DIY-এসো নিজে করি:"চাল দিয়ে তৈরি নারকেল গাছের ওয়ালমেট "। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে একদম নতুন ধরনের একটা কাজ শেয়ার করবো।
প্রত্যেক বছরই আমি কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাই। এই দু'বছরের জন্য সেভাবে কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। যেহেতু আমার খুব একটা পাহাড়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। তাই আমি প্রত্যেক বছরই কোথাও যাই না যাই পুরি অবশ্যই ঘুরতে যাই। এখানে সমুদ্র সৈকত যেনো আমাকে খুব টানে। দু'বছর ঘুরতে না যাওয়ায় সত্যি মনে হচ্ছে সমুদ্র সৈকত থেকে ঘুরে আসি। সমুদ্রের পাড়ে বসে সবথেকে ভালো লাগে সূর্যাস্ত দেখতে মনে হয় যেন নীল দিগন্তে সমুদ্রের মধ্যে যেন সূর্যটা ডুবে যাচ্ছে। কি যে অসাধারণ দেখতে লাগে তা বলে বোঝানো সম্ভব না।
আর এই সমুদ্র সৈকতের সামনে যখন নারকেল গাছ গুলো থাকে তখন দারুন দেখতে লাগে।এই নারকেল গাছের পুষ্টিগুণ অনেকটাই বেশি। নারকেল গাছ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা ভাবে কাজে লাগে তাই নারকেল গাছকে আমরা' ট্রি অফ লাইফ' বলি। তাই জন্যই আমি আজকে সূর্যাস্তের সময় সমুদ্রসৈকতে নারিকেল গাছ কে চাল দিয়ে তৈরি করে দেখালাম।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে সবাই খুব সুন্দর সুন্দর ওয়ালমেট তৈরি করে।আমার সেগুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে। আমি এর আগে কখনও ওয়ালমেট তৈরি করিনি বলতে পারেন। এটাই আমার ফার্স্ট টাইম। তাই আজ ইচ্ছা হলো নতুন কিছু বানাই। তাই আজকে আমি নারকেল গাছের ওয়ালমেট তৈরি করলাম।
উপকরণ :
- কাঠবোর্ড
- সবুজ স্কেচ পেন
- হলুদ পোস্টার কালার
- কালো পোস্টার কালার
- লাল পোস্টার কালার
- চাল -১ কাপ
- আঠা
- কাঁচি
প্রথম ধাপ
• প্রথমে একটা সবুজ স্কেচ পেন, একটা কার্ডবোর্ড, একটা আঠা এককাপ মত চাল,একটা কাঁচি এবং হলুদ, লাল, কালো রংয়ের পোস্টার কালার নিয়ে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
• তারপর একটা সবুজ স্কেচ পেন দিয়ে কার্ডবোর্ডের উপর নারকেল গাছের গুড়িটা এঁকে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
• তারপর পাতাগুলো এঁকে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
• তারপর একটা গাছের পাতা এঁকে নিলাম পাশে।
পঞ্চম ধাপ
• এরপর একটা কাঁচি নিয়ে গাছের চারপাশটা ভালো করে কেটে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
• আগে গাছের গুঁড়িটা কেটে নিলাম।তারপর পাতাগুলোর সাইড দিয়ে ভালো করে কেটে নিলাম।
সপ্তম ধাপ
• এইভাবে পুরো গাছটা সাইড দিয়ে কেটে নিলাম পাতাসহ।
অষ্টম ধাপ
• এরপর ওই কাটা গাছের অংশটা নিয়ে আরেকটা কার্ডবোর্ডের উপর বসিয়ে থালা দিয়ে কিছুটা অংশ গোল করে দাগ কেটে নিলাম।
নবম ধাপ
• দেখতে ঠিক এরকম হবে।
দশম ধাপ
•যে অংশটা দাগ কেটে নিলাম সেই অংশটা কাঁচি দিয়ে গোল করে কেটে নিলাম।
একাদশ ধাপ
• দেখতেও ঠিক এরকম হবে।
দ্বাদশ ধাপ
• এরপর নারকেল গাছের অংশটাতে আঠা লাগিয়ে দিলাম।
ত্রয়োদশ ধাপ
• এরপর আঠা জায়গায় চালগুলো লাগিয়ে দিলাম।
চতুর্দশ ধাপ
• এরপর আস্তে আস্তে পাতাগুলোতেও আঠা দিয়ে চালগুলো লাগিয়ে দিলাম।
পঞ্চদশ ধাপ
• গোল যে অংশটা কেটেছিলাম সূর্যাস্ত বোঝানোর জন্য,সেখানে লাল রং দিয়ে দিলাম।
ষোড়শ ধাপ
• এরপর লাল রংয়ের নিচে হলুদ রং দিয়ে দিলাম বাকি অংশটাতে।
সপ্তদশ ধাপ
• নারকেল গাছের কাটা অংশতে যেখানে চালগুলো আটকে ছিলাম সেই চালগুলো আটকেছিলাম সেই চালগুলোতেও কালো রং করে দিলাম।
অষ্টাদশ ধাপ
• এরপর গোল অংশটার মধ্যে নারকেল গাছ গুলো আটকে দিলাম আঠা দিয়ে।
১৯তম ধাপ
• দেখতে ঠিক এরকম হবে।
২০তম ধাপ
• এরপর সূর্যাস্তের হলুদও লাল রং যে গাছের উপরে পড়েছে,তা বোঝানোর জন্য হলুদের সঙ্গে লাল রং মিশিয়ে নারকেল গাছ গুলোর উপরে দিয়ে দিলাম।
