাত্রা উপলক্ষ্যে এই হস্তশিল্প মেলার প্রত্যেকটি কাজ খুব নিখুঁত ছিল এবং একদম ইউনিক। আমার তো প্রত্যেকটা স্টলের প্রত্যেকটা কাজ খুব ভালো লেগেছিল।এখানে আমি আমার রথেরমেলার পর্ব শেষ করলাম। আশা করি সকলের খুব ভালো লাগবে।
আপু মেলার খাবারের ছবি দেখে বেশ লোভ লাগছে।কারুশিল্পের জিনিস পএ গুলোও বেশ সুন্দর। আপু কি কি কিনলেন?কিছু খাব না খাব না করেও ভালো জিনিসই খেয়েছেন।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
অনেকেরই খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছি এই মেলার। যদিও আমাদের এদিকে মেলাটি হচ্ছে না তাই ঘুরা হলো না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
মেলার দ্বিতীয় পর্বের ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। দ্বিতীয় পর্বে ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিল, বিশেষ করে জিলাপি বানানোর দৃশ্যটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলে মেলাতে জিলাপি বানানো হয় এটা প্রায় সকল মেলাতে হয়। ভালই লাগলো মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি লাস্ট বার কলকাতা গিয়ে এই রথযাত্রা দেখতে পেয়েছিলাম। সামনাসামনি না দেখলে আসলে বিশ্বাস করতে পারতাম না যে এত বড় হয়। আমরা বেরোবো এমন সময় রথযাত্রা শুরু হলো কত সময় যে এই রথ যাত্রার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম। এত লম্বা ছিল । আপনি মেলায় গিয়ে অনেক ঘুরাঘুরি করেছিলেন এবং সব দোকানের সুন্দর সুন্দর জিনিসও আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে খাবার এর আইটেমগুলো দেখে তো লোভ লেগে যাচ্ছে। শুভকামনা রইল দিদি আপনার জন্য।
আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন রথের দিন পাপড় ভাজা খেতে অনেক ভালো লাগে। আমার এখনো মনে পড়ে ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো। বন্ধুদের সাথে রথের মেলায় গেলে পাপড় ভাজা খেতাম। আপু আপনি এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন দেখেই ভালো লাগছে। আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং সেই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
দিদি জিলাপী দেখে কিন্ত লোভ লেগে গেল। তবে চট ও দড়ি দিয়ে বানানো গনেশ ছবিটি দেখে বেশ ভালো লেগেছে । যে বানিয়েছে , সেই ভদ্রলোক আসলেই অনেক ক্রিয়েটিভ চিন্তার মানুষ ।
বেশ ভালই ছিল আপনার তোলা ছবি গুলো দিদি ।
হাতে তৈরি করা জিনিস গুলোর মূল্য হয় অমূল্য আর দেখতেও অত্যন্ত সুন্দর।
মেলাতে চটার দড়ি দিয়ে তৈরি প্রতিটা জিনিসই আলাদা করে নজর কেড়ে নিয়েছে। রথের মেলা এত জমজমাট হতে পারে না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারতাম না। আর পাপড় টা এই দিনে খেতেই হবে সত্যি। খুব উপভোগ করলাম পোষ্টটা। পরের পর্বে কি চমক আছে সেই অপেক্ষায় থাকলাম।
ইচ্ছা আছে দিদি পুরীতে গিয়ে রথযাত্রা দেখার। আশা করি ঈশ্বর একদিন আশা পূর্ন করবে৷ রথযাত্রার মেলায় বৃষ্টি হবেই আর সেই বৃষ্টি তে পাপড় ভাজা খাওয়ার মজাই আলাদা।
দিদি চটের দড়ির কাজগুলো সত্যিই ভীষণ নিখুঁত।মেলা মানেই সুন্দর সুন্দর জিনিসের বাহার।আর খাবারগুলো দেখেই লোভ লেগে গেল।গরম গরম জিলিপি খেতে খুবই ভালো লাগে আমার, আশা করি দারুণ সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ দিদি।