বন্ধুদের সাথে সোনারপুরে।। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে একটি রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম।
আমি বহুদিন আগে বলেছিলাম আমি আগে প্রায়ই নানান জায়গা থেকে খাওয়া দাওয়া করতাম ।বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে যেতাম সেই সব রেস্টুরেন্টের স্পেশাল খাবারগুলো অর্ডার করতাম ।অনেকেই আপনারা চিকেন তন্দুরির নাম শুনেছেন হয়তো বা অনেকেই খেয়েছেন। চিকেনের মধ্যে আমার এই তন্দুরি চিকেনের আইটেম খুব ভালো লাগে ।কিন্তু এই খাবারটি সব জায়গায় ঠিকঠাক করে করতে পারেনা ।অনেকেই আছে এই তান্দুরি আইটেম করতে গিয়ে অনেকটা পুড়িয়ে ফেলে, অনেকেই ঠিকভাবে গ্রিল করতে পারেনা ,এখানে তন্দুরি করার আসল জিনিস হচ্ছে ভালো করে গ্রিল করা যেটার জন্যই এত টেস্ট হয় খাবারটি খেতে ।আমার এই চিকেনের মধ্যে তন্দুরি আমার খুবই ভালো লাগে ।তাই জন্য কোথাও গেলে আমি চিকেন তন্দুরি অর্ডার করি ।কলকাতার মধ্যে সেরকম ভালো কোথাও খাইনি। তো এই নিয়ে একদিন বন্ধুদের সাথে আলোচনা করতে করতে আমার এক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম চিকেন তান্দুরি ভালো কোথায় করে,সে বলল সোনারপুরে একটি রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে চিকেন তন্দুরি দারুণ করে ।যেমন সুন্দর টেস্ট কেমন সুন্দর ধৈর্য নিয়ে এখানে খাবারটি তৈরি করে। খাবারটি এখানে অর্ডার করলে অনেকটা দেরিতে আসে কিন্তু তাও খেয়ে অনেকটাই তৃপ্তি পাওয়া যায়। তাই একদিন ঠিক করলাম যে সোনারপুর যাবো। তাই কিছুদিন আগে সব বন্ধুরা মিলে সেখানে গেলাম।আমার বাড়ি থেকে মেট্রো, সেখান থেকে গড়িয়া স্টেশন এ নামলাম ।তারপর ট্রেনে করে সোনারপুর ।নেমে দু মিনিট হাঁটার পরে সেই রেস্টুরেন্ট।
এই রেস্টুরেন্টে দুদিক বসার জায়গা আছে একটা দিক এসি আর একটা দিক নন এসি। আমরা এসির ঘরটাতেই বসলাম। যার জন্য এখানে আসা, সবার প্রথমে চিকেন তন্দুরি অর্ডার করলাম ।এখানে চিকেন তন্দুরি ছাড়া সবাই খাবারই খুবই ভালো ।বেশ অনেকটা সময় অপেক্ষা করার পর তন্দুরি এলো। এর যে কি স্বাদ বলে বোঝাতে পারবো না। না খেলেও বোঝানো ও যাবে না। যেমন সুন্দর গ্রিল করা তেমন সুন্দর টেস্ট একবার খেলে মুখে লেগে থাকবে । চিকেন তন্দুরি খাবার পর তন্দুরি রুটি ,বিরিয়ানি ও চিকেন টেংরি মাসালা অর্ডার দিলাম।
প্রত্যেকটি খাবার দারুন ছিল এখানে ।খাওয়া দাওয়া করে অনেক আড্ডা গল্প করে ট্রেন ধরে বাড়ি চলে এলাম ।এরপর থেকে যখনই চিকেন তন্দুরি খেতে ইচ্ছা করে তখনই এখানেই আসি খেতে।
একদম দিদি ঠিক বলেছেন চিকেন তান্দুরি খেতে ভীষণ মজার । খুবই ভালো লাগে খেতে । বিশেষ করে শীতের বেলায় মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে গিয়ে চিকেন তান্দুরি খাওয়া হত ; সবজি দিয়ে খেতে আহা কি মজা যে পেতাম খুবই ভালো লাগতো। আপনারা বন্ধুরা মিলে সোনারপুর রেস্টুরেন্টের চিকেন তান্দুরি খেয়েছেন সেই মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন , এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনার মাধ্যমে আমরাও জানতে পারলাম রেস্টুরেন্ট এর খাবার সম্পর্কে ।
বন্ধুদের সাথে সোনারপুরে গিয়ে রেস্টুরেন্টে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। আর খাবার গুলো লোভনীয় ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
বন্ধুদের সাথে মুহূর্তটা অনেক আনন্দের সাথে কাটিয়েছেন। সোনাপুর গিয়ে রেস্টুরেন্টে অনেক আনন্দময় সময় পার করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো।
বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আসলেই অনেক সুন্দর হয়।সোনাপুর রেস্টুরেন্টে গিয়ে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে খুব মজা এবং জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন যা আপনার ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।বন্ধুদের সাথে কাটানো কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দিদি।
চিকেন তন্দুরিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে বেশ মজার। আসলে একটু পোড়া পোড়া না হলে আমার ও বেশি ভালো লাগে তন্দুরি খেতে।
চিকেন তন্দুরি খেতে আমিও বেশ পছন্দ করি। তবে এটা সত্যি সব রেস্টুরেন্টে খেয়ে অতটা মজা পাওয়া যায় না। আপনার লেখার মাধ্যমেই ফুটে উঠছিল খাবারগুলো কতটা টেস্টি ছিল। বেশ ভালো সময় কেটেছিল সব বন্ধু মিলে।