২১তম ধাপ
• ব্যস তৈরি হয়ে গেল** "চাল দিয়ে তৈরি নারকেল গাছের ওয়ালমেট "**।
চাল দিয়ে তৈরি নারকেল গাছের ওয়ালমেট এর সাথে আমার একটি নিজস্বী
অনেক সুন্দর একটি ওয়ালমেট তৈরি করলেন তাও আবার চাল দিয়ে। চাল দিয়ে এর আগে আমিও একটা ময়ূরের ওয়ালমেট তৈরি করেছিলাম। আপনার নারিকেল গাছের ওয়ালমেট খুব সুন্দর হয়েছে। আসলে চাল দিয়ে কোনো কিছু তৈরি করলে দেখতে খুবই সুন্দর দেখায়। আর রং করলে তো অনেক ফুটে উঠে।
ঠিকই বলেছেন চাল দিয়ে তৈরি করলে যেকোনো কিছুই খুবই সুন্দর দেখতে লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি কথা বলতে এইটা সত্যি প্রশংসার দাবিদার। চাল দিয়ে যে এত নারিকেল গাছের ওয়ালমেট তৈরি করা যায়। আমি কখনো জানতাম না। আপনি আসলে নিজের দক্ষতা প্রতিভা এখানে প্রকাশ করতে পেরেছেন। এটা আমার খুবই ভালো লাগছে এবং চাল দিয়ে এত সুন্দর একটি ওয়ালমেট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন।প্রতিদিন খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরলেন। বেশি ভালো লেগেছে আমার। আপনার সৃজনশীলতার উদ্ভব ঘটুক। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য। ধন্যবাদ আমার উপস্থাপনার এত সুন্দর প্রশংসা করার জন্য।
বাহ চাল দিয়ে ওয়ালমেট দারুন হয়েছে। তার সাথে উপস্থাপনাও সুন্দর ছিলো। ছবি ভিডিও সব মিলিয়ে খুব ভালো উপস্থাপনা। ওয়ালমেটটিও অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে কালার কম্বিনেশন খুব সুন্দর ভাবে করেছেন। এবং গাছের ডাল গুলো অনেক সুন্দর করে কেটেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার প্রতিটি কাজ আমার বেশ ভালো লাগে। রেসিপি,ডাই পোস্ট, চিত্রাংকন সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারেন।আর আজকের কাজটি একদম অসাধারণ হয়েছে।চাল দিয়ে এত সুন্দর ওয়ালমেট কেমনে তৈরি করেন!ধাপআকারে ওয়ালমেট তৈরির পদ্ধতি সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর কমেন্টের জন্য।আপনার এই মন্তব্যগুলো আমাকে অনেক উৎসাহ দেয় এবং অনুপ্রাণিত করে। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ওয়াও অবাক হয়ে গেলাম আপু এই ওয়ালমেট এর প্রশংসা সত্যি ভাষায় বলে বোঝানো যাবে না কতো টা নিখুত হয়েছে।আপনার প্রতিটা ধাপ খুব সময় নিয়ে করেছেন। অনেক ভালো লেগেছে শুভ কামনা আপনার জন্য।
হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন কাজটা সত্যিই খুব সময় সাপেক্ষ ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
চাল দিয়ে খুবই সুন্দর নারিকেলের গাছের ওয়ালেট তৈরি করেছেন। এই নারিকেল গাছের ওয়ালরট আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার সুন্দর উপস্থাপনা এজন্যই আমি শিখতে পেরেছি।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর কাজ বোন, আপনি খুব সুন্দর এবং ঝরঝরে কাজ করেছেন. রঙের টেক্সচারটি খুব ভাল দেখাচ্ছে। শুভকামনা
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
ওয়াও চাল দিয়ে কি সুন্দর ওয়ালম্যাট তৈরি করেছেন।আপনার সব গুলো পোস্ট অসাধারন। আর আজকের পোস্ট টি অনেক সুন্দর হয়েছে।এবং আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
দিদি আপনার এই সুন্দর মন্তব্য গুলো আমাকে খুব উৎসাহ দেয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এবং অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
ওয়াও দিদি একবারে চমৎকার হয়েছে।আপনি চাল দিয়ে অনেক সুন্দর করে নারিকেল গাছের ওয়ালমেট বানিয়েছেন।দেখতে খুব দারুন লাগছে। আঁকার সাথে অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। অনেক ধন্যবাদ দিদি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত মিষ্টি করে মন্তব্যের জন্য